ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ২৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১২ মাঘ ১৪৩১

‘দুই পাশে পাকিস্তান নিয়ে সংসার করা ভারতের জন্য স্বস্তিদায়ক ছিল না’

প্রকাশিত: ১৩:৩৫, ৮ ডিসেম্বর ২০২৪

‘দুই পাশে পাকিস্তান নিয়ে সংসার করা ভারতের জন্য স্বস্তিদায়ক ছিল না’

রুমিন ফারহানা। ফাইল ফটো

১৯৭১ সালের খোঁটা কথায় কথায় দেয় ভারত। ভারতের মনে রাখা উচিত, ৭১ সালে তারা বাংলাদেশকে সহযোগিতা করেছে। কারণ দুই পাশে পাকিস্তান নিয়ে সংসার করা ভারতের জন্য খুব স্বস্তিদায়ক ছিল না। বাংলাদেশকে পাকিস্তান থেকে আলাদা করা ভারত তার নিজের স্বার্থে করেছে।

সম্প্রতি গণমাধ্যমে এক টক শো অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ব্যারিস্টার রুমিন ফারহানা।

তিনি বলেন,ভারতের বিষয়টা এ রকম যে, গত ১৫ বছর ভারত একটা বিষয় ভাবতে অভ্যস্ত হয়েছিল, বাংলাদেশ  ভারতের সেভেন সিস্টার না এইট সিস্টারস, এর একটা প্রদেশ হিসেবে তারা বাংলাদেশকে চিন্তা করেছে। চিন্তা করেছে বলেই আজকে ভারতের এ রকম দিশেহারা অবস্থা না হলে- একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশের সরকারে কে আসলো? কে গেল? কে পালিয়ে যেতে বাধ্য হলো? কে তার দেশের মানুষের উপর গুলি চালিয়ে মানুষের ঘৃণা অর্জন করল? সেটা তো আসলে ভারতের মাথা ব্যথা হওয়ার কথা না। ভারত যেহেতু বাংলাদেশকে এই ১৫ বছরে তার অষ্টম অঙ্গরাজ্য বলে ভাবতে অভ্যস্ত হয়ে গেছে। সুতরাং এটা ভারতকে ভীষণভাবে আঘাত করেছে। এবং ভারতের মধ্যে এক ধরনের উন্মাদ প্রবণতা আমি লক্ষ্য করি। 

আলোচনায় রুমিন ফারহানা বলেন, ভারতকে বন্ধু রাষ্ট্র বলে শেখ হাসিনা গলা ফাটাতো বন্ধু রাষ্ট্র হচ্ছে সেটা ভারতের কথা যদি ধরি যে কিনা চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে রাখে না সেই কাঁটাতারের বেড়ার উপর আবার ফেলানি ঝোলে। সেই সময়ে তৎকালীন মন্ত্রীদেরকে আমরা বলতে শুনেছি, বাংলাদেশের মানুষ দায়ী। কারণ তারা রাতের বেলা গরু চুরি করে নিয়ে আসে চোরাচালানের সঙ্গে যুক্ত হয়। এ কারণেই নাকি বিএসএফ তাদের গুলি করে মারতে বাধ্য হয়।

বর্ডার কিলিং এর মতন নিশংসতা যেটাকে গার্ডিয়ান বলছে, দক্ষিণ এশিয়ার বদ্ধভূমি বাংলাদেশ এবং ভারতের সীমানা দক্ষিণ এশিয়ার বদ্ধভূমি এই বদ্ধভূমিটা হয়েছে বাংলাদেশের মানুষের দোষে। এই সরকারকে আমি সাধুবাদ জানাই এই সরকার আসবার পরে আমরা ভারতের সঙ্গে একটা আত্মমর্যাদাশীল জাতি হিসেবে চোখে চোখ রেখে কথা বলতে পারছি। আমরা ভারতের হাই কমিশনারকে তলব করে আনতে পারছি। আমরা সারা কুককে ডেকে আনতে পারছি। বলতে পারছি যে আপনারা যে রিপোর্ট দিচ্ছেন সেই রিপোর্ট একেবারেই ভুয়া। এই সাধুবাদটুকু যদি এই সরকারকে দিতে আমরা কার্পণ্য করি- সেটা অবিচার করা।

তিনি আরও বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না, ছোট্ট নেপাল, তার একজন নাগরিককে হত্যার জন্য অজিত দোবায়ালকে ক্ষমা চাইতে বাধ্য করেছিল। এবং অলি কিন্তু তার প্রথম সফর, রাষ্ট্রীয় সফর চীনে করছে, ভারতে না। নেপাল যদি পারে ,ভুটান যদি পারে, শ্রীলঙ্কা যদি পারে, মালদ্বীপ যদি পারে, হোয়াই নট বাংলাদেশ।

আপনি দেখেন, ভারতে বিভিন্ন দল মত আছে এবং তারা পরস্পরের বিরুদ্ধে একেবারে সোরগোল করে ফেলে। কিন্তু বাংলাদেশ হচ্ছে- সেই ইস্যু বাংলাদেশের ডিসইনফরমেশন হচ্ছে সেই ইনফরমেশন যেই ডিসইনফরমেশনের ব্যাপারে আপনি মমতা বন্দোপাধ্যায় থেকে শুরু করে বিজেপির নেতা শুভেন্দু পর্যন্ত, কিংবা ধরুন কংগ্রেস পর্যন্ত আপনি সকলকে ঐক্যমতে আসতে দেখবেন।


 

এসআর

×