ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ১৪ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২

উদ্বৃত্ত অর্থ ফেরত দেওয়ার ইতিহাস গড়লেন ধর্ম উপদেষ্টা

প্রকাশিত: ২০:৩৬, ১৪ জুলাই ২০২৫; আপডেট: ২১:২৫, ১৪ জুলাই ২০২৫

উদ্বৃত্ত অর্থ ফেরত দেওয়ার ইতিহাস গড়লেন  ধর্ম উপদেষ্টা

ছবি: সংগৃহীত

সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালন করা হাজিদের অব্যবহৃত সেবা বাবদ টাকা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছেন প্রধানমন্ত্রীর ধর্ম বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। এই সিদ্ধান্তকে অনেকে সরকারের দায়বদ্ধতা, স্বচ্ছতা এবং ধর্মীয় সংবেদনশীলতার একটি ব্যতিক্রমী উদাহরণ হিসেবে দেখছেন।

 

রোববার (১৩ জুলাই) সচিবালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ধর্ম উপদেষ্টা জানান, চলতি বছর সরকারি ব্যবস্থাপনায় হজ পালনে অংশ নেওয়া হাজিদের উদ্বৃত্ত ৮ কোটি ২৮ লাখ ৯০ হাজার ১৮৩ টাকা ফেরত দেওয়া হবে। যত দ্রুত সম্ভব এই অর্থ প্রত্যেক হাজির নিজস্ব ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়া হবে।

তিনি বলেন, “আমরা এ বছর হজ প্যাকেজে বাড়িভাড়ার জন্য যে পরিমাণ টাকা নির্ধারণ করেছিলাম, বাস্তবে তা কিছুটা কম খরচ হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে সার্ভিস চার্জও কমেছে। ফলে অব্যবহৃত অর্থ হাজিদের মাঝে বণ্টনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”

 

 

 

২০২৪ সালের হজ ব্যবস্থাপনায় মোয়াল্লেম ফি, তাঁবু ভাড়া, খাবার ইত্যাদির জন্য যে অর্থ গ্রহণ করা হয়েছিল, তার কিছু অংশ বিভিন্ন বাস্তব কারণে খরচ হয়নি। অতীতে এমন উদ্বৃত্ত অর্থ সরকার কখনো নিজস্ব তহবিলে জমা রাখত বা পরবর্তী হজ ব্যবস্থাপনায় ব্যবহার করত। কিন্তু এবার সরাসরি হাজিদের কাছে তা ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্তে সবাই বিস্মিত এবং আনন্দিত।

ধর্ম উপদেষ্টার এই পদক্ষেপকে “ঐতিহাসিক”, “জনবান্ধব” ও “দায়িত্বশীল” আখ্যায়িত করেছেন ফেসবুক ও টুইটারের বহু ব্যবহারকারী। কেউ লিখেছেন, “এই সিদ্ধান্ত সরকারের প্রতি বিশ্বাস বাড়িয়েছে।” আরেকজন বলেছেন, “সরকারি ব্যবস্থাপনায় এত স্বচ্ছতা দেখে অবাক হয়েছি, এই উদ্যোগ স্থায়ী হোক।”

বিশ্লেষকরা বলছেন, এই সিদ্ধান্ত *হজ ব্যবস্থাপনায় সরকারের সদিচ্ছা, দক্ষতা এবং নাগরিকবান্ধব মনোভাব* তুলে ধরে। বিশেষ করে যখন হজের মতো স্পর্শকাতর ধর্মীয় বিষয় নিয়ে মাঝেমধ্যেই অসন্তোষের খবর শোনা যায়, তখন এমন একটি ইতিবাচক উদ্যোগ মানুষের আস্থার জায়গা আরও মজবুত করে।

 

 

এই পদক্ষেপ ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এমনকি অনেকেই আশা করছেন, ভবিষ্যতেও অন্য সরকারি পরিষেবাতেও যদি উদ্বৃত্ত অর্থ থাকে, সেটিও জনগণের মাঝে ফেরত দেওয়ার ধারা অনুসৃত হবে।

ড. আ ফ ম খালিদ হোসেনের এই সাহসী ও স্বচ্ছ সিদ্ধান্ত সরকার পরিচালনার ক্ষেত্রে একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে মনে করছেন অনেকে।

ছামিয়া

×