
বঙ্গবন্ধু ভবনে মানুষের ঢল
এক সময়ের ধানমণ্ডি-৩২ নম্বর রোডের ৬৭৭ নম্বর বাড়ি। যার পরিবর্তিত ঠিকানা ১০ নম্বর বাড়ি, রোড নম্বর-১১, ধানম-ি, ঢাকা। ঐতিহাসিক এই ভবনটি বঙ্গবন্ধু ভবন নামেই সর্বাধিক পরিচিত। বাঙালীর আশ্রয়স্থল, আশা-ভাবনার মূর্ত প্রতীক। অনিবার্য ঠিকানা আর স্বপ্নের গন্তব্য স্কুল। রাতের শেষ প্রহর তখন আকাশের গায়ে জেগে উঠতে শুরু করেছে।
তখন থেকেই ধানম-ির ৩২ নম্বর বাড়িটির সামনে আসতে শুরু করে নারী-পুরুষ। সবার হাতে শ্রদ্ধার ফুল। তাদের ভেতর কেউ কেউ নীরবে তাকিয়ে আছে মোটা কালো ফ্রেমের চশমা চোখের রঙিন প্রতিকৃতির দিকে।
নিয়ন বাতির আলোয় জ্বল জ্বল করছে চমশার ভেতর দিয়ে সে চোখ দু’টো। প্রতিকৃতির সামনের বেদি সকাল হতেই ছেয়ে গেছে কৃতজ্ঞ বাঙালীর শ্রদ্ধার ফুলে ফুলে। পেছনে নিস্তব্ধ একটি বাড়ি। যে বাড়ির ভেতর রাখা আছে মোটা ফ্রেমের এ চশমাটি। কারও ব্যবহারের জন্য কোন টেবিলে নয়; জাদুঘরের সামগ্রী হিসেবে। করোনার সংক্রমণের ভয় থাকলেও কৃতজ্ঞ বাঙালীকে এদিন ঘরে রাখা যায়নি। রাজপথের মানুষের প্রাণের স্পন্দনে সোমবার যেন এ প্রতিকৃতির চোখে আলো জ্বলে উঠেছিল।
সারাদেশে শোকাবহ পরিবেশ, বিন¤্র শ্রদ্ধা আর হৃদয়ের গভীরের ভালবাসা দিয়ে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে শোকার্ত বাঙালী জাতি গভীর শ্রদ্ধার সঙ্গে পালন করেছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী, জাতীয় শোক দিবস। এবারের জাতীয় শোক দিবসে পলাতক খুনীদের ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকরের পাশাপাশি কমিশন গঠন করে বঙ্গবন্ধু হত্যাকা-ের নেপথ্যের মূল কুশীলবদের খুঁজে বের করে মুখোশ উন্মোচন করে বিচারের মুখোমুখি করার দাবি উঠেছে সর্বত্র।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে সোমবার ধানম-ির বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে শোকার্ত মানুষের ঢল নেমেছিল। স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভোর থেকেই আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা এবং সর্বস্তরের মানুষ বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনের রাস্তায় জমায়েত হতে থাকে।
সকালে জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্যদিয়ে শুরু হয় জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচী। সকাল সাড়ে ৬টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথমে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যগণ অনার গার্ড প্রদান করেন। এ সময় বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। এরপর প্রধানমন্ত্রী ফাতেহা পাঠ এবং মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।
পরে দলের সভাপতি হিসেবেও শেখ হাসিনা মন্ত্রিসভার সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু ও তোফায়েল আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিম-লীর সদস্য বেগম মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, শাজাহান খান ও এ এইচ এম খাইরুজ্জমান লিটন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, ডাঃ দীপু মনি, ড. হাছান মাহমুদ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, মির্জা আজম, সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হাবিবুর রহমান সিরাজ, দফতর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানম-ি ৩২ নম্বরের ঐতিহাসিক স্মৃতি বিজড়িত বাড়ির ভেতরে যান। সেখানে ঘুরে ঘুরে তার পিতার স্মৃতিচিহ্ন পরিদর্শন করেন এবং সেখানে প্রায় আধাঘণ্টা সময় কাটান তিনি। এর পর তিনি বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য রওনা হন। বনানী কবরস্থানে বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব, তার তিন ভাই শেখ কামাল, শেখ জামাল এবং শেখ রাসেলসহ ১৫ আগস্টের শহীদরা শায়িত রয়েছেন। আবেগে জড়িত প্রধানমন্ত্রী তাদের কবরে গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে দেন।
এ সময় তার দুই চোখে ছিল স্বজন হারানোর তীব্র বেদনার অশ্রু। সেখানে তিনি ফাতেহা পাঠ করেন এবং তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা ও দোয়া করেন। এ সময় তার সঙ্গে মন্ত্রিসভার সদস্য এবং আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৩২ নম্বর ধানম-ি এবং বনানী কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে হেলিকপ্টারযোগে বঙ্গবন্ধুর পৈত্রিক নিবাস টুঙ্গিপাড়ায় যান। সেখানে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর বঙ্গবন্ধুকন্যা স্বাধীনতার মহান স্থপতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সশস্ত্র বাহিনীর একটি সুসজ্জিত চৌকস দল সেখানে রাষ্ট্রীয় সালাম প্রদান করে এবং এ সময় বিউগলে করুণ সুর বেজে ওঠে।
প্রধানমন্ত্রী এরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু, বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব ও ’৭৫-এর ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে জাতির পিতার সমাধিতে ফাতেহা পাঠ ও মোনাজাত করেন। এছাড়া জাতির অব্যাহত শান্তি, অগ্রগতি ও সমৃদ্ধি কামনা করে মোনাজাত করা হয়। প্রধানমন্ত্রী এরপর দলের সভাপতি হিসেবে আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলের পক্ষ থেকে জাতির পিতার সমাধিতে আরেকটি পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।
পরে প্রধানমন্ত্রী জাতির পিতার সমাধি সৌধ প্রাঙ্গণে আয়োজিত মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে অংশগ্রহণ করেন। এদিকে প্রধানমন্ত্রীর পর সকালে ধানম-ির ৩২ নম্বরে জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এবং পরে প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং বঙ্গবন্ধুসহ ১৫ আগস্টের সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন। সংসদের প্রধান হুইপ নূর-ই-আলম চৌধুরী লিটনসহ হুইপবৃন্দ এবং জাতীয় সংসদ সচিবালয়ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এদিকে সকাল ৬টার মধ্যেই অগণিত মানুষের পদচারণায় মুখরিত হয়ে ওঠে ধানম-ির ৩২ নম্বর সড়ক। হাতে কালো ব্যানার ও বুকে কালোব্যাজ পরিধান করে নারী-পুরুষ, স্কুল-কলেজের ছাত্র-ছাত্রী, শিশু-কিশোরসহ সর্বস্তরের মানুষ। সকলেই পরম শ্রদ্ধা বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদনের মাধ্যমে জাতির পিতাকে স্মরণ করেন। সকাল সাতটা থেকে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ বঙ্গবন্ধুকে শ্রদ্ধা জানানো শুরু করেন।
প্রধানমন্ত্রীর ধানম-ি ৩২ নম্বর ত্যাগ করার পর সাধারণ মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্থানটি উন্মুক্ত করে দেয়া হয়। এ সময়ে মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ, মহিলা আওয়ামী লীগ, যুব মহিলা লীগ, জাতীয় শ্রমিক লীগ, বাংলাদেশ কৃষক লীগ, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, তাঁতি লীগ, স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, মৎস্যজীবী লীগ, ছাত্রলীগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা, ছাত্রলীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ ও উত্তর বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এ ছাড়াও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, তথ্য মন্ত্রণালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন, যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা শহীদ পরিবার, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, সুপ্রীমকোর্ট আইনজীবী সমিতি, চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি, রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক), বিসিক, বাংলাদেশ পল্লী উন্নয়ন বোর্ড (বিআরডিবি), মহিলা শ্রমিক লীগ, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন, যুব উন্নয়ন অধিদফতর, বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদফতর, ইসলামিক ফাউন্ডেশন, ফিল্ম আর্কাইভ, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট, একাত্তরের ঘাতক-দালাল নির্মূল কমিটি, সেক্টর কমান্ডারস ফোরাম, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব পরিষদ, সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, বাংলা একাডেমি, গণ গ্রন্থাগার অধিদফতর, জাতীয় জাদুঘর, শিশু একাডেমি, খেলাঘর, বাংলাদেশ বেতার, জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউট, বেতার কর্মকর্তা-কর্মচারী কল্যাণ সমিতি, ঢাকা আইনজীবী সমিতি, জাতীয় মহিলা সংস্থা, বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, জাতীয় কবিতা পরিষদ, জাতীয় গীতিকবি পরিষদ, যুব ইউনিয়ন, ছাত্র ইউনিয়ন, শেখ রাসেল শিশু সংসদ, বাংলাদেশ ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, জনতা ব্যাংক, কৃষি ব্যাংক, অগ্রণী ব্যাংক, রূপালী ব্যাংক, ঢাকার টুঙ্গিপাড়া সমিতি, হলি ফ্যামিলি রেড ক্রিসেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ পরিষদ, আবদুস সামাদ আজাদ ফাউন্ডেশন, সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ, শেখ রাসেল জাতীয় শিশু-কিশোর পরিষদ, আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, টেলিযোগাযোগ শ্রমিক ইউনিয়নসহ অজ¯্র সামাজিক-সাংস্কৃতিক-পেশাজীবী সংগঠন বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। জাতীয় শোক দিবসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস এ্যাসোসিয়েশন। সোমবার দুপুরে অতিরিক্ত আইজি (এ্যাডমিনিস্ট্রেশন) ড. মোঃ মইনুর রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ধানম-ির ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানায়।
এ সময় ডিএমপি কমিশনার মোহাঃ শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজি এস এম রুহুল আমিন, এ্যান্টি টেররিজম ইউনিটের প্রধান মোঃ কামরুল আহসান, অতিরিক্ত আইজি মোঃ মাজহারুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজি মোঃ আতিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত আইজি এম খুরশীদ হোসেন, অতিরিক্ত আইজি মাহাবুবুর রহমান, অতিরিক্ত আইজি ব্যারিস্টার হারুন-অর-রশিদ, এ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মোঃ আসাদুজ্জামানসহ উর্ধতন পুলিশ কর্মকর্তা ও এ্যাসোসিয়েশনের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
বেবিচক ॥ যথাযোগ্য মর্যাদায় দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭তম শাহাদাতবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স লিমিটেড। পৃথক পৃথক কর্মসূচীতে তারা দিবসটি পালন করেন।
এদিন সকাল ৬টায় বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মফিদুর রহমানের নেতৃত্বে উর্ধতন কর্মকর্তারা হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনে স্থাপিত বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। বিকেলে পরিবহন পুলে এক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। এতে স্মৃতিতে বঙ্গবন্ধু এবং বেবিচকের উন্নয়ন এবং ১৫ আগস্ট ও ইতিহাসের অন্ধকারতম অধ্যায় শীর্ষক প্রবন্ধ পাঠ করা হয়। প্রধান অতিথি হিসেবে বেবিচক চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জীবনের নানাদিক নিয়ে আলোচনা ও স্মৃতিচারণ করেন।
বিমান ॥ জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা অনুষ্ঠানে বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব সাজ্জাদুল হাসান, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোঃ যাহিদ হোসেন, বিমানের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও বিমানের বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।