
সরকারি চাকরিতে বৈষম্যমূলক কোটা পদ্ধতির বিরুদ্ধে যে আগুন জ্বলেছিল ১ জুলাই, তা আর কেবল একটি আন্দোলন ছিল না— খুব দ্রুতই তা রূপ নেয় গণ–অভ্যুত্থানে। দেশের ছাত্র–জনতা কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে রুখে দাঁড়ায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে। সাহস, ঐক্য আর ত্যাগের যে প্রবল ঢেউ উঠেছিল রাজপথে, তা কাঁপিয়ে দিয়েছিল স্বৈরাচারী শাসনের ভিত।
এই অভ্যুত্থানের ঢেউয়ে ইতিহাসের আস্তাকুঁড়ে পালিয়ে যায় তৎকালীন ক্ষমতাধর শেখ হাসিনা। ক্ষমতালোভী, জবাবদিহিহীন এক শাসনের অবসান ঘটিয়ে জনগণ দেখিয়েছে— ইতিহাস তারা শুধু দেখে না, নিজের হাতেই গড়ে নেয়।
জুলাই হয়ে ওঠে প্রতিরোধের মাস। প্রতিটি দিন, প্রতিটি বিকেল, প্রতিটি রাত যেন রক্তস্নাত কোনো ইতিহাসের পৃষ্ঠা।
উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এই জুলাইয়ের স্মৃতিচারণ করে বলেন, এই জুলাই ছিল প্রতিরোধের মাস — প্রতিটি দিন যেন রঞ্জিত ছিল আমার ভাইয়ের রক্তে। আমরা হারিয়েছি, কিন্তু থামিনি।
তিনি নিজের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেন, এই মাস আমাদের বারবার মনে করিয়ে দেয়— যখন ছাত্র-জনতা জেগে ওঠে, তখন তারা ইতিহাস গড়ে। তখন তারা অপ্রতিরোধ্য।
জুলাই মানে সাহসের প্রতিচ্ছবি। জুলাই মানে স্বৈরাচারের পতনের শঙ্খধ্বনি। এই জুলাইয়ের অনুপ্রেরণা আমাদের পথ দেখাবে আগামীতেও ।
সানজানা