
ছবি: সংগৃহীত
জনপ্রিয় ইসলামী আলোচক আবু ত্বহা মুহাম্মদ আদনান বর্তমান ইরান-ইসরায়েল উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে তার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক মন্তব্যে বলেন, "ইরানের সাথে আকিদাগত দ্বন্দ্ব ছিল, আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। আল-কুদস মুক্ত করার কোনো চিন্তাও তারা করেনি, করেও না, করবেও না।"
তিনি আরও বলেন, "ইরাকের ইউফ্রেটিস নদী থেকে শুরু করে মিশরের নীল নদ পর্যন্ত পুরো অঞ্চলটিই হোলি ল্যান্ড। ইতিহাসের ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চল থেকেই দাজ্জাল ও তার অনুসারীরা কিছু সময়ের জন্য বিশ্ব নিয়ন্ত্রণ করবে—যেমনটি করেছিল দাউদ (আ.) ও সুলাইমান (আ.)-এর আমলে বনি ইসরাঈল।"
আবু ত্বহা তার পোস্টে সরাসরি ইসরায়েল নয় বরং এর পেছনের 'জায়নিস্ট মাস্টার প্ল্যান'-এর দিকেই ইঙ্গিত করেন। তিনি বলেন, "চলমান ইস্যুটি ইসরায়েলের একক পরিকল্পনা নয়, বরং এটি একটি বৃহৎ আন্তর্জাতিক চক্রান্ত। এর পেছনে রয়েছে ইয়াহুদ, নাসারা, মুশরিক ও মুনাফিক সম্প্রদায়।"
তিনি দাবি করেন, “তাদের উদ্দেশ্য হলো একটি মহাযুদ্ধের (মালহামা) মধ্য দিয়ে বিশ্ব ব্যবস্থার রূপান্তর ঘটানো। পশ্চিমা ও আমেরিকান আধিপত্যকে সরিয়ে ইসরায়েলকে ‘নতুন রুলিং স্টেট’ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা এবং তারপর দাজ্জালের আগমন ঘটানো। এর পরই আল্লাহর ইচ্ছায় নবুয়্যাতের আদলে গ্লোবাল খিলাফাহ প্রতিষ্ঠা হবে ইনশাআল্লাহ।”
তবে শিয়াদের প্রতি তার দৃষ্টিভঙ্গিও স্পষ্ট করে তিনি বলেন, “যদি ইসরায়েলের মতো দাজ্জালের অনুসারীদের বিরুদ্ধে কেউ অবস্থান নেয়—সে শিয়া হোক, নাসারা হোক বা মুশরিক হোক—তাহলেও তাদের অবস্থানকে সাময়িকভাবে গ্রহণযোগ্য বিবেচনা করা যায়, একমাত্র ইসরায়েলের বিরুদ্ধেই যদি সে অবস্থান নেয়।”
পোস্টের শেষাংশে তিনি মুসলিমদের প্রস্তুতির আহ্বান জানিয়ে বলেন, “এ বিশ্ব কিয়ামাতের পূর্বে সেই গৌরবময় খিলাফাহর জন্য নিজেকে প্রস্তুত করছে। তাই আসুন, আমরাও প্রস্তুত হই।” তিনি দোয়া করে বলেন, “আল্লাহুম্মা ওয়াফফিক্বনা ইয়া রব্বা মুহাম্মাদ!”
আসিফ