রোলস রয়েস গাড়ি জব্দ
শুল্ক ফাঁকির অভিযোগে রাজধানীর বারিধারা এলাকা থেকে একটি বিলাসবহুল রোলস রয়েস গাড়ি জব্দ করেছে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতর। গাড়িটি রোলস রয়েস ২০২১ মডেলের অত্যাধুনিক এইউভি। গাড়িটি ৬৭৫০ সিসির, যার বাজার মূল্য ২৭ কোটি টাকা। অবৈধভাবে এই গাড়িটি চট্টগ্রাম ইপিজেড থেকে বের করে ২৪ কোটি টাকা শুল্ক ফাঁকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের উপ-পরিচালক আহমেদুর রেজা চৌধুরী জানান, গত ২৭ এপ্রিল চট্টগ্রাম ইপিজেডের মাধ্যমে আমদানি করা হয়েছিল। এরপর এর শুল্ক না পরিশোধ করেই অবৈধভাবে গাড়িটি গত ১৭ মে রাতে ইপিজেড থেকে বের করে ঢাকার বারিধারায় নিয়ে আসা হয়। তিনি বলেন, আমরা জানতে পারি গত ৪ জুলাই পর্যন্ত এই গাড়ির শুল্ক জমা হয়নি। গোয়েন্দা তৎপরতায় গাড়িটি আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের এমডির গুলশানের বারিধারার নিজ বাসভবনে লুকিয়ে রাখা অবস্থায় জব্দ করা হয়েছে।
এ গাড়ির শুল্কমুক্ত সুবিধার আওতায় পড়বে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এদিকে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর ওই গাড়িটির মালিকের নাম পরিচয় গোপন রাখার কৌশল অবলম্বন করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শফিকুল ইসলাম নামের একজন কর্মকর্তা বলেন, শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের ডিজি ম্যাডামের নিষেধাজ্ঞা থাকায় আপাতত নাম পরিচয় গোপন করা হয়েছে। এটাই অফিসিয়াল সিদ্ধান্ত।
জেড এ্যান্ড জেড ইন্টিমেটস লিমিটেডের মাধ্যমে হংকং এবং বাংলাদেশের যৌথ উদ্যোগে পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠানের জন্য এ গাড়িটি আনা হয়। কিন্তু আমদানিকারক বেআইনীভাবে কাস্টমস শুল্কায়ন সম্পন্ন এবং শুল্ক-কর পরিশোধ না করে তার ব্যক্তিগত গ্যারেজে গাড়িটি লুকিয়ে রাখেন। কাস্টমস আইন অনুযায়ী গাড়িটি জব্দ করা হয়েছে।
একই সঙ্গে কী কারণে আমদানি করা গাড়িটি ছাড়া হওয়ার ৭০ দিন পরও শুল্কায়ন করা হয়নি, সে বিষয়ে কাস্টমস গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের অনুসন্ধান চলমান রয়েছে। এ বিষয়ে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতর সূত্রে জানা যায়, জেড এ্যান্ড জেড ইন্টিমেটসের স্ট্যাস্টিজিক পার্টনার হচ্ছে অনন্ত গ্রুপ। চট্টগ্রামে রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিল্প কারখানা ও অফিস।