
ছবিঃ সংগৃহীত
আগামী সপ্তাহে কানাডার আলবার্টায় শুরু হতে যাচ্ছে বহুল আলোচিত জি-৭ সম্মেলন। তবে সম্মেলনের আগেই সামনে এসেছে নতুন এক আশঙ্কা—বন্য আগুন থেকে ছড়িয়ে পড়া ধোঁয়ার কারণে নেতারা সম্মেলন চলাকালীন স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারেন।
কানাডার উইনিপেগ থেকে রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বর্তমানে দেশটির বিভিন্ন প্রদেশে ২২৫টি বনে আগুন জ্বলছে, যার মধ্যে ১২০টি নিয়ন্ত্রণের বাইরে রয়েছে। এটি কানাডার সাম্প্রতিক ইতিহাসে দ্বিতীয় সবচেয়ে খারাপ অগ্নিকাণ্ড মৌসুম হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে—এর আগে ২০২৩ সালে সর্বোচ্চ বনভূমি পুড়ে গিয়েছিল।
জি-৭ সম্মেলনের ভেন্যু আলবার্টার কানানাসকিস রকি পর্বতমালার অংশ হলেও সেখানে এখনো সরাসরি কোনো আগুন ছড়ায়নি। তবে আশপাশের অঞ্চল বিশেষ করে ব্রিটিশ কলাম্বিয়া এবং আলবার্টার উত্তরাঞ্চলে অগ্নিকাণ্ডের ফলে ধোঁয়ার মাত্রা উদ্বেগজনকভাবে বেড়েছে।
কানাডার পরিবেশ মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার জানায়, সম্মেলনস্থলের সবচেয়ে কাছের বড় শহর ক্যালগেরিতে বায়ু দূষণের ঝুঁকি ‘উচ্চ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। বাতাসের গতিপথ পরিবর্তনের ফলে ধোঁয়ার মাত্রা দ্রুত বাড়তে বা কমতে পারে বলে সতর্ক করেছে কর্তৃপক্ষ।
এদিকে কানাডার বিভিন্ন অংশে আগুন নিয়ন্ত্রণে সামান্য বৃষ্টি হলেও তা পর্যাপ্ত নয়। এখন পর্যন্ত ৩.৭ মিলিয়ন হেক্টর বনভূমি পুড়ে গেছে, যা এই সময়ে আগুনে পুড়ে যাওয়া জমির দিক থেকে ইতিহাসের অন্যতম রেকর্ড। অনেক অঞ্চলে মানুষকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে; উত্তর-পশ্চিম অন্টারিও এবং পশ্চিম কানাডার কিছু এলাকায় সামরিক বিমান ব্যবহার করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে হাজার হাজার বাসিন্দাকে। এ পর্যন্ত আগুনে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত দুজন।
সরকারি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এই সংকট মোকাবেলায় জলবায়ু পরিবর্তনের ভূমিকা স্পষ্ট। জি-৭ সম্মেলন উপলক্ষে নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যগত যে কোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলায় প্রস্তুত রাখা হয়েছে বিশেষ ব্যবস্থা—যার মধ্যে রয়েছে বন্য আগুন, ঘূর্ণিঝড় এবং আকস্মিক বন্যার ঝুঁকি মোকাবেলার প্রস্তুতিও।
জি৭ সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি এবং জাপানের শীর্ষ নেতারা অংশগ্রহণ করবেন। তবে এবার তাদের শুধু রাজনৈতিক আলোচনাই নয়, প্রকৃতির রুদ্ররূপের সঙ্গেও লড়তে হতে পারে।
আলীম