
ছবি : সংগৃহীত
সাম্প্রতিক সময়ের যুদ্ধবিমানের ইতিহাসে এক বিরল অধ্যায়ের জন্ম দিয়েছে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘটিত একটি ব্যাপক ডগ ফাইট বা সম্মুখ লড়াই। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে পাকিস্তানের এক জ্যেষ্ঠ নিরাপত্তা কর্মকর্তা জানান, মঙ্গলবার (৬ মে) মধ্যরাতের পর রাত ১টা নাগাদ ভারতের হামলার পর পাকিস্তানের বিমানবাহিনী তাৎক্ষণিক পাল্টা জবাব দেয়। এতে প্রায় ১২৫টি পাকিস্তানি যুদ্ধবিমান অংশ নেয় এবং দুই পক্ষের মধ্যে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে আকাশে তীব্র লড়াই চলে। তবে উভয় দেশই তাদের নিজ নিজ আকাশসীমা রক্ষা করে, কোনো পক্ষই সীমান্ত লঙ্ঘন করেনি।
এই লড়াইয়ের সময় আকাশে একাধিকবার এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়, যেখানে ১৬০ কিলোমিটার বা প্রায় ১০০ মাইল দূর থেকে একে অপরের দিকে মিসাইল নিক্ষেপ করা হয়। পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের দাবি, এই সংঘর্ষে তারা পাঁচটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান ভূপাতিত করেছে। যদিও এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে এখনো কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়, ভারতের যুদ্ধবিমানগুলো পাকিস্তানের অভ্যন্তরে নির্দিষ্ট লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত হানার চেষ্টা চালিয়ে যায়, এবং তাদের একাধিকবার চেষ্টার পরও তা সফলভাবে প্রতিহত করা হয়। এসময় ইসলামাবাদ সরকার সম্ভাব্য হামলার আশঙ্কায় সাধারণ নাগরিকদের সতর্ক করতে সচেষ্ট ছিল, যার ফলে হতাহতের সংখ্যা কম রাখা সম্ভব হয়েছে বলে জানানো হয়।
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ সালেও দুই দেশের মধ্যে ভয়াবহ ডগ ফাইট হয়, যেখানে পাকিস্তানের আকাশসীমায় একটি ভারতীয় যুদ্ধবিমান গুলি করে নামানো হয় এবং পাইলট অভিনন্দন বর্তমানকে আটক করা হয়েছিল। তবে এবার দুই পক্ষই আগের সেই উত্তেজনাকর পরিস্থিতি এড়াতে চেয়েছে, এবং একে অপরের ভূখণ্ডে অনুপ্রবেশ না করেই সংঘর্ষ চালিয়েছে।
পাকিস্তানি কর্মকর্তাদের মতে, আধুনিক কালের সবচেয়ে দীর্ঘ ও বৃহৎ ডগ ফাইট হিসেবে এই যুদ্ধ ইতিহাসে উল্লেখযোগ্য হয়ে থাকবে।
আঁখি