শিশুদের খেলা
রাজধানী ঢাকা শহরে শিশুদের খেলার জায়গা ক্রমশ কমছেই। বিশেষ করে শহুরে শিশুদের খেলার কোনো জায়গাই নেই। বাচ্চারা বেড়ে উঠছে বলা যায় খেলাধুলা ছাড়াই। ঢাকা শহরে শিশুদের খেলার জন্য যে কয়টি মাঠ আছে তার কয়টিই বা তাদের খেলার উপযোগী আছে? দিনকে দিনকে প্রকট হচ্ছে এই সমস্যা। খেলাধুলার জায়গা না পেয়ে শিশুরা অবধারিতভাবে ঝুঁকছে ইন্টারনেট এবং ভিডিও গেমের দিকে। গবেষণা বলছে, এসব গেম শিশুদের সহিংস করে তোলার পাশাপাশি মানসিক বিকাশেও সৃষ্টি করছে নানা রকম বাধা। সেই সাথে শারীরিক বিকাশের ব্যাপারটি তো আছেই।
ইট পাথরের শহরে বাচ্চাদের মানসিক বিকাশ ব্যহত হচ্ছে খেলার জায়গার অভাবে। বাচ্চারা ঘরবন্দি হয়ে মোবাইল গেইমে ঝুঁকছে। এতে তাদের চোখের সমস্যাসহ নানা রকম সমস্যা হচ্ছে।
এমন অবস্থায় অভিভাবকরা নানা চিন্তায় থাকেন। এই অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে তারা বাচ্চাদের নিয়ে ছুটে যান একটু খোলা জাযগায়।
রাজধানীর হাতিরঝিল লেক পাড় এমন একটি জায়গা। এখানে অনেক দূর দূরান্ত থেকেও অভিভাবকরা তাদের বাচ্চাদের নিয়ে আসেন প্রতিদিনই। এখানে তা দেখা মেলে শিশুদের দুরন্তপনার নানা দৃশ্য।
মনের আনন্দে শিশুরা এখানে খেলতে আসে প্রতিদিন। তাদের সাথে আসেন অভিভাবকরাও। সমান আনন্দই পান তারা শিশুদের মতো। এখানে চলে বাচ্চাদের হৈ হুল্লোড়।
এখানে খেলতে আসা শিশুদের সাথে কথা বলে জানা গেল এই জায়গাটি তাদের খুবই প্রিয়। অহনা নামের এক শিশু দৈনিক জনকন্ঠকে বলেন, এই জায়গাটা খুব প্রিয় তার। প্রতিদিনই এখানে খেলতে আসে সে। তার কাছে জানতে চাইলাম কেউ ব্যথা পায় কি না এখানে খেলতে গিয়ে। তার সোজাসাপ্টা জবাব, 'নাহ, ব্যথা পাবে কেন? এখানে তো সবাই মজা করে।' আনন্দের যেন কোনো শেষ নেই তার।
শামীম নামে এক শিশু। সে জানালো,'আমিও এখানে খেলতে আসি প্রতিদিন। আমার খুব ভালো লাগে।' ক্লান্ত হলে খেলার ফাঁকে জিরিয়ে নেয় কেউ কেউ। বিকেল থেকে সন্ধ্যা অবধি শিশুরা এখানে আনন্দ আর হুল্লোড়ে মাতিয়ে রাখে।
অভিভাবক শিউলি রহমান বলেন, বাচ্চাদের মানসিক বিকাশের জন্য খেলার মাঠ জরুরী। কিন্তু ঢাকা শহরে তা নেই বললেই চলে। আমার বাচ্চা বাইরে ঘুরতে আসার জন্য জেদ করে। তাই এখানে ঘুরতে নিয়ে এসেছি। এখানে এসে সে আরো বন্ধুদের পেয়ে খুশি।
টিএস