ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সৌদি যুবরাজকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা

জনকণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৩:২৫, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২২

সৌদি যুবরাজকে প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা

মোহাম্মদ বিন সালমান

সৌদি আরবের প্রভাবশালী যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার এক রাজকীয় ডিক্রিতে সৌদি আরবের বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ তার ছেলে এবং সিংহাসনের উত্তরাধিকারী মোহাম্মদ বিন সালমানকে এই দায়িত্ব দেয়ার ঘোষণা দেন। এছাড়া নিজের দ্বিতীয় পুত্র প্রিন্স খালিদকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেছেন বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ। খবর আরব নিউজের।
যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করে দেয়া এই রাজকীয় ডিক্রি সৌদির রাষ্ট্রীয় বার্তাসংস্থা এসপিএতে প্রকাশিত হয়েছে। সৌদির ক্ষমতা কাঠামোয় রদবদলের এই ডিক্রিতে নিজের আরেক পুত্র যুবরাজ আবদুল আজিজ বিন সালমানকে সৌদি আরবের জ্বালানিমন্ত্রী হিসেবে রাখার ঘোষণা দিয়েছেন বাদশাহ। এছাড়া পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান আল সৌদ, অর্থমন্ত্রী মোহাম্মদ আল-জাদান এবং বিনিয়োগমন্ত্রী খালিদ আল-ফালিহ তাদের পদে বহাল রয়েছেন বলে ডিক্রিতে দেখা গেছে।

সৌদির প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হওয়ার আগে এমবিএস নামে পরিচিত সৌদির প্রভাবশালী এই যুবরাজ মধ্যপ্রাচ্যের এ দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন এবং মঙ্গলবারের রাজকীয় ডিক্রিতে তিনি কার্যত পদোন্নতি পেয়েছেন। এই কথাটি ব্যাপকভাবে প্রচলিত যে, সালমান বিন আবদুল আজিজ সৌদি আরবের বাদশাহ হলেও সৌদি আরবের যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানই সৌদির প্রকৃত শাসক।
সৌদির এক কর্মকর্তা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হিসেবে মোহাম্মদ বিন সালমানের নতুন ভূমিকা বাদশাহর পূর্ববর্তী প্রতিনিধি দলের সঙ্গেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। প্রভাবশালী এই যুবরাজ বিদেশী সফরে সৌদি আরবের প্রতিনিধিত্ব করেন এবং সৌদির আয়োজিত যেকোন শীর্ষ সম্মেলনেও সভাপতিত্ব করেন তিনি। অন্যদিকে এমবিএসের ছোট ভাই যুবরাজ খালিদ বিন সালমানের আগে সৌদির উপ প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

যুবরাজ বলেছেন, সৌদি আরব সামরিক শিল্পে তার স্বয়ংসম্পূর্ণতা ২ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে বাড়িয়েছে এবং নবনিযুক্ত প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর অধীনে ৫০ শতাংশে পৌঁছানোর পরিকল্পনা করেছে বলে এসপিএ রিপোর্ট করেছে। অবশ্য বাদশাহ সালমান এখনও যে মন্ত্রিসভার বৈঠকে যোগ দেবেন এবং তাতে সভাপতিত্ব করবেন, এটি ডিক্রিতে জানানো হয়েছে। ডিক্রিটি প্রকাশের পর রাষ্ট্রীয় টিভিতে প্রচারিত ফুটেজে বাদশাহকে মন্ত্রিসভার একটি সাপ্তাহিক বৈঠকে সভাপতিত্ব করতে দেখা যায়।
৮৬ বছর বয়সী বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ ইসলামের পবিত্রতম স্থানগুলোর রক্ষক। যুবরাজ হিসেবে আড়াই বছর অতিবাহিত করার পর ২০১৫ সালে সৌদির শাসক হন তিনি। অবশ্য গত দুই বছরে বিভিন্ন অসুস্থতার জন্য কয়েকবার হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এই বাদশাহ। অন্যদিকে ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ ২০১৭ সালে ক্ষমতা কাঠামোয় প্রবেশ করার পর থেকে সৌদি আরবকে আমূল পরিবর্তন করেছেন।

তেলের ওপর নির্ভরশীলতা থেকে অর্থনীতিকে বৈচিত্র্যময় করার প্রচেষ্টায় নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। একইসঙ্গে সৌদি নারীদের গাড়ি চালানোর অনুমতি দেয়ার পাশাপাশি ধর্মীয় নেতাদের ক্ষমতাও রোধ করেছেন তিনি। এছাড়া মোহাম্মদ বিন সালমানের বিরুদ্ধে ভিন্নমতাবলম্বীদের ওপর দমন-পীড়নেরও অভিযোগ রয়েছে।

×