ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

মেয়ে দেশে ফিরলে তোয়াব খানের দাফন

প্রকাশিত: ১৭:৩১, ১ অক্টোবর ২০২২

মেয়ে দেশে ফিরলে তোয়াব খানের দাফন

তোয়াব খান

একুশে পদকপ্রাপ্ত বর্ষিয়ান সাংবাদিক ও দৈনিক বাংলার সম্পাদক তোয়াব খানের মেয়ে যুক্তরাষ্ট্র থেকে দেশে ফেরার ওপর নির্ভর করছে তার দাফনের দিনক্ষণ। তোয়াব খানের ছোট ভাই ওবায়দুল কবির বাচ্চু জানান, একমাত্র মেয়ে তানিয়া খান যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরার পর বনানী কবরস্থানে তোয়াব খানকে দাফন করা হবে। তানিয়া খানের দেশে পৌঁছানো নির্ভর করছে টিকিট পাওয়ার।

ওবায়দুল কবির বাচ্চু  আরও জানান, ইউনাইটেড হাসপাতাল মরদেহ দুই দিন রাখার সময় পেয়েছি। তানিয়ার পৌঁছানোয় দেরি হলে মরদেহ অন্য কোথাও রাখা হবে। মেয়ে না ফেরা পর্যন্ত দাফন হবে না।

রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তোয়াব খানকে শনিবার (১ অক্টোবর) বেলা ১২টা ৪০ মিনিট মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৭ বছর। বার্ধক্যজনিত জটিলতায় অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

তোয়াব খানের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তোয়াব খানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তার শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

উল্লেখ্য, মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ের পর ‘দৈনিক পাকিস্তান’ থেকে বদলে যাওয়া ‘দৈনিক বাংলা’র প্রথম সম্পাদক ছিলেন তোয়াব খান। ১৯৭২ সালের ১৪ জানুয়ারি দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব গ্রহণ করেছিলেন তিনি।

১৯৫৩ সালে সাপ্তাহিক জনতার মাধ্যমে সাংবাদিকতায় তোয়াব খানের হাতেখড়ি। এরপর দৈনিক সংবাদে কাজ করেন।

১৯৭৩ থেকে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রেসসচিব ছিলেন তোয়াব খান। দেশের প্রধান তথ্য কর্মকর্তা ও প্রেস ইনস্টিটিউট অব বাংলাদেশের (পিআইবি) মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

দৈনিক বাংলায় যোগ দেওয়ার আগে দৈনিক জনকণ্ঠের উপদেষ্টা সম্পাদক ছিলেন সর্বজন শ্রদ্ধেয় এই সাংবাদিক। ২০১৬ সালে একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি। এরপর গত বছরের ৬ অক্টোবর নতুন ব্যবস্থাপনায় প্রকাশিত দৈনিক বাংলার সম্পাদকের দায়িত্ব নেন তিনি।

মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে শব্দসৈনিকের ভূমিকা পালন করেন তোয়াব খান। তখন তার আকর্ষণীয় উপস্থাপনায় নিয়মিত প্রচারিত হয় ‘পিন্ডির প্রলাপ’ নামের একটি অনুষ্ঠান।

 

এমএস

×