
ছবিঃ প্রতিবেদক
জয়পুরহাট বিআরটিএর কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ডাইভিং লাইসেন্স, যানবাহনের রেজিষ্ট্রেশন, ফিটনেস সার্টিফিকেট সেবা পেতে দালাল চক্র এবং অফিসের কতিপয় কর্মচারী ঘুষের বিনিময়ে কাজ করে থাকেন বলে দুদক অভিযোগ পায়। তারা জয়পুরহাট কার্যালয়ের দুই কর্মচারীর সংশ্লিষ্টতা পান। পরে ওই দুই কর্মচারীর মোবাইল ফোন জব্দ করে দুদক।
বুধবার (৭ মে) জয়পুরহাট বিআরটিএ কার্যালয়ে বেলা সাড়ে ১১ টাকা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত এ অভিযান চলে। দুর্নীতি দমন সমন্বিত নঁওগা জেলা কার্যালয়ের ৫ সদস্যের একটি দল এ অভিযান পরিচালনা করেন।
তারা ২৩ নম্বর কক্ষে অভিযান চালিয়ে ওইখানে কর্মরত থাকা বাংলাদেশ মেশিন এবং টুলস ফ্যাক্টরি (বিএমটিএফ) দুই কর্মচারীর মোবাইলফোন চেক করে ঘুষ লেনদেন এবং নানা আর্থিক অনিয়মের সত্যতা পান। তাদের ওই ২ মোবাইল জব্দ করে। এ কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের ল্যাপটপও চেক করেন দেখেন দুদকের কর্মকর্তাগণ।
সেখানে অবস্থানরত সংবাদকর্মীদের ব্রিফিং করেন দুর্নীতি দমন সমন্বিত নঁওগা কার্যালয়ের উপ সহকারি পরিদর্শক মাহবুবা খাতুন ও আল-মামুন। তারা বলেন, ঘুষ ও আর্থিক অনিয়মের যথেষ্ট সত্যতা তারা পেয়েছেন। জয়পুরহাট কার্যালয়ে কর্মরত আতিকুল ইসলাম ও মেহেদুল ইসলাম ঘুষ দুর্নীতির সাথে জড়িত। এ অফিসের যে সব অনিয়ম দুর্নীতি রয়েছে সে বিষয়ে তারা প্রতিবেদন তৈরি করে দুর্নীতি দমন কমিশন কার্যালয় ঢাকাতে পাঠাবেন।
তবে আতিকুল ও মেহেদুল তাদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাদের মোবাইল ফোন নিয়েছেন দুদক কর্মকর্তা মহোদয়। তারা কোনো ঘুষ দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেন।
জয়পুরহাট বিআরটিএ’র কার্যালয়ের উপ-পরিচালক (এডি) প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ‘বিএমটিএফ এর অধীনে কর্মরত ২ কর্মচারীর বিরুদ্ধে ঘুষ ও আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ পেয়েছেন বলে দুদক কর্মকর্তাগণ জানান। তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহনের কথা বলেছেন। সে মোতাবেক উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে তিনি ব্যবস্থা নিবেন।
আরশি