
ছবি: জনকণ্ঠ
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বিজ্ঞাপন দিয়ে সবুজ টিয়া পাখি বিক্রির চেষ্টাকালে এক ব্যক্তিকে ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এর আগে ক্রেতা সেজে বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করে অভিযান চালিয়ে পাঁচটি টিয়া পাখির ছানা জব্দ করেন বন বিভাগের কর্মকর্তারা।
রবিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার বোয়ালখালী বাজার এলাকা থেকে পাখিগুলো জব্দ করা হয়। এ সময় বিক্রেতা মো. হাফিজুর রহমানকে আটক করা হয়। তিনি খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলার মেরুং ইউনিয়নের রেংকার্যা গ্রামের বাসিন্দা। তাঁর বাবার নাম আবু হানিফ।
বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, ‘নীল আকাশের প্রজাতির’ নামে একটি ফেসবুক আইডি থেকে বন্যপ্রাণী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত সবুজ টিয়া বিক্রির বিজ্ঞাপন দেওয়া হয়। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে বন বিভাগের নাড়াইছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান, হাজাছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. সাজ্জাদ হোসেন, মেরুং রেঞ্জের সহকারী রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. জাফর উল্লাহ ও মো. আব্দুল কুদ্দুস বিক্রেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেন। এরপর ক্রেতা সেজে ঘটনাস্থলে গিয়ে পাখিগুলো উদ্ধার করেন তারা।
পরে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মামুনুর রশীদ মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে বিক্রেতাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে এক মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, বন্যপ্রাণী (সংরক্ষণ ও নিরাপত্তা) আইন অনুযায়ী পাখি বা বন্যপ্রাণী শিকার, ধরা কিংবা বিক্রি করা দণ্ডনীয় অপরাধ। বিক্রেতা মো. হাফিজুর রহমান ২৫ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেছেন। আর টিয়া পাখির ছানাগুলো বন বিভাগের হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
নাড়াইছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. মতিউর রহমান বলেন, পাখির ছানাগুলো এখনো ভালোভাবে উড়তে পারে না। আপাতত বন বিভাগের হেফাজতে রয়েছে। উড়ার উপযুক্ত হলে বনে ছানাগুলোকে অবমুক্ত করা হবে।
শহীদ