
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকার নবাবগঞ্জ উপজেলার গালিমপুর ইউনিয়নের সোনাহাজরা কবরস্থানে আজ সোমবার (২৮ জুলাই) বাদ যোহর মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের বিমান দুর্ঘটনায় নিহত শিক্ষার্থী সাহিল ফারাবি আয়ানের (১৪) দাফন সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে সোনাহাজরা মাদ্রাসা মাঠে মাওলানা জাহিদী রায়হান আয়ানের নামাজে জানাজায় ইমামতি করেন।
নিহত সাহিল ফারাবি আয়ান মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজের ইংরেজি ভার্সনের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিল। গত রোববার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে রাজধানীর জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়ান শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে।
সাহিল ফারাবি আয়ানের বাবা মোহাম্মদ আলী মাসুদ এবং মা তামান্না মনজুরে খুদা রুপালী ব্যাংকে কর্মরত। তারা পরিবার নিয়ে ঢাকার মিরপুরে বসবাস করেন। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তারা বাকরুদ্ধ এবং শোকে কাতর।
সোমবার দুপুরে লাশবাহী গাড়ি নানা বাড়ি সোনাহাজরায় পৌঁছালে স্বজনরা গাড়ির চারপাশে ভিড় করেন আয়ানের মরদেহ একনজর দেখতে। পরে প্রবল বৃষ্টি উপেক্ষা করেই স্থানীয়রা জানাজায় অংশ নেন। সোনাহাজরা নানা বাড়ির কাছে একটি কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
জানা গেছে, ঘটনার দিন খবর পেয়েই বাবা-মা স্কুলে ছুটে যান। কিন্তু আয়ানকে না পেয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষের দেওয়া তথ্যমতে কয়েকটি হাসপাতালে ছেলের সন্ধানে ছুটে বেড়ান। এরপর ঢাকার জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে গিয়ে তাকে দগ্ধ অবস্থায় পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এক সপ্তাহ নির্ঘুম রাত কাটিয়েও ছেলেকে বাঁচাতে না পেরে তারা শোকে কাতর। ঘটনার সাতদিন পর রোববার রাতে সে মারা যায়।
আয়ানের শ্বাসনালীসহ শরীরের প্রায় ৫০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল এবং তাকে জটিল অবস্থায় লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়েছিল। বাবা-মায়ের ইচ্ছা ছিল সে লেখাপড়া করে ইসলামিক স্কলাস্টিক হবে, কিন্তু তাদের সে ইচ্ছা পূরণ হলো না। আয়ানের দাফন শেষে তার পরিবারের লোকজন সোনাহাজরা মাদ্রাসার পাশে এক স্বজনের বাড়িতে বিশ্রাম নেন। তবে বাবা-মা এসময় সংবাদকর্মীদের সঙ্গে কোনো কথা বলতে রাজি হননি।
এসএম জুনায়েদ হাসান নামে এক স্বজন বলেন, আয়ানের বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলার মতো কোনো পরিবেশ নেই। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে তারা অনেকটাই শয্যাশায়ী ও নির্বাক। দুই ভাইবোনের মধ্যে আয়ান ছিল তাদের বড় সন্তান।
সাব্বির