ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১

ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড অমান্য, খাদ্য মজুত ও ভেজাল এবং কিশোর গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে

কঠোর হওয়ার নির্দেশ

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ২৩:৩৭, ৩ মার্চ ২০২৪

কঠোর হওয়ার নির্দেশ

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘জেলা প্রশাসক সম্মেলন-২০২৪’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুনির্দিষ্ট তিনটি বিষয়ে কঠোরভাবে প্রতিপালন ও নজরদারি বাড়াতে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) নির্দেশ দিয়েছেন। তিনটি ইস্যুর মধ্যে রয়েছেÑ সারাদেশে ভবন নির্মাণে বিল্ডিং কোড সবাই যাতে মেনে চলে সে ব্যাপারে নিশ্চিত করা, খাদ্য মজুত ও ভেজালের বিরুদ্ধে কঠোর হওয়া এবং হঠাৎ বেড়ে ওঠা কিশোর গ্যাং গোড়া থেকে ধরতে হবে এবং পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে। 
রবিবার তাঁর কার্যালয় (পিএমও) শাপলা হলে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) চার দিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলনের উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী সুনির্দিষ্ট এই তিনটি ইস্যুতে জেলা প্রশাসকদের কঠোর হওয়ার নির্দেশ দিয়ে বলেন, বিল্ডিং কোড সঠিকভাবে রক্ষণাবেক্ষণের মাধ্যমে ভবন নির্মাণ করা হচ্ছে কিনা তা সবাইকে লক্ষ্য রাখতে হবে। শুধু সিটি করপোরেশন এলাকায় নয়, দেশের অন্যান্য স্থানেও এটি অনুসরণ করতে হবে। রমজানকে সামনে রেখে যে কোনো ধরনের খাদ্য মজুত ও ভেজালের বিরুদ্ধেও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, স্থাপনা নির্মাণ করতে গেলে সেটা যেন বিল্ডিং কোড মেনে করা হয় সেদিকে সবাইকে দৃষ্টি দিতে হবে। অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা, পর্যাপ্ত আলো বাতাস সরবরাহের ব্যবস্থা, বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের ব্যবস্থা এগুলো রেখেই নির্মাণ করতে হবে। তিনি সাম্প্রতিক অগ্নিকা-ে ক্ষতিগ্রস্ত বেইলি রোডের দুর্ঘটনা কবলিত স্থানে দ্রুত ছুটে যাওয়ায় এবং জনগণের পাশে দাঁড়ানোয় ঢাকা জেলা প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানান।

তিন ফসলি আবাদি জমি বাড়িঘর বা শিল্প-কারখানাসহ অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করা যাবে না মর্মে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে মাঠ প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের ফসলি জমিকে রক্ষা করতে হবে। তার সরকার দেশের উন্নয়ন করছে, পাশাপাশি দেশের মানুষের অধিকারটাও নিশ্চিত করা দরকার। 
তিনি বলেন, কোভিড-১৯ অতিমারি এবং ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব বিশ্ব অর্থনীতিতে পড়েছে। পৃথিবীতে  এখন এমন দেশও রয়েছে যেখানে মূল্যস্ফীতি ৪০ ভাগে উঠে গেছে। বাংলাদেশও এর থেকে দূরে নয়, যদিও বাংলাদেশে এখনো মূল্যস্ফীতি ১০ ভাগের নিচে রয়েছে। কিন্তু তার পরও এটা একটা সমস্যা রয়ে গেছে। সে দিক থেকে আমাদের সব সময় লক্ষ্য রাখতে হবে আমাদের বাজার পরিস্থিতি কেমন রয়েছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সামনে রমজান মাস আসছে। এ সময় কিছু কিছু ব্যবসায়ী থাকে তারা সব সময় মজুতদারি করে, পণ্যের দাম বাড়িয়ে মুনাফা লুটতে চায়। কাজেই সেদিকে আমাদের নজর দিতে হবে, কেননা এটি আমাদের সামনে একটি আশু করণীয় কাজ। কোথাও যেন ভোক্তাদের কোনো রকম হয়রানির শিকার হতে না হয়। আর আমাদের দেশীয় উৎপাদন বাড়াতে হবে। পরনির্ভরশীলতা কমাতে হবে, আর এটা যে আমরা করতে পারি সেটা কিন্তু আমরা অনেক ক্ষেত্রে প্রমাণ করেছি। সেদিকে একটু নজর দেওয়া একান্তভাবে দরকার।
তিনি বলেন, আরেকটি বিষয় হচ্ছে সরবরাহ। কখনো শোনা যায় সেটা নিয়েও সমস্যার সৃষ্টি হয় অথবা একটি কৃত্রিম সংকট সৃষ্টির চেষ্টা করা হয়। কেউ কেউ মজুতদারি করে। পণ্য পচিয়ে ফেলবে তবু বাজারে ছাড়বে না। সেদিকে বিশেষভাবে দৃষ্টি দিয়ে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা দরকার। যে জন্য রমজান মাসকে সামনে রেখেই এ কথাগুলো আমি সবার আগে বললাম।

যাতে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য যথাযথভাবে সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারে সে ব্যবস্থা নিশ্চিত করার দিকে সবাইকে নজর দিতে হবে। তিনি বলেন, খাদ্যে ভেজাল দেওয়া প্রতিরোধেও জেলা প্রশাসকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে বলেন, রোজা আসলেই এই সমস্যাগুলো বেশি পরিমাণে দেখা দেয়। এগুলোর দিকেও নজর দেওয়া একান্তভাবে দরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রী ফরহাদ হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন। মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাগত বক্তব্য দেন এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়াও বক্তব্য রাখেন। বিভাগীয় কমিশনারদের পক্ষে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ঢাকার বিভাগীয় কমিশনার মো. সাবিরুল ইসলাম এবং জেলা প্রশাসকদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রামের ডিসি আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান ও গাইবান্ধার ডিসি কাজী নাহিদ রসুল। অনুষ্ঠানে স্থানীয় প্রশাসনের উদ্ভাবন, সেবা এবং সার্বিক উন্নয়নের ওপর একটি ভিডিও ডকুমেন্টারি প্রদর্শিত হয়।
আমাদের সমাজের কিশোর গ্যাং সমস্যার প্রসঙ্গ এনে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যখন ছেলেমেয়েরা স্কুলে যাবে এবং পড়াশোনা করবে সেই সময় এই সমস্যাটা। এটি কোভিড-১৯ চলার সময় বিস্তার লাভ করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। কেননা এ সময়ই এটি সব থেকে বেশি সামনে এসেছে। তিনি বলেন, এ জন্য এলাকাভিত্তিক নজরদারি বাড়াতে হবে।

যারা লেখাপড়া করবে তারা তা না করে কেন বিভিন্ন অসামাজিক কাজে জড়াবে? এ ব্যাপারে কমিশনারগণ এবং জেলা প্রশাসকবৃন্দ   বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অভিভাবকদের নিয়ে সকলের মাঝে সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে, যেন কারও ছেলেমেয়ে এ ধরনের কিশোর গ্যাং, জঙ্গি, সন্ত্রাস ও মাদকাসক্তিতে জড়িয়ে পড়তে না পারে। সে জন্য প্রতিটি পরিবারকে নিজের নিজের সন্তান-সন্ততিদের প্রতি নজরদারি বাড়াতে হবে।
প্রতিকারের থেকে প্রতিরোধের দিকে মনোনিবেশ করার আহ্বান জানিয়ে টানা চতুর্থবারের প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরিবারগুলোকে একটু সচেতন করতে হবে শুধু গ্রেপ্তার করে বা ধরে লাভ নেই। সেক্ষেত্রে সেখানে থাকা বড় অপরাধীদের সংস্পর্শে এসে এরা আরো বড় কোনো ধরনের অপরাধ সংঘটনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যেতে পারে। সে কারণে গোড়া থেকেই আমাদের ধরতে হবে এবং পরিবার থেকেই শুরু করতে হবে।

প্রধানমন্ত্রী মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে জনগণকে কর প্রদানে উৎসাহিতকরণ ও সচেতনতা সৃষ্টি, জনগণকে সার্বজনীন পেনশন স্কিম গ্রহণ, সমবায়ের মাধ্যমে কৃষিকে উৎসাহিতকরণ, সেচ কাজে সোলার প্যানেলের ব্যবহার নিশ্চিত করার উদ্যোগ গ্রহণ ও সমন্বিত বাজার ব্যবস্থা গড়ে তোলার এবং দেশের প্রতি ইঞ্চি অনাবাদি জমিকে চাষের আওতায় আনার উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানান। 
পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় সচেতনতা সৃষ্টি, ভূগর্ভস্থ পানির ব্যবহার রোধ করে ভূউপরিস্থ জলাধার সংরক্ষণ ও এর ব্যবহার নিশ্চিত করা, লবণাক্ততা প্রতিরোধে ব্যবস্থা গ্রহণ ও প্রয়োজনীয় খননকার্য চালানো, জনগণের সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত করতে পানি শোধনাগারগুলোর রক্ষণাবেক্ষণ, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা, সরকারের সামাজিক নিরাপত্তাবলয়ের কর্মসূচিগুলো সম্পর্কে তদারকি নিশ্চিত করা ও যথাযথ প্রাপ্যরাই এর সুবিধা পাচ্ছে কি না তা নিশ্চিত করা, আশ্রয়ণ প্রকল্পগুলোর উপকারভোগীদের খোঁজখবর করা ও তাদের সমস্যার সমাধান, যুব সমাজকে উদ্যোক্তা হিসেবে গড়ে ওঠায় সরকারের সুযোগ-সুবিধা কাজে লাগানোয় উৎসাহিত করার এবং ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী করে দক্ষ জনশক্তি গড়ে তুলতে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করার জন্য জেলা প্রশাসকদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সরকারপ্রধান বলেন, যত বেশি ছেলেমেয়েদের খেলাধুলা এবং সাংস্কৃতিক কর্মকা-ে অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে তত বেশি সন্ত্রাস-জঙ্গিবাদ, মাদকসহ তাদের মাঝে সৃষ্ট বিভিন্ন অপরাধপ্রবণতা কমে আসবে। এ জন্য তিনি উপজেলাভিত্তিক মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণের প্রকল্পগুলার দ্রুত বাস্তবায়ন এবং বছরজুড়ে শিক্ষার্থীদের জন্য নানা রকম প্রতিযোগিতার আয়োজনে জেলা প্রশাসনকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানান।

সরকারের প্রকল্প গ্রহণ এবং বাস্তবায়নের ক্ষেত্রেও মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনকে নজর রাখার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রকল্পগুলো যথাযথভাবে বাস্তবায়ন হচ্ছে কি না এবং এগুলো কতটুকু স্থানীয় জনগণের কাজে আসবে সে বিষয়ে প্রয়োজনে তাঁকে সরাসরি রিপোর্ট প্রদানের আহ্বান জানান তিনি। শুধু নামকা ওয়াস্তে প্রকল্প যেন না করা হয় সে বিষয়ে তিনি সকলকে পুনরায় সচেতন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচিহ্ন, স্মারক এবং গণকবর সংরক্ষণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাসকে আগামী প্রজন্মের সামনে তুলে ধরার পাশাপাশি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ জাতীয় দিবসগুলোর তাৎপর্য নতুন প্রজন্মের সামনে তুলে ধরতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের জন্যও প্রধানমন্ত্রী ডিসিদের প্রতি আহ্বান জানান।
প্রধানমন্ত্রী তাঁকে ভোট দিয়ে পুনরায় সরকার পরিচালনায় সুযোগ করে দেওয়ার মাধ্যমে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখার সুযোগ প্রদানে আবারও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা ব্যক্ত করে  বলেন. আমি ১৯৭৫ সালের পর যে নির্বাচনগুলো প্রত্যক্ষ করেছি এবং অংশ নিয়েছি, তার মধ্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সবচেয়ে সুষ্ঠু, অবাধ এবং গ্রহণযোগ্য হয়েছে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন গ্রহণযোগ্যভাবে অনুষ্ঠানে মাঠ পর্যায়ের প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে তাদের দায়িত্ব পালনের জন্য ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী। তাঁর সরকার সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে চায় উল্লেখ করে সরকারপ্রধান বলেন, ধারাবাহিকভাবে সরকারে আছি তার মানে এই নয় যে ক্ষমতাকে শুধু ভোগ করতে এসেছি। আমি আমার বাবার মতোই বলতে চাইÑ আমি জনগণের সেবক। জনগণকে সেবা দিতে এবং তাদের জন্য কাজ করতে এসেছি। লাখো শহীদের রক্তে রঞ্জিত আমাদের পতাকা, আমাদের স্বাধীনতা। এ কথা আমাদের ভুললে চলবে না।
তাঁর সরকারের উন্নয়ন কাজকে ‘পরশ্রীকাতরতায়’ ভুগে জনগণের সামনে তাঁর সরকারের করে দেওয়া অবাধ তথ্য প্রবাহের সুযোগ নিয়ে মিডিয়ার বিভিন্ন টক শোতে বিকৃতভাবে উপস্থাপনেরও সমালোচনা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।  তিনি বলেন, জাতির পিতা যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশ গড়ে তুলে দেশকে স্বল্পোন্নত দেশের পর্যায়ে রেখে যান। যেখান থেকে তাঁর সরকার দেশকে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে তুলে এনেছে এবং ২০২৬ সাল থেকে সে যাত্রা শুরু হবে।
তিনি বলেন, তখন উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে যে সুবিধাগুলো আমরা পাব সেটা যেমন আমরা কাজে লাগাব তার সঙ্গে সঙ্গে যে চ্যালেঞ্জগুলো আসবে সেগুলো মোকাবিলা করার প্রস্তুতি আমাদের এখন থেকে নিয়ে নিতে হবে এবং আমরা যেন আর পিছিয়ে না পড়ি।
শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়েছে। এখন লক্ষ্য ২০৪১ সাল নাগাদ জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত, সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলাদেশ গড়ে তোলা। তিনি ১৯৭২ সালের ১ ফেব্রুয়ারি সরকারি কর্মচারীদের উদ্দেশে দেওয়া জাতির পিতার ভাষণের উল্লেখযোগ্য অংশ তুলে ধরে সরকারি কর্মচারীদের জনগণের সেবায় আরও আত্মনিয়োগের আহ্বান জানান।

জাতির পিতা বলেছিলেন, ‘সরকারি কর্মচারী ভাইয়েরা আপনাদের জনগণের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে হবে এবং জাতীয় স্বার্থকে সবকিছুর ঊর্ধ্বে স্থান দিতে হবে। এখন থেকে অতীতের আমলাতান্ত্রিক মনোভাব পরিবর্তন করে নিজেদের জনগণের খাদেম বলে বিবেচনা করতে হবে।’
তিনি বলেন, এই জনগণের অর্থেই তো আপনারাও চলেন, আর আমরা যারা এখন মন্ত্রি ও প্রধানমন্ত্রী তারাও চলি। কাজেই জনগণের সেবা করাটাই আমাদের সব থেকে বড় দায়িত্ব। কাজেই তাদের সেবাটাই আমাদের করতে হবে। সেটা মাথায় রেখেই সব কাজ আমাদের হাতে নিতে হবে এবং সকল কাজ সম্পন্ন করতে হবে। এই কথাটা সবাইকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার জন্যও তিনি মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের প্রতি আহ্বান জানান।

×