ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

ডিএমপির সাবেক কমিশনারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশিত: ১৪:৫০, ৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৩

ডিএমপির সাবেক কমিশনারসহ ১৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া

ডিএমপির সাবেক কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া-সহ ১৫ জন পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) বন্দুকযুদ্ধে নিহত ছাত্রদল নেতা নুরুজ্জামান জনির বাবা মো. ইয়াকুব  ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আসাদুজ্জামানের আদালতে মামলাটি করেন। 

নির্যাতন এবং হেফাজতে মৃত্যু (নিবারণ) আইন, ২০১৩ এর ১৫(২) ধারায় মামলাটি করা হলে বিচারক  বাদীর অভিযোগ রেকর্ড করেন এবং এ বিষয়ে পরে আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন।

আদালতে বাদী পক্ষে শুনানি করেন ঢাকা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মাসুদ আহমেদ তালুকদার। অপরদিকে ঢাকা মহানগর আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল মামলা গ্রহণ না করতে শুনানিতে বিরোধিতা করেন। 

মামলায় অপর আসামিরা হলেন- চট্টগ্রামের বর্তমান কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়, ডিবি রমনা জোনের এসআই দীপক কুমার দাস, ডিবির রমনা জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার হাসান আরাফাত, মো. জাহিদুল হক তালুকদার, ডিবির পুলিশ পরিদর্শক ফজলুর রহমান, ওহিদুজ্জামান, এসএম শাহরিয়ার হাসান, ডিবির এসআই শিহাব উদ্দিন, বাহাউদ্দিন ফারুকী, মো. জাহাঙ্গীর হোসেন, ডিবির কনস্টেবল মো. সোলাইমান, আবু সায়েদ, মো. লুৎফর রহমান, খিলগাঁও থানার এসআই মো. আলাউদ্দিন। ঘটনার সময় সবাই ডিএমপিতে কর্মরত ছিলেন।

২০১৫ সালের ১৬ জানুয়ারি রাজধানীর খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনিকে (৩০) গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে ২০ জানুয়ারি খিলগাঁওয়ের তিলপাপাড়ার জোড়পুকুরমাঠ এলাকায় বন্দুকযুদ্ধে নিহত হন তিনি।  

সে সময় ডিবি পুলিশ জানায়, শনিবার রাতে রাজধানীর মৎস্য ভবন মোড়ে পুলিশের গাড়িতে পেট্রোল বোমা নিক্ষেপকারীদের অন্যতম সদস্য ছিলেন জনি। এ ছাড়া চলমান রাজনৈতিক সহিংসতায় আরও কিছু সহিংস ঘটনায় তার জড়িত থাকার তথ্য আছে।

ডিবি পুলিশের দাবি, বন্দুকযুদ্ধ চলাকালে নিজের গ্রুপের সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতেই জনি নিহত হন। ঘটনাস্থল থেকে হাতবোমা, পেট্রোল বোমা, পিস্তল ও গুলি উদ্ধার করা হয়।

এমএইচ

×