ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৫ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

ঈদের সরকারি ছুটির শেষ দিনে কর্মস্থলে ফেরার তাগিদ, পরিবহনে মানুষের উপচে পড়া ভিড়

নিজস্ব সংবাদদাতা, শিবচর, মাদারীপুর

প্রকাশিত: ১১:৩৮, ১৪ জুন ২০২৫; আপডেট: ১১:৩৯, ১৪ জুন ২০২৫

ঈদের সরকারি ছুটির শেষ দিনে কর্মস্থলে ফেরার তাগিদ, পরিবহনে মানুষের উপচে পড়া ভিড়

ছবি: সংগৃহীত

পবিত্র ঈদুল আযহার ছুটি শেষে রাজধানী ঢাকাসহ বিভিন্ন শহরে ফিরছে কর্মজীবী মানুষ। ছুটির শেষ দিনে দেখা যায় মানুষের উপচে পড়া ভিড়। শনিবার (১৪ জুন) সকালে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার পাঁচ্চর গোল চত্বর এলাকায় গিয়ে দেখা যায় এমন দৃশ্য।

সরজমিনে দেখা যায়, বিভিন্ন অঞ্চল থেকে ছেড়ে আসা প্রতিটি বাসে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। প্রতিটি বাসে আসন নেই বললেই চলে। জীবিকার তাগিদে ফেরার জন্য মানুষ কোনো কোনো পরিবহনে বসার জায়গা না পেয়ে দাঁড়িয়েও যাচ্ছে। কেননা ছুটি শেষ তার গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে, আগামীকাল থেকে অফিস খোলা।

এছাড়া দেখা যাচ্ছে, এতো ভিড়ের জন্য অনেকেই পরিবার রেখেই চলে যাচ্ছেন নিজ গন্তব্যে। যখন ভিড় কমবে তখন নিয়ে যাবেন পরিবারের সবাইকে। তেমনই একজন মো. আবুল খায়ের খান বলেন, ‘ঈদের ছুটি শেষ, তবে বাচ্চাদের স্কুল আরও কিছুদিন বন্ধ আছে। তাই এই ভিড় ঠেলে তাদের ঢাকায় নিচ্ছি না। আবার গরমেরও মাত্রা বেশি। চিন্তা করেছি ক’দিন পরে নিয়ে যাবো বাচ্চাসহ পরিবারকে।’

এবারের ঈদে সরকারি ছুটি ১০ দিন (১৪ জুন পর্যন্ত) থাকলেও অধিকাংশ প্রাইভেট প্রতিষ্ঠান আগেই খুলে গেছে বা ঈদের ছুটি শেষ হয়ে গেছে। তাই এখন জীবিকার তাগিদে ফিরছেন নিজ কর্মস্থলে।

উপজেলার মাদবরেরচর ইউনিয়নের আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘বাবা, মা, পরিবার ও আত্মীয়দের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামে এসেছিলাম আর এখন আবার কর্মস্থলে যোগ দেওয়ার জন্য ঢাকায় যাচ্ছি।’

বন্দরখোলা ইউনিয়নের শিকদার হাট এলাকার মফিজুল শিকদার বলেন, ‘ঈদের একদিন আগে এসেছি। আমি একটি সরকারি অফিসে জব করি। আগামীকাল অফিস খোলা, তাই আজ ঢাকা যাচ্ছি ছুটি শেষে চাকরিতে যোগ দেওয়ার জন্য।’

পরিবহন সেক্টরে প্রতিটি বাসে দেখা যায় প্রচুর চাপ। মুকসেদপুর-ভাঙ্গা থেকে ছেড়ে আসা প্রচেষ্টা, বসুমতি, স্বাধীন, ইলিশ পরিবহনের বাসগুলোতে যাত্রীদের ব্যাপক চাপ রয়েছে। কারণ এই বাসগুলো শিবচরের পাঁচ্চর গোল চত্বর থেকে গুলিস্তান পর্যন্ত রুট এক হলেও পরের রুট ভিন্ন।

কোনো পরিবহনের রুট এয়ারপোর্ট, আবার কোনো পরিবহনের রুট মিরপুর। তবে বিভিন্ন বাস কাউন্টার ও যাত্রীদের জিজ্ঞেস করা দেখা যায় ভাড়া স্বাভাবিক আছে। আবার পরিবহনগুলো ঢাকা থেকে খালি ছেড়ে আসায় কোনো কোনো পরিবহন পঞ্চাশ টাকা বেশি ভাড়া নিচ্ছে। তবে ঈদ উপলক্ষে এ নিয়ে তেমন মাথাব্যাথা নেই সাধারণ যাত্রীদের। তাদের একটাই কথা, গন্তব্যে পৌঁছাতে হবে।

বসুমতি পরিবহনে ওঠা একজন যাত্রী কামাল হোসেন বলেন, ‘আমার বাড়ি বাহাদুরপর। আমি শ্যামলী যাবো, তাই বসুমতি পরিবহনে উঠেছি। গাড়িটি ভাঙ্গা থেকে ছেড়ে পাঁচ্চর গোল চত্বরে আসে, তাই এই ঈদে ছিট পাওয়া মুসকিল। ঈদের ছুটি শেষ, ঢাকা ফিরতে হবে, তাই দাঁড়িয়ে যাচ্ছি।’

প্রচেষ্টা পরিবহনের লাইনম্যান মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, ‘সকাল থেকেই ঢাকা ফেরার জন্য যাত্রীদের চাপ রয়েছে। এখানে পরিবহনের কোনো ঘাটতি নেই। যাত্রীদের চাপ থাকায় গাড়িতে অনেকেই দাঁড়িয়ে যাচ্ছে।’

মো. কামরুল ইসলাম/রাকিব

×