ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ০৮ মে ২০২৫, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২

ইনোভেশন যত বেশি আদান-প্রদান হবে, তত বেশি সফল হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

প্রকাশিত: ২৩:৩৫, ৭ মে ২০২৫; আপডেট: ২৩:৩৫, ৭ মে ২০২৫

ইনোভেশন যত বেশি আদান-প্রদান হবে, তত বেশি সফল হবে: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

ছবি: জনকণ্ঠ

মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার বলেছেন, “ইনোভেশন যত বেশি পরস্পর আদান-প্রদান করা যাবে, ইনোভেশন তত বেশি সফল হবে।” তিনি বলেন, ইনোভেশনের সুফল পেতে হলে সেটিকে গ্রামগঞ্জের সাধারণ মানুষের দোরগোঁড়ায় পৌঁছে দিতে হবে।

আজ সকালে বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের সম্মেলন কক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় কর্তৃক আয়োজিত ‘ইনোভেশন শোকেসিং ২০২৫’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপদেষ্টা এ কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদের প্রতি সচেতন করতে পারলে দেশ সামনের দিকে আরো এগিয়ে যাবে। উন্নয়নের জন্য মাঠ পর্যায় থেকেই ইনোভেটিভ আইডিয়া সংগ্রহ করতে হবে। তিনি সংশ্লিষ্ট সকল দপ্তর ও সংস্থাকে ভবিষ্যতে আরও বেশি সংখ্যক ইনোভেটিভ আইডিয়া উপস্থাপনের আহ্বান জানান।

নারীদের উদ্ভাবনী ক্ষমতার প্রশংসা করে উপদেষ্টা বলেন, পান্তা ভাত সংরক্ষণের জন্য পানির ব্যবহার এবং লেবু পাতার মাধ্যমে পঁচা মাছ খাওয়ার উপযোগী করার মতো ইনোভেটিভ ধারণাগুলো প্রথম এসেছে নারীদের কাছ থেকেই। তাই ইনোভেশন কার্যক্রমে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) মো: তোফাজ্জেল হোসেন। তিনি বলেন, মন্ত্রণালয় ও দপ্তর সংস্থাগুলোর দক্ষ জনবলকে কাজে লাগাতে পারলে দেশ আরও এগিয়ে যাবে। প্রতিদিন নতুন নতুন ইনোভেটিভ চিন্তা করার অভ্যাস গড়ে তুললে নিজেদের সফল মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও চিফ ইনোভেশন অফিসার মো: ইমাম উদ্দীন কবীর। তিনি বলেন, দপ্তর সংস্থাগুলো নিয়মিত ইনোভেশন নিয়ে কাজ করলে সরকারি সেবা সহজেই জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানো সম্ভব হবে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এটুআই এর প্রকল্প পরিচালক মো: রশিদুল মান্নাফ কবীর। এছাড়াও বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানগণ এবং ইনোভেশন টিমের সদস্যগণ অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেন।

প্রসঙ্গত, এবারের ইনোভেশন শোকেসিং-এ মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন আটটি দপ্তর সংস্থা মোট ৩০টি ইনোভেশন নিয়ে প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করেছে। এর মধ্যে প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ১১টি, মৎস্য অধিদপ্তরের ১০টি, বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের ৩টি, বাংলাদেশ ভেটেরিনারি কাউন্সিলের ২টি, বাংলাদেশ মৎস্য গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২টি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ তথ্য দপ্তরের ১টি এবং মেরিন ফিশারি একাডেমির ১টি ইনোভেশন রয়েছে।

রবিউল

×