
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস অভিযোগ করেছেন, ভারতের মাটি থেকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিয়মিত অনলাইন বক্তব্য দেশের ভেতরে জনমনে ক্ষোভ ও উত্তেজনা তৈরি করছে। তিনি দাবি করেন, বিষয়টি নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেছিলেন তিনি।
লন্ডনের চ্যাথাম হাউসে এক আলোচনায় ড. ইউনূস বলেন, “আমি মোদিজিকে বলেছি—আপনারা যদি তাকে আশ্রয় দেন, সেটা আপনার নীতি। কিন্তু দয়া করে চেষ্টা করুন যেন তিনি বাংলাদেশের জনগণের উদ্দেশে এভাবে নিয়মিত বক্তব্য না দেন। এতে দেশের ভেতরে ক্ষোভ জমছে।”
ড. ইউনূসের অভিযোগ, শেখ হাসিনা ভারতে অবস্থান করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে (ফেসবুক-ইউটিউব) পূর্ব ঘোষণা দিয়ে বারবার ভাষণ দিচ্ছেন, যা দেশজুড়ে মানুষের মাঝে উত্তেজনার জন্ম দিচ্ছে।
তিনি বলেন, “মোদি আমাকে বলেছেন, এটা সোশ্যাল মিডিয়া, তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন না। কিন্তু এমন উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতিতে এভাবে দায় এড়িয়ে যাওয়া ঠিক নয়।”
ইতোমধ্যে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচার শুরু হয়েছে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি আরও বলেন, ভারতকে একটি অনানুষ্ঠানিক কূটনৈতিক চিঠি দিয়ে হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতা, মিথ্যা তথ্য ছড়ানো এবং প্রতিবেশী দেশের মিডিয়া থেকে আসা বিভ্রান্তিকর খবরে দেশে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে বলেও দাবি করেন তিনি।
ড. ইউনূস পুনর্ব্যক্ত করেন যে, তিনি বা অন্তর্বর্তী সরকারের কেউ পরবর্তী নির্বাচনে অংশ নেবেন না।
আবির