ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

মেঘনায় নিমজ্জিত তেলবাহী জাহাজের উদ্ধার কাজ শুরু

নিজস্ব সংবাদদাতা,  ভোলা

প্রকাশিত: ২০:১৬, ২৯ ডিসেম্বর ২০২২

মেঘনায় নিমজ্জিত তেলবাহী জাহাজের উদ্ধার কাজ শুরু

তেলবাহী জাহাজ

  • উপরে তুলতে আরো ৩ দিন লাগতে পারে
  • পরিবেশ বিপর্যয়ের শঙ্কা 
  • নদীতে মরা মাছ ভাসতে দেখেছে জেলেরা

ভোলার মেঘনা নদীতে ১১ লাখ লিটার জ্বালানী তেলসহ ডুবে যাওয়া সাগর নন্দিনী-২ এর উদ্বার কাজ শুরু হয়েছে। 
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর)  সকালে দুইটি উদ্ধারকারী বার্জ জোহুর ও হুমায়ারা দিয়ে উদ্ধার কাজ শুরু হয়। সকাল থেকে নৌ পুলিশ, কোস্টগার্ড ও বিআইডব্লিউটিএ, ডুবুরির সমন্বয় একটি টিম এ উদ্ধার কাজে অংশ নেয়। তবে উদ্ধার করতে কতো সময় লাগবে তা এখনো নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।  

জোয়ার- ভাটা অপর নির্ভর করে ও জাহাজের ভিতর জ্বালানী তেল থাকায় উদ্ধার কাজে সময় কিছুটা বেশি লাগবে বলেছ জানিয়েছেন বিআইডব্লিউটিএ'র । অপরদিকে দিকে মেঘনা নদীতে তেল ছড়িয়ে পড়ায় মাছের ক্আশংকা রয়েছে। জেলেরা বলছে, ইতোমধ্যে তারা দুই চারটি অল্প পরিমাণ মরা মাছ ভাসতে দেখেছেন।

বিআইডব্লিউটিএ'র পরিচালক মো. শাজাহান মো.  জানান, বুধবার দুপুরের পর  থেকে তাদের উদ্ধার কার্যক্রম শুরু হয়।  বৃহস্পতিবার সকাল থেকে নিমজ্জিত তেলবাহী জাহাজের উদ্ধার কাজ শুরু হয়েছে।  নদীতে ড্রেজিং করা হচ্ছে। জোয়ার ভাটার উপর নির্ভর করে উদ্ধার কাজ চলছে। এক্সক্লুসিভ মেটিরিয়াল থাকায় কোন ঝুঁকি নেয়া হচ্ছে না। এর জন্য সময় বেশি লাগছে। ওই জাহাজের ভিতরে থাকা তেল আগে উদ্ধার করা হবে। তবে আগামী রবিবারের মধ্যে উদ্ধার করা হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

নদীর তীরবর্তী মাছ ধরা জেলেরা জানান, তেলের জাহাজ ডুবির পর প্রথম দুই তিন দিন ওই এলাকার পানিতে তেল ভাসতে দেখা গেছে। তেলের ঝাঝালো গন্ধে জেলেরা মাছ ধরতে পারেনি। নদীর পানি ব্যবহার করা যায়নি।তবে এখন আর নদীতে তেল ভাসতে দেখা যাচ্ছে না। নদীর পানিও স্বাভাবিক হয়ে আসছে।

জেলে হোসেন জানান, তিনি গত পরশু মেঘনা নদীতে দুই চারটি ছোট ছোট ইলিশ ও পোয়া মাছ মরা ভাসতে দেখেছেন। জেলেরা আরও জানান, এখনো ওই এলাকার নদীতে মাছ কম পাওয়া যাচ্ছে ।ভোলা সদর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ এরশাদ বলেন, নদীতে যে পরিমাণ তেল ভাসতে দেখা গেছে, তাতে এখনো তুলনা মূলক ক্ষতি দেখছেন না।

এদিকে পরিবেশ দূষণ থেকে রক্ষায় কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের একটি দল ল্যামট মেশিন বোট দিয়ে বিশেষ প্রযুক্তির ব্যবহার করে  নদী থেকে তেল অপসারণের কাজ আজো চলোমান রয়েছে বলে কোস্টগার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা শফিউল কিঞ্জল।

ভোলা জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোল্লা এমদাদ উল্লাহ জানান, নদীর পানিতে তেল ছড়িয়ে পড়ায় ছোট ইলিশ মাছসহ বিভিন্ন মাছ, মাছের ডিম, রেনুসহ বিভিন্ন জলজ প্রাণীর ক্ষতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত কোথাও কোন মাছ, মাছের পোনা কিংবা জলজ প্রাণী মারা গেছে বলে এমন কোন খবর পাওয়া যায়নি। 

উল্লেখ্য,গত রবিবার ভোর রাতে চট্রগ্রাম থেকে ১১ লাখ  লিটার তেল নিয়ে চাঁদপুরের উদ্দেশে যাচ্ছিল পদ্মা ওয়েল কোম্পানির সাগর নন্দিনী-২ নামের একটি জাহাজ  ঘন কুয়াশার কারণে সেটি ভোলার তুলাতলী মাঝের চর পয়েন্টে অপর একটি জাহাজের সঙ্গে থাক্কা লেগে ডুবে যায়।
 

 

এমএস

সম্পর্কিত বিষয়:

×