ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরাসরি রেল যোগাযোগ ২০২৭ সালে চট্টগ্রাম-রাজশাহী-খুলনায়

প্রকাশিত: ১১:৩৭, ৭ অক্টোবর ২০২২

সরাসরি রেল যোগাযোগ ২০২৭ সালে চট্টগ্রাম-রাজশাহী-খুলনায়

ট্রেন

বাংলাদেশের রেলওয়ে ব্রডগেজ ও মিটারগেজ লাইনে বিভক্ত হওয়ায় দেশের পশ্চিমাঞ্চলের চট্টগ্রাম ও সিলেটের সঙ্গে পূর্বাঞ্চলের খুলনা ও রাজশাহীর সরাসরি রেলযোগাযোগ গড়ে ওঠেনি। তবে সরাসরি রেল যোগাযোগ ২০২৭ সালে হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

পুরো দেশকে রেল সংযোগের মাধ্যমে আনতে এরই মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম ডাবললাইন ব্রডগেজ রেললাইন নির্মাণের পরিকল্পনা নিয়েছে বাংলাদেশ রেলওয়ে।  

পশ্চিমাঞ্চলে ব্রডগেজ রেল ঢাকা পর্যন্ত থাকলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম পুরো রুট এখনও মিটারগেজেই রয়ে গেছে।  

রেলওয়ে মহাপরিকল্পনা অনুযায়ী, ২০২৫ সালের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেললাইনের রূপান্তরের কাজ শেষ হওয়ার কথা। কিন্তু যথাসময়ে বৈদেশিক ঋণের অভাবে প্রকল্পটি সময়মতো শুরু করা যায়নি।  

এশীয় ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি) থেকে অর্থায়নের প্রাথমিক নিশ্চিয়তা পাওয়ার পর রেলওয়ের আশার সৃষ্টি হয়েছে।

এজন্য বাংলাদেশ রেলওয়ে সময়সীমা ২ বছর পিছিয়ে ২০২৭ সালের মধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটের পুরো মিটারগেজ রেললাইনকে ব্রডগেজে রূপান্তরের কাজ শেষ করা সম্ভব বলে মনে করছে।

প্রকল্পের আওতায় লাকসাম থেকে চট্টগ্রাম এবং টঙ্গী থেকে আখাউড়া পর্যন্ত রেললাইনকে ব্রডগেজে রূপান্তর করা হবে।  

প্রকল্প দুটি বাস্তবায়নে আনুমানিক মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০ হাজার ২০৭ কোটি টাকা।

রেলওয়ে সূত্রে জানা যায়, প্রকল্প বাস্তবায়িত হলে ঢাকা–চট্টগ্রাম রুটে রেলের গতি বাড়বে এবং ৩০ শতাংশ বেশি যাত্রী ও পণ্য পরিবহন করা সম্ভব হবে। ঢাকা থেকে চট্টগ্রামে যাওয়ার সময় কমবে প্রায় এক ঘণ্টা।

বাংলাদেশ রেলওয়ের প্রধান পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস এম সলিমুল্লাহ বাহার বলেন, রেলওয়ের মহাপরিকল্পনায় সারা দেশে পর্যায়েক্রমে রেল নেটওয়ার্ক ব্রডগেজে রূপান্তরের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। এরমধ্যে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেল রুটের রূপান্তরকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।  

একটি প্রকল্পের আওতায় আখাউড়া-লাকসাম ডুয়েলগেজে রূপান্তরের কাজ শেষ পর্যায়ের রয়েছে।  কয়েক বছর আগে পরিকল্পনা নেওয়া হলেও বৈদেশিক ঋণ না পাওয়ায় টঙ্গী-আখাউড়া এবং লাকসাম–চট্টগ্রাম অংশের কাজ শুরু করা যায়নি। 

এডিবির সঙ্গে সময়মতো ঋণ চুক্তি এবং নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা গেলে  আশা করা যাচ্ছে ২০২৭ সালের মধ্যে পুরো ঢাকা-চট্টগ্রাম ডুয়েলগেজে রূপান্তর হবে।

এসআর

×