
ছবি: সংগৃহীত।
ইরানে ইসরায়েলের সামরিক হামলার পর বিশ্বজুড়ে দেশগুলো তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে। অনেক দেশ হামলার তীব্র নিন্দা করেছে, আবার কেউ কেউ উদ্বেগ প্রকাশ করে দ্বন্দ্ব প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে।
সৌদি আরব: দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে ইসরায়েলের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেছে, "এই স্পষ্ট আগ্রাসন ইরানের সার্বভৌমত্ব ও নিরাপত্তাকে খর্ব করছে এবং এটি আন্তর্জাতিক আইন ও বিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।"
চীন: ইরানে চীনা দূতাবাস পরিস্থিতিকে “জটিল ও সংকটপূর্ণ” হিসেবে উল্লেখ করে চীনা নাগরিকদের সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছে। তাদের ভিড়পূর্ণ ও সংবেদনশীল এলাকা এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জানিয়েছেন, এই হামলায় যুক্তরাষ্ট্র কোনোভাবেই জড়িত নয়। তিনি বলেন, “আমাদের শীর্ষ অগ্রাধিকার হলো—এই অঞ্চলে মোতায়েন মার্কিন বাহিনীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।”
অস্ট্রেলিয়া: পররাষ্ট্রমন্ত্রী পেনি ওয়ং বলেছেন, “ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে এই উত্তেজনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।” তিনি সব পক্ষকে সংলাপ ও কূটনীতির পথ বেছে নেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, “এই ঘটনা এমন এক অঞ্চলে আরও অস্থিরতা ডেকে আনতে পারে, যা ইতোমধ্যে ভঙ্গুর অবস্থায় রয়েছে।”
নিউজিল্যান্ড: প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টোফার লাক্সন হামলাকে “মধ্যপ্রাচ্যের জন্য অত্যন্ত অনাকাঙ্ক্ষিত একটি ঘটনা” বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, “এই পরিস্থিতিতে ভুল হিসাবের ঝুঁকি খুব বেশি।” তিনি মনে করেন, ওমানে নির্ধারিত যুক্তরাষ্ট্র-ইরান পরমাণু আলোচনা ছিল উত্তেজনা প্রশমনের সঠিক পথ, যদিও এখন তা অনুষ্ঠিত হবে কি না, তা অনিশ্চিত।
জাতিসংঘ: মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এক বিবৃতিতে মধ্যপ্রাচ্যে যেকোনো ধরনের সামরিক উত্তেজনা বৃদ্ধির নিন্দা জানিয়ে বলেন, “সব পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানাচ্ছেন তিনি।” রয়টার্সের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বিশ্ব কূটনীতিতে এখন নজর রয়েছে মধ্যপ্রাচ্যে – যেখানে একটি হামলা, প্রতিশোধ এবং আবার প্রতিক্রিয়ার ভয়াবহ চক্র শুরু হয়ে যেতে পারে।
সূত্র: https://short-link.me/14ljS
মিরাজ খান