ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রথম আলোর ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদের

প্রকাশিত: ২০:২৩, ১ এপ্রিল ২০২৩

প্রথম আলোর ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদের

পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদের বিবৃতি

উদ্দেশ্যমূলকভাবে বিভ্রান্তিকর ছবি ও সংবাদ প্রকাশ পাঠকের সঙ্গে প্রতারণা ও অপরাধমূলক সংবাদ পরিবেশন করায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ। 

শনিবার (১ এপ্রিল) এক বিবৃতিতে পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদের নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানায়। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নামে একটি প্রতিষ্ঠিত জাতীয় দৈনিক সাংবাদিকতার সকল রীতি নীতি ভঙ্গ করে ১০ বছরের একজন অবুঝ শিশুর ছবির নীচে ক্যাপশনের পরিবর্তে ৩০ লাখ শহীদের আর দু'লাখ মা- বোনের সম্ভ্রমের বিনিময়ে অর্জিত আমাদের মহান স্বাধীনতাকে কটাক্ষ করে ‘মাছ-মাংস আর চালের স্বাধীনতা’ শীর্ষক সংবাদে একজন দিনমজুরের বক্তব্য প্রকাশ করা হয়েছে। উদ্দেশ্যমূলকভাবে এ ধরনের বিভ্রান্তিকর ছবি ও সংবাদ প্রকাশ পাঠকের সাথে প্রতারণার শামিল। 

আলোচিত সংবাদটি প্রকাশের ক্ষেত্রে সাংবাদিকতা এবং বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ প্রকাশের সকল রীতি-নীতি স্বপ্রণোদিতভাবে উপেক্ষা করে পাঠকের সঙ্গে প্রতারণা করে অমার্জনীয় অপরাধ করা হয়েছে। উপরন্তু এ ধরনের অপরাধমূলক সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকারের পক্ষ থেকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করায় প্রকৃত ঘটনাকে আড়াল করে নির্দিষ্ট কিছু আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমসহ কোন কোন মহল প্রচার করছে যে, দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির সংবাদ প্রকাশ করায় সরকার কর্তৃক গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে নিপীড়নমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এ ধরনের প্রতারণামূলক, ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত সংবাদ প্রকাশ সাংবাদিকতার মতো সুমহান পেশার নামে অপসাংবাদিকতা এবং গর্হিত অপরাধ। 

পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদ পত্রিকাটির সাংবাদিকতার রীতিনীতি পরিপন্থী এ ধরনের মিথ্যা ও ষড়যন্ত্রমূলক সংবাদ প্রকাশের তীব্র নিন্দা জানাচ্ছে ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচারের দাবি জানাচ্ছে। উপরন্তু পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদ নেতৃবৃন্দ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের পেশাজীবিসহ সকলকে রাষ্ট্র ও সংবিধান বিরোধী সকল অপতৎপরতার বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়েছেন।

বিবৃতিতে স্বাক্ষর করেন- পেশাজীবি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি ও বিচারপতি এএফএম মেসবাহ উদ্দিন, মহাসচিব ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খান, প্রেসিডিয়াম সদস্য ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আকতারুজ্জামান, এ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন, বাংলাদেশ মেডিকেল এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ডা.মোস্তফা জালাল মহিউদ্দীন, আইইবির সভাপতি প্রকৌশলী মো. নুরুল হুদা, কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. শহীদুর রশীদ ভুইয়া, হাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এম কামরুজ্জামান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. নিজামুল হক ভুইয়া, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের সভাপতি ডা. জামাল উদ্দিন চৌধুরী, বাংলাদেশ ফেডারেশ সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, বঙ্গবন্ধু প্রকৌশল পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. মো. হাবিবুর রহমান, বাংলাদেশ কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. নুর মোহাম্মদ তালুকদার।

ঢাবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. জিনাত হুদা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি সোহেল হায়দার চৌধুরী, সুপ্রীম কোর্ট আইনজীবি সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুন নুর দুলাল, বাংলাদেশ কলেজ শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক আসাদুল হক, শিক্ষক নেত্রী অধ্যাপক মাহফুজা বেগম, বিএমএ’র মহাসচিব ডা. এহতেশামুল হক চৌধুরী, স্বাচিপ এর মহাসচিব ডা. কামরুল হাসান মিলন, কেআইবির মহাসচিব কৃষিবিদ খায়রুল আলম প্রিন্স, আইইবির সম্মানী সাধারণ সম্পাদক প্রকৌশলী শাহাদৎ হোসেন শিবলু, বিএফইউজের মহাসচিব দীপ আজাদ, বঙ্গবন্ধু প্রকৗশলী পরিষদের মহাসচিব প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, প্রকৌশলী মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক হান্নানা বেগম, বাকবিশিস এর মহাসচিব অধ্যাপক মো. জাহাঙ্গীর, অধ্যাপক মিজানুর রহমান মজুমদার ও সাংবাদিক জয়ন্ত আচার্য প্রমুখ।  

ভারপ্রাপ্ত দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক মিজানুর রহমান মজুমদার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে সুখী সমৃদ্ধ সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়ে অর্জিত মহান স্বাধীনতার মর্মবানী ধারণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখন স্মার্ট বাংলাদেশ ধারণাকে ভিক্তি ধরে কাজ করে যাচ্ছেন। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনের মহান ব্রত নিয়ে বাংলাদেশকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রী নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছেন। সেই সময় সংবাদপত্রের স্বাধীনতার নামে একটি প্রতিষ্ঠিত জাতীয় দৈনিক পত্রিকা সাংবাদিকতার সকল নীতি ভঙ্গ করে উদ্দেশ্য প্রণোদিত সংবাদ পরিবেশন করছে।

এমএইচ

×