ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান

আমাদের পরিবারে ভালোবাসা আর সহানুভূতির জায়গাটা অনেক বড়

প্রকাশিত: ১৩:০০, ১৩ জুন ২০২৫

আমাদের পরিবারে ভালোবাসা আর সহানুভূতির জায়গাটা অনেক বড়

ছ‌বি: সংগৃহীত

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানি সম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, তার জীবন রাজনীতিবিদের মতো নয়।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি ব্যক্তিগত জীবন ও পারিবারিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলেন। সেখানে তিনি বলেন, “আমাদের বাসায় কেউ ঢোকার আগে কলিংবেল না চাপার কারণে কেউ কিছু বলে না। এই ধরনের ডায়লগ আমাদের বাসায় শোনা যায় না। আমার জীবন রাজনৈতিক না হলেও, ছোটবেলা থেকেই রাজনীতির খুব কাছাকাছি থেকেছি, কারণ আমার স্বামী একসময় মন্ত্রী ছিলেন।”

বিয়ের প্রসঙ্গে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, “বিয়েটা একেবারেই পারিবারিকভাবে হয়েছে। দু’পক্ষের পরিবারের সবাই আমাদের সম্পর্কের কথা জানতেন এবং কারো কোনো আপত্তি ছিল না। ও তখনো পেশাগত জীবনে ঢোকেনি, তাই কিছুটা অনিশ্চয়তা ছিল। তবে বিয়ের পর আমাদের জীবনটা সুন্দরভাবেই কেটেছে।”

তিনি বলেন, “ও মানুষ হিসেবে অসাধারণ। শুধু স্বামী হিসেবে নয়, একজন পিতা, পুত্র এবং জামাই হিসেবেও সে দারুণ। তার বিনয়, সহমর্মিতা আর ভদ্রতা মানুষ পছন্দ করে।”

দাম্পত্য জীবনের পাশাপাশি পরিবারে আগত অতিথি এবং কর্মব্যস্ততা নিয়েও নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেন তিনি। “অনেক মানুষ আমাদের বাসায় আসেন। মাঝে মাঝে একা থাকতে ইচ্ছে করে, কিন্তু তাও ভালো লাগে। ঈদের দিনগুলোতে যেমন মানুষজন আসে, সেটাও আমরা উপভোগ করি।”

তিনি আরও বলেন, “আমি যখন বেলাতে কাজ করতাম, তখনও ভোর সাড়ে ছয়টায় কেউ ফোন করত— কারো চাকরির সুপারিশ নিয়ে। আমি তো সরকারের কেউ না, তবুও মানুষ ভরসা করত। এখনো এমনটা হয়। কিন্তু এতে বিরক্ত হই না, কারণ এটা একটা বিশ্বাসের জায়গা।”

সন্তানদের প্রসঙ্গে রিজওয়ানা হাসান জানান, তাদের তিন সন্তান। বড় মেয়ে পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে এসেছে ও একাউন্টিং পেশায় কাজ করছে। বড় ছেলে বাবার সঙ্গে কাজ শুরু করেছে এবং ছোট ছেলেও একাউন্টিং পড়ছে।

তিনি বলেন, “আমাদের সন্তানরা কখনো অভিযোগ করে না যে আমরা ব্যস্ত থাকি বা অতিথি আসে। বরং তারাও মানুষজনকে ভালোবাসে। আমাদের ছোট বাসা হলেও তারা কারো সঙ্গে শেয়ার করতে দ্বিধা করে না। ওরা আমাদের সব সময় মিস করে, তবে সেটা নিয়ে দুঃখ করে না।”

তিনি বলেন, “আমাদের পরিবারে ভালোবাসা আর সহানুভূতির জায়গাটা অনেক বড়। হয়তো একটু কম সময় পাই একে অপরের জন্য, তবুও ভালোবাসার কোনো ঘাটতি নেই।”

ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/ztMbwHYxPrA?si=pDyqsgd0hHFW6KBI

এম.কে.

আরো পড়ুন  

×