ঢাকা, বাংলাদেশ   সোমবার ২০ মে ২০২৪, ৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১

জলদস্যুদের কবলে বাংলাদেশি জাহাজ 

মায়ের সঙ্গে কথা বলার সময় ফোন কেড়ে নেয় জিম্মিকারীরা

প্রকাশিত: ১৭:০০, ১৩ মার্চ ২০২৪; আপডেট: ১৭:০৫, ১৩ মার্চ ২০২৪

মায়ের সঙ্গে কথা বলার সময় ফোন কেড়ে নেয় জিম্মিকারীরা

ইঞ্জিনিয়ার তৌফিকুল ইসলাম

ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ান জলদস্যুদের কবলে বাংলাদেশি পতাকাবাহী জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’। জিম্মি জাহাজে থাকা ২৩ জনই বাংলাদেশি। তাদের একজন প্রকৌশলী তৌফিকুল ইসলাম। তিনি খুলনা মহানগরীর বয়রার বাসিন্দা।

জিম্মি হওয়ার পর দুবার স্ত্রী ও মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তৌফিকুল। তিনি জিম্মি জাহাজটির সেকেন্ড ইঞ্জিনিয়ার। 

মঙ্গলবার (১২ মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে মায়ের কাছে দোয়া ও ক্ষমা চান তিনি। এ সময় তার মোবাইল ফোন নিয়ে যায় জিম্মিকারীরা। এরপর থেকে তার সঙ্গে আর যোগাযোগ হয়নি পরিবারের। বর্তমানে তার পরিবারে শোকাবহ অবস্থা।

ইঞ্জিনিয়ার তৌফিকুল ইসলামের মা দিল আফরোজ জানান, জাহাজ থেকে গোপনে মোবাইল ফোনে কল দিয়ে দোয়া চেয়েছেন তৌফিক। মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে তার সঙ্গে সর্বশেষ কথা হয়। এ সময় জলদস্যুরা তার ফোনটি কেড়ে নেয়।

খুলনা মহানগরীর বয়রার করিমনগর এলাকার ২০/১ নম্বর বাড়ির বাসিন্দা মো. ইকবালের তৃতীয় সন্তান তৌফিকুল ইসলাম। এক ছেলে ও এক মেয়ের বাবা তিনি।

তৌফিকের স্ত্রী জুবায়দা নোমান জানান, মঙ্গলবার বিকালে শাশুড়ি মায়ের সঙ্গে কথা বলে তৌফিকুল। ওইদিন বেলা ২টার দিকে আমার সঙ্গে যোগাযোগ হয় তার। এ সময় তৌফিক জলদস্যুদের কবলে পড়ার বিষয়টি মা-বাবাকে জানাতে নিষেধ করেন। একই সঙ্গে তার জন্য দোয়া করতে বলেন।

তিনি আরও জানান, আমাদের দাবি দ্রুত যেন আমার স্বামীসহ সকলকে উদ্ধারে সরকার পদক্ষেপ নেয়। আমি আমার স্বামীকে দ্রুত ফিরে পেতে চাই। আমার স্বামী কী অবস্থায় আছে তা নিয়ে উৎকণ্ঠায় রয়েছি। ২০০৮ সাল থেকে আমার স্বামী জাহাজে চাকরি করলেও এ ধরনের বিপদে এই প্রথমবার পড়েছে।

২০০৮ সাল থেকে বিভিন্ন জাহাজে চাকরি করছেন তৌফিক। তার বড় দুই ভাই ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তৌফিক লেখাপড়া শিখে সাগরে ঘুরে বেড়ানোর চাকরি নেন। ‘এমভি আবদুল্লাহ’য় যোগদান করেন ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে। 
 

এসআর

সম্পর্কিত বিষয়:

×