ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৪ মে ২০২৫, ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করতে পারবে তদন্ত সংস্থা

প্রকাশিত: ০৯:৫৬, ২৪ মে ২০২৫

অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজনকে গ্রেফতার করতে পারবে তদন্ত সংস্থা

ছবি: সংগৃহীত

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত বা সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে এখন থেকে গ্রেপ্তার করতে পারবে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। ২০১০ সালের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল কার্যপ্রণালী বিধিমালায় সম্প্রতি আনা হয়েছে এমনই একটি গুরুত্বপূর্ণ সংশোধন। সংশ্লিষ্ট মহল বলছে, এটি গণহত্যায় জড়িতদের বিচার প্রক্রিয়ায় গতি আনবে, তবে আইনজীবীদের মতে, অবারিত ক্ষমতার অপব্যবহার রোধে প্রয়োজন কঠোর নিয়ন্ত্রণ।

সংশোধিত বিধিমালা অনুযায়ী, তদন্ত সংস্থা ছাড়াও সংশ্লিষ্ট প্রসিকিউটর এবং পরোয়ানাভুক্ত আসামিদের গ্রেপ্তারের এখতিয়ার থাকছে। এই পরিবর্তনকে কার্যকর মনে করছেন ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটররা, কারণ অতীতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা থাকা সত্ত্বেও বহু আসামি ধরা-ছোঁয়ার বাইরে ছিল শুধুমাত্র তদন্ত সংস্থার এই ক্ষমতা না থাকায়।

২০২৫ সালে জারিকৃত প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী, মোট ২৪টি বিধিতে সংশোধন আনা হয়েছে। এর মধ্যে ৫টি বিধি সম্পূর্ণভাবে এবং ১৯টি আংশিকভাবে বিলুপ্ত করা হয়েছে। নতুন সংশোধনীতে ব্যক্তি ছাড়াও সংগঠনকে অভিযুক্ত করার সুযোগ রাখা হয়েছে।

এছাড়া আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের ক্ষেত্রে চিফ প্রসিকিউটরকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ কিছু ক্ষমতা। তিনি চাইলে একাধিক আসামিকে একসাথে বা ভাগ করে (যেমন: ৫ জন বা ১০ জন করে) বিচার প্রক্রিয়ায় আনতে পারবেন এবং ফরমাল চার্জ দাখিল করতে পারবেন।

তবে এই ক্ষমতার অপব্যবহার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবীরা। ব্যারিস্টার ওমর ফারুক বলেন, “এই ক্ষমতা যেন ব্যক্তিগত স্বার্থে কিংবা পার্সোনাল দ্বন্দ্বে ব্যবহৃত না হয়, সে জন্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি এই ক্ষমতা যদি কেউ অপব্যবহার করে, তাহলে তার শাস্তি কী হবে, সেটাও স্পষ্ট করে বিধানে সংযোজন করতে হবে।”

এই সংশোধনীর ফলে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের কার্যক্রম আরও কার্যকর হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা, তবে এর অপব্যবহার রোধে নজরদারিরও দাবি তুলেছেন বিশ্লেষকরা।

 

সূত্র: https://www.youtube.com/watch?v=pp_79F2Gb20

এএইচএ

×