
ছবিঃ সংগৃহীত
জুলাই মাসে যখন দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আন্দোলনে দলে দলে মানুষ যোগ দিতে শুরু করে, তখন ফারহান ফাইয়াজ ও তার বন্ধু ওয়াসিমও তাতে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন। এমনকি ফারহান তার বোনকেও আন্দোলনে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানান।
১৮ জুলাই, বন্ধু ওয়াসিমকে সঙ্গে নিয়ে ধানমন্ডিতে আন্দোলনে অংশ নিতে যান ফারহান। হঠাৎ করেই পুলিশ ও সশস্ত্র ক্যাডারদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার মাঝে পড়ে যান তারা। চারপাশে রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও গুলির শব্দে রণক্ষেত্রে পরিণত হয় পুরো এলাকা।
সংঘর্ষের একপর্যায়ে ওয়াসিম রাজপথে বসে পড়েন। কিছুক্ষণ পর তিনি দেখতে পান, ফারহানের বুকে গুলি লেগেছে। তৎক্ষণাৎ অ্যাম্বুলেন্স ডাকা হয়। অ্যাম্বুলেন্সে তোলার পর শুয়ে থাকা ফারহান শেষবারের মতো ওয়াসিমের দিকে তাকিয়ে চোখ বন্ধ করেন—চিরতরের জন্য।
ফারহান ফাইয়াজের মৃত্যুর পর আন্দোলনে যোগ হয় নতুন মাত্রা। কোটাবিরোধী আন্দোলন রূপ নেয় এক ব্যাপক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে। তার আত্মত্যাগ কোটি মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দেয় সাহস ও সংগ্রামের অণুপ্রেরণা।
ফারহান ফাইয়াজ—যে ছেলেটা একসময় বৃষ্টিতে ভিজতে পারতো না, বাসে চড়তেও হতো কষ্ট—সে আজ দেশের সাহসের প্রতীক। তার আত্মত্যাগেই স্বৈরাচারমুক্ত হয়েছে দেশ।
আজ সে শহীদ ফারহান ফাইয়াজ নামে পরিচিত, তরুণ প্রজন্মের সাহস ও প্রত্যয়ের নাম।
তথ্যসূত্রঃ https://www.facebook.com/share/v/19VnEGEP4T/
মারিয়া