
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষককে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতের ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের দায়েরকৃত মামলায় বহিষ্কৃতকৃত শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমানকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মঙ্গলবার (১৩ মে) রাত সাড়ে ১০টার দিকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। নোমান জানায়, হাসপাতালে রোগী দেখতে গেলে পুলিশ খবর পেয়ে তাকে সেখান থেকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে যায়। তবে তার অভিযোগ এর আগে সোমবার দুপুরে তিনি খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের লবণচর থানায় আত্মসমর্পণ করতে গেলে পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেননি। তাকে বিভিন্ন বিষয় বলে কোর্টে আত্মসমর্পণ করতে বলা হয়েছিল। সেটিও সম্ভব হয় না। তবে তার একদিন পর হাসপাতাল থেকে কেন তাকে গ্রেফতার করা হল সে বিষয়ে তিনি বিস্মিত হয়েছেন।
এর আগে গেল ২ মে আম পাড়াকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী ছাত্রবিষয়ক পরিচালক হাসান মাহমুদ সাকিকে মারধর করে বাংলা ডিসিপ্লিনের ১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী মোবারক হোসেন নোমান। পরের ৩ মে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় নোমানের ছাত্রত্ব ও সনদ সাময়িক স্থগিত করা হয়। সভায় শিক্ষা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো ইমদাদুল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন এবং ৫ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়।
এছাড়া নোমানের ক্যাম্পাসে প্রবেশ নিষিদ্ধ ও তার নামে ফৌজদারী মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয় সিন্ডিকেট।
পরদিন লবণচরা থানায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রফেসর ড. এস এম মাহবুবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে মামলা দায়ের করেন। মামলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা ভঙ্গসহ শিক্ষকের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ আনা হয়।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষ জানায়, তার নামে আগেও বিভিন্ন সময়ে নানা ধরনের অভিযোগ ছিল। তখন যদি তাকে সাজা দেওয়া হতো তাহলে আজ হয়তো এটি নাও হতে পারতো। এছাড়া নোমান বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন অনিয়মিত শিক্ষার্থী। প্রায় দুই বছর আগে পাস করে বেরিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও এখনো পড়ালেখা করছে নোমান।
সোনাডাঙ্গা থানা দায়িত্বরত কর্মকর্তা জানান, তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট মামলা প্রেক্ষিতে থাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
রাজু