
ছবি: সংগৃহীত
গত ১৫ বছরে চামড়া শিল্পের অধঃপতন, নৈরাজ্য সিন্ডিকেট গড়ে উঠেছে, এতো দ্রুত ভাঙ্গা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন অন্তবর্তী সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন।
সোমবার (৯ জুন) দুপুরে দক্ষিণ পশ্চিমঞ্চলের সর্ববৃহৎ চামড়ার হাট পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বাণিজ্য উপদেষ্টা বলেন, 'আমরা চামড়া শিল্পে সবার আগে এতিমখানা, মাদ্রাসার স্বার্থ রক্ষার কাজ করছি। আমরা কাজ করছি, দেশের চামড়া শিল্পের স্বার্থ, দেশের চামড়া শিল্পের ভবিষ্যত নিয়ে। চামড়া শিল্পের যে অদপতন ঘটেছে গত ১৫ বছরে, নৈরাজ্য সিন্ডিকেট ভেঙে দেওয়া জন্য সারাদেশে আমি ব্যক্তিগতভাবে ঘুরে বেড়াচ্ছি। সবকিছু পর্যবেক্ষণ করছি, এছাড়া কন্ট্রোল টিমও কাজ করছে।
চামড়া শিল্প রক্ষার্থে অন্তবর্তী সরকার যত কর্মকান্ড করেছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন সরকার করেনি মন্তব্য করে শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, 'চামড়ার মূল্য সঠিক ও বৃদ্ধির করার লক্ষে সাড়ে সাত লক্ষ টন লবণ বিতরণ করা হয়েছে। লবণ দিয়ে সরকার চামড়ার মূল্যবৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা কাজ করেছে। অনেক মাদ্রাসা আছে, লবণ ছাড়া চামড়া দিয়েছে। সরকার লবণ ছাড়া চামড়ার মূল্য নির্ধারণ করে না। অনেক মৌসুমি ব্যবসায়ী চামড়া সম্পর্কে ধারণা না থাকাতে নষ্ট করেছে, ফলে তারা কাঙ্খিত দাম পায়নি। ট্যানারি মালিকদের সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তাদের প্রণোদনার ২২০ কোটির টাকা ঈদের আগে ছাড় করেছে সরকার। বাজার ব্যবস্থাপনা সম্পসারণ করেছি। আমরা যে পদক্ষেপ নিয়েছি বহিবিশ্বে চামড়া শিল্পের চাহিদা তৈরি হবে। চামড়ার নৈরাজ্য নিয়ে এখনোও সরকারের উপর দায় চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে।
আমরা বলতে চাই, চামড়া শিল্প রক্ষার্থে সরকার যত কর্মকান্ড করেছে বাংলাদেশের ইতিহাসে কোন সরকার করেনি। সবার সহযোগিতা পেলে আমরা আমাদের লক্ষে যেতে পারবো।। এসব জেলা প্রশাসক আজাহার ইসলাম, পুলিশ সুপার রওনক জাহানসহ বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। চামড়ার হাট পরিদর্শন শেষে যশোর সদরের বারিনগরে ইউএসডিএ অর্থায়নে স্থাপিত সবজির হিমাগর পরিদর্শন করেন।
রিফাত