সিনেমাপ্রেমীদের হৃদয় জয় করা হাওয়া ও পরান ছবির পোস্টার
হঠাৎ করে যেন বদলে গেছে গল্পটা। পাল্টে গেছে দর্শকখরায় ভুগতে থাকা ঢাকাই ছবির চেহারা। গল্পহীনতার অবসান ঘটিয়ে তরুণ নির্মাতাদের নতুন ভাবনার নির্মাণশৈলীতে উদ্দীপ্ত হয়েছে চলচ্চিত্রশিল্প। সেই সুবাদে ঢালিউড ফিল্মে বইছে সুবাতাস। জুলাই মাসে সিনেমা দেখতে আসা সিনেমাপ্রেমীদের ঢেউ আছড়ে পড়ে প্রেক্ষাগৃহে। পাল্টে যাওয়া বাস্তবতায় লাইন ধরে টিকেট কেটে সিনেমা দেখছে দর্শক। বিক্রি হয়ে যাচ্ছে আগাম টিকেট। এমনকি সিনেমাপ্রেমীদের চাহিদার জোয়ারে পুনরায় প্রেক্ষাগৃহে বেড়েছে ব্ল্যাকারদের আনাগোনা। জেলেদের জীবনকাহিনীর সঙ্গে রহস্যময় কালাজাদুর মিশেল ঘটিয়ে হাওয়া নামের ছবি দিয়ে দর্শক মজিয়েছেন মেজবাউর রহমান সুমন। এই ছবিতে চঞ্চল চৌধুরী ও নাফিজা তুষিসহ অধিকাংশ শিল্পীর কুশলী অভিনয় দাগ কেটেছে দর্শক হৃদয়ে। অন্যদিকে বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকা-ের সমান্তরালে নয়ন বন্ড ও মিন্নিকে ঘিরে ত্রিমুখী প্রেমের ঘটনার নির্যাসে নির্মিত পরাণ নামের সিনেমা দিয়ে প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টেনেছেন রায়হান রাফি। এই ছবিতে শরীফুল রাজ ও বিদ্যা সিনহা মিমের পাশাপাশি নাসির উদ্দিনসহ অন্য শিল্পীদের অভিনয় ভাল লেগেছে দর্শকের। এই দুই ছবির দুই তরুণ নির্মাতা ছবির নির্মাণশৈলীতে রেখেছেন স্বকীয়তার স্বাক্ষর। বাণিজ্যিক ছবির প্রচলিত ফরমেটকে ভাংচুর করে নিজস্ব ভাষা ও ভঙ্গির প্রকাশ ঘটেছে তাদের সিনেমায়। জমাটবাধা গল্পের ছবি দিয়ে হলবিমুখ দর্শককে ফিরিয়ে এনেছেন প্রেক্ষাগৃহে। আশার আলো ছড়িয়ে দিয়েছেন ধুঁকতে থাকা বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে। ফলশ্রুতিতে জ্যেষ্ঠ নির্মাতারাও সাধুবাদ জানাচ্ছেন এই দুই তরুণ নির্মাতার প্রয়াসকে।
অন্যদিকে এ্যাকশন থ্রিলারধর্মী দিন দ্য ডে নামের শত কোটি টাকা বাজেটের দাবিকৃত ছবি দিয়েও দর্শককে হলমুখী করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছেন ছবিটির প্রযোজক কাম চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল। এই বাস্তবতায় প্রেক্ষাগৃহে বিপুলসংখ্যক দর্শকের উপস্থিতিতে হতাশ হওয়া হল মালিকরা নিচ্ছেন স্বস্তির নিঃশ্বাস। নতুন করে খুঁজে পাচ্ছেন আশার আলো। তারা বলছেন, প্রতিমাসে এমন বাণিজ্য সফল দুটি ছবি পেলেই পুনরায় ঘুরে দাঁড়াবে ঢাকাই সিনেমা। এমনটা হলে বলিউড কিংবা বিদেশী ছবির পরিবর্তে দেশের ছবির ওপর নির্ভর করেই চলবে সিনেমা হল। বাঁচবে প্রেক্ষাগৃহ, পুনরুজ্জীবিত হবে চলচ্চিত্রশিল্প। সেই নমুনা রেখে তিনটি ছবিই এখন ছড়িয়ে গেছে সারাদেশের বিভিন্ন প্রেক্ষাগৃহে। তবে তুলনামূলক বিচারে বর্তমানে দর্শকচাহিদার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে হাওয়া ও পরাণ। এমনকি স্থায়ী হলগুলোর পাশাপাশি মৌসুমি হলগুলোও খুলে গেছে এই তিন ছবিকে কেন্দ্র করে।
চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা বলছেন, হাওয়া ও পরাণ ছবির মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে ভাল সিনেমার জন্য মুখিয়ে থাকে দর্শক। ভাল ছবির সন্ধান না পেয়ে তারা হলে যাওয়া থেকে বিরত থাকে। বাধ্য হয়ে দেশ-বিদেশের বিভিন্ন ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কিংবা বা হলে গিয়ে বিদেশী ছবি দেখে বিনোদনের পিপাসা মেটান। কিন্তু দেশী ছবিতে গল্পের নতুনত্ব ও উৎকৃষ্ট নির্মাণশৈলীর খোঁজ পেলে তারা ঠিকই হলে ফিরে যান। পরিবার নিয়ে হই-হুল্লোড় করে ছবি দেখে কাটিয়ে দিচ্ছেন সুন্দরতম সময়। আর সময়োপযোগী গল্পের আশ্রয়ে নিজস্ব ভাষায় ছবি নির্মাণ করে সেই কাজটিই করেছেন মেজবাউর রহমান সুমন ও রায়হান রাফির মতো নির্মাতারা। তারা দেখিয়ে দিয়েছেন, কেমন করে দর্শককে হলে টানতে হয়। কেমন করে সময়কে ধারণ করে বলতে হয় নতুন গল্প। কেমন করে বাজেটের ভাবনাকে পাশ কাটিয়ে নির্মাণের গুণে মন্ত্রমুগ্ধ করে রাখা যায় সিনেমাপ্রেমীদের। উল্টোপিঠে ঢাকাই ছবিতে একচেটিয়া আধিপত্যবিস্তারী শাকিব খানকে ছাড়াও সুপারহিট হয় সিনেমা। চঞ্চল চৌধুরী, শরীফুল রাজ, নাজিফা তুষি, বিদ্যা সিনহা মিম, নাসির উদ্দীনসহ একঝাঁক কুশলী শিল্পী সিনেমার গল্পকে করে তোলেন প্রাণবন্ত। তাদের অনবদ্য অভিনয়ে সিনেমা হয়ে ওঠে টোটাল টিম ওয়ার্ক। সেই সমন্বিত কাজের বদৌলতে সিনেমাপ্রেমীদের কাছে নির্দিষ্ট সিনেমাটি হয়ে ওঠে অতি কাক্সিক্ষত। একইসঙ্গে বক্স অফিসে সাড়া জাগিয়ে সুপারহিটের তকমা লাগিয়ে লগ্নি তুলে মুনাফার মুখ দেখে চলচ্চিত্র। এমনকি দর্শক চাহিদায় কোন হলে হলিউডের সাড়া জাগানো থর ছবি নামিয়ে প্রদর্শিত হয় তুমুলভাবে দর্শকসমাদৃত ছবি হাওয়া।
ঢাকাই ছবির এই নবজাগরণে হতাশার মাঝে আশার আলো দেখছে পঞ্চাশ বছরের পুরনো প্রেক্ষাগৃহ মধুমিতা। দর্শকের অভাবে একসময় ব্যবসা গুটিয়ে নেয়ার চিন্তা করা সিনেমা হলটির মালিক ইফতেখার উদ্দীন নওশাদ জনকণ্ঠকে বলেন, নতুন নির্মাতাদের নির্মিত দুই ছবি পরাণ ও হাওয়া পাল্টে দিয়েছে ঢাকাই চলচ্চিত্রের করুণ চেহারা। ছবি দুটির বদৌলতে দীর্ঘদিন পর হলে ফিরেছে দর্শক। পরিবার-পরিজন নিয়ে মানুষ দলবেঁধে ছবি দেখছেÑ বহু বছর পর এমন দৃশ্য দেখা মিলেছে। আর এই দর্শকরা বুঝিয়ে দিয়েছে, ভাল সিনেমা নির্মিত হলে তারা ঠিকই হলে আসবেন। মানুষ আসলে সিনেমায় নতুন গল্প এবং নিখুঁত নির্মাণশৈলী দেখতে চায়। তেমন ছবি পেলে তারা ঠিকই হলে আসে। এ ধরনের সিনেমা যদি মাসে দুটিও পাওয়া যায় তাহলে হলগুলো টিকে যাবে। তাহলে আমাদের আর বিদেশী ছবি দিয়ে হল চালানোর প্রয়োজন হয় না। দেশের ছবি দিয়ে স্বনির্ভরভাবে চলতে পারে প্রতিটি প্রেক্ষাগৃহ। ঢাকাই ছবির সোনালী সময়ে তেমনটাই ছিল। ¤্রর্্িরয়মান হয়ে যাওয়া সেই দৃশ্যকল্প যেন পুনরায় জেগে উঠেছে। তবে তরুণ নির্মাতাদের প্রয়াসে সৃষ্ট এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে হবে।
দর্শক মাতিয়ে রাখা তরুণ নির্মাতাদের সাধুবাদ জানিয়েছেন গেরিলা ও একাত্তরের যীশুর মতো দর্শকসমাদৃত চলচ্চিত্রের পরিচালক নাসির উদ্দীন। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই নির্মাতা বলেন, হাওয়া ছবিটির মাধ্যমে যেন দেশজ বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রে উত্থান ঘটেছে। মেজবাউর রহমানের হাওয়া ও রায়হান রাফির পরাণ যেভাবে দর্শককে হলে ফিরিয়ে এনেছেÑসেটা আমাদের চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য খুবই ইতিবাচক। এই তরুণ নির্মাতারা ঢাকাই ছবিতে নতুন দিনের স্বপ্ন বুনেছেন। এই তরুণ নির্মাতারা এক ভাষায় কথা বলছে না। যে যার নিজস্ব ভাষায় পর্দায় বয়ান করছে তাদের কথা। ফলে একইরকম আঙ্গিক ও নির্মাণ কৌশলের পরিবর্তে ভিন্ন ভিন্ন কৌশলে চিত্রময় হয়ে উঠছে আমাদের রূপালী পর্দা। হাওয়া ছবির প্রতি অনুরাগ প্রকাশ করে এই জ্যেষ্ঠ নির্মাতা মন্তব্য করেছেন, মহাকাব্যিক ব্যঞ্জনার একটি চলচ্চিত্র মেজবাউর রহমান সুমনের এই ছবি। মানব জীবনের ¯েœœহ মমতা লোভ হিংসা দ্বেষ প্রতিশোধ যৌনতা ভালবাসা জীবন মৃত্যুÑসকল কিছুকে ধারণ করে এক মহাজীবনের ছবি এঁকেছেন সুমন হাওয়া চলচ্চিত্রে। অস্থির ও নিস্তরঙ্গ বিশাল সমুদ্রে একটি ভাসমান জলযান। ওপরে অসীম রহস্যময় আকাশ।
জলের গভীরে রহস্যময় প্রাণিকুল। জলযানের ওপর কতক মানুষের লোভ লালসা হিংসা বিদ্বেষ প্রেম অপ্রেম যৌনতা ও প্রতিশোধের রক্তাক্ত পরিণতি। সবশেষে যাদু বাস্তবতার এক অতিপ্রাকৃত স্পর্শে প্রেম এসে মহাজীবনের হাতছানি দেয় বৈকি। বাংলা চলচ্চিত্র কেন ভারতবর্ষের কোন চলচ্চিত্রে এভাবে ধরা দেয়নি সমুদ্র।
জনকণ্ঠের সঙ্গে আলাপচারিতায় হাওয়া ছবির নির্মাতা মেজবাউর রহমান সুমন বলেন, এই ছবি ঘিরে দর্শকের যে রেসপন্স পেয়েছি, সেটা অনেক বড় প্রাপ্তি। একটা চ্যালেঞ্জ নিয়ে ছবিটি নির্মাণ করেছিলাম। গভীর সমুদ্রের মাঝে ছবিটি নির্মাণে অসংখ্য প্রতিকূলতা পেরুতে হয়েছে। মাটিতে শূট করা আর সাগরে শূট করার মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। কাজটা সহজ ছিল না। দর্শকের ভাল লাগার কারণে সেই শ্রম সফল হয়েছে। নিজস্ব ভাবনা ও সর্বোচ্চ মেধার প্রয়োগে দর্শককে নতুন কিছু দেয়ার চেষ্টা করেছি। তারাও ছবিটি লুফে নিচ্ছে। অগ্রিম টিকেট বিক্রি হয়ে যাচ্ছেÑএসব কিছু এখন উপভোগ করছি। শুরুতে ২৪টি হলে মুক্তির পর দর্শক চাহিদার কারণে তৃতীয় সপ্তাহে এসে ৪৮টি হলে মুক্তি পাচ্ছে ছবিটি।
সিনেমার বাজেট প্রসঙ্গে এই নির্মাতা বলেন, এই ছবির বাজেট খুব বেশি নয়। আর সিনেমা নির্মাণের ক্ষেত্রে আমার কাছে বাজেট কোন প্রতিবন্ধকতা নয়। বরং নিজস্ব ভাবনার প্রয়োগে শ্রমসাধ্য নির্মাণশৈলীর আশ্রয়ে নতুন একটা গল্প বলার চেষ্টা করেছি। সেটা দর্শকের ভাল লেগেছে।
জনকণ্ঠের এই প্রতিনিধির সঙ্গে কথা হয় পরাণ ছবির নির্মাতা রায়হান রাফির সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রত্যাশার চেয়েও দর্শকের বেশি সাড়া পেয়েছি এই ছবিতে। বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যাকা- এবং মিন্নিকে ঘিরে রিফাত ও নয়ন বন্ডের ত্রিমুখী প্রেমের ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজের মতো করে একটা গল্প বলেছি। একটা মেয়ের সঙ্গে দুজন ছেলের প্রেম হতেই পারেÑএই ব্যাপারটা আমার কাছে অন্যরকম লেগেছে। তাই বলে আমি চাই নাই এই ছবি দিয়ে দর্শক মিন্নি, রিফাত বা নয়নকে বিচার করুক। এটা শুধু তাদের জীবনকে উপজীব্য করে আমার নিজের মতো সাজানো একটি ঘটনা। প্রসঙ্গক্রমে এই নির্মাতা বলেন, শুরুতে ১১টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেলেও দর্শক চাহিদার কারণে বর্তমানে দেশের ৬০টা প্রেক্ষাগৃহে চলছে ছবিটি।
এ বিষয়ে চলচ্চিত্র প্রদর্শক সমিতির সভাপতি কাজী শোয়েব রশীদ জনকণ্ঠকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিতর্ক ছিল সিনেমা হলের পরিবেশের জন্য দর্শক প্রেক্ষাগৃহে আসে না। হাওয়া ও পরাণ প্রমাণ করেছে ভালমানের ছবি ও ভাল গল্প হলে ঠিকই দর্শক হলে আসে। আগে ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ছবির কারণে মৌসুমি হল খুলত। এখন এই ছবিগুলোকে ঘিরে চালু থাকা হলের পাশাপাশি মৌসুমি হলগুলোও খুলে গিয়েছে। ধুঁকতে থাকা চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য বিষয়টি খুবই ইতিবাচক। মুখ থুবড়ে পড়া ঢাকাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি পুনরায় ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। কারণ দর্শকের রুচির পরিবর্তনকে হালের তরুণ নির্মাতারা ধরতে পেরেছেন। পাশাপাশি আমাদের সেন্সর বোর্ডও দেরিতে হলেও বুঝতে পেরেছে যে ছবির গল্পের প্রয়োজনে অনেক কিছুই থাকতে পারে ছবিতে।
দীর্ঘদিন ধরেই রাজধানীর সিনেমাপ্রেমীদের অন্যতম আকর্ষণ স্টার সিনেপ্লেক্স। মূলত হলিউডের সুপারহিট ছবিগুলো দেখতে মাল্টিপ্লেক্স হলে ভিড় জমায় দর্শকরা। তবে এবার বদলে গেছে সেই দৃশ্যপট। ইংরেজী ছবিকে পাশ কাটিয়ে ঢাকাই ছবি দেখার জন্য হুমড়ি খাওয়া দর্শকের ভিড় জমেছে এই হলে। এ প্রসঙ্গে স্টার সিনেপ্লেক্সের ব্যবস্থাপক মেসবাহ উদ্দীন আহমেদ জনকণ্ঠকে বলেন, দেশের তরুণ নির্মাতারা চমক দেখিয়ে দিল। আমাদের সিনেমার সোনালী অতীতকে তারা ফিরিয়ে এনেছে। ৩০ বছর আগে যেমন সিনেমা ঘিরে দর্শকের ক্রেজ ছিল সেই উন্মাদনা দেখা দিয়েছে বর্তমানে। প্রদর্শনীর ৪ থেকে ৫ দিন আগে অগ্রিম টিকেট বিক্রি হয়ে যাচ্ছে, প্রতিটি শো দর্শকে ভরপুর, প্রেক্ষাগৃহের দর্শকের তুমুল কলরবÑঢাকাই ছবি নিয়ে এমন উন্মাদনা স্টার সিনেপ্লেক্সে আগে ঘটেনি। তরুণ নির্মাতারা এই চমক দেখিয়েছেন। কারণ, তারা সময়োপযোগী গল্প বলেছেন সেলুলয়েডে। বুঝতে পেরেছেন দর্শকের পালস। ফলে ঢাকাই ছবির ক্যানভাসে আঁকা হয়েছে পুনর্জাগরণের নতুন দৃশ্যকল্প। তবে এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। ধরে রাখতে হবে দেশজ ছবির দর্শককে। বর্তমানে হাওয়া, পরাণ ও দিন দ্য ডে ছবিগুলো চলছে রাজধানীর বিভিন্ন প্রান্তে ছড়িয়ে থাকা আমাদের পাঁচটি মাল্টিপ্লেক্স হলে। শুরুতে দিন দ্য ডে নিয়ে দর্শকের আগ্রহ থাকলেও এখন হাওয়া ও পরাণের প্রতি তারা বিশেষ আগ্রহী।