ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ০৭ মে ২০২৫, ২৪ বৈশাখ ১৪৩২

সংস্কৃতি সংবাদ

‘আলোকিত সমাজ গড়তে নিরলস কাজ করছে জাতীয় গ্রন্থাগার’

প্রকাশিত: ২৩:১৫, ৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

‘আলোকিত সমাজ গড়তে নিরলস কাজ করছে জাতীয় গ্রন্থাগার’

স্টাফ রিপোর্টার ॥ আলোকিত সমাজ গড়তে গ্রন্থাগারের রয়েছে বিশেষ ভূমিকা। এই বিবেচনায় সকলকে গ্রন্থাগারমুখী করা, পাঠভ্যাস বৃদ্ধি, মননশীল সমাজ গঠনের কেন্দ্রবিন্দু ও জনগণের বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গণগ্রন্থাগারের ভূমিকাকে দৃঢ় করার লক্ষ্যে উদ্যাপিত হতে যাচ্ছে চতুর্থ জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস। আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে তিনটায় সারাদেশে একযোগে শুরু হবে গ্রন্থাগার দিবস উদ্যাপনের আয়োজন। শাহবাগের সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগার অধিদফতর প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে উদ্বোধনী আয়োজন ও সাংস্কৃতিক পরিবেশনা। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম। আলোচনায় অংশ নেবেন সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের স্থায়ী কমিটির সভাপতি সিমিন হোসেন রিমি। বৃহস্পতিবার বিকেলে জাতীয় গণগ্রন্থাগার অধিদফতরে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন গণগ্রন্থাগার অধিদফতরের মহাপরিচালক মোঃ আবুবকর সিদ্দিকসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা। সংবাদ সম্মেলনে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী বলেন, জ্ঞানভিত্তিক আলোকিত সমাজ গড়তে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে জাতীয় গ্রন্থাগার। সমাজ থেকে নিরক্ষরতা ও চিন্তার পশ্চাৎপদতা দূরীকরণ, অর্জিত শিক্ষার সংরক্ষণ ও সম্প্রসারণ, স্বশিক্ষায় শিক্ষিত হওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি, একটি সহনশীল, পরমতসহিষ্ণু সামাজিক ও গণতান্ত্রিক চেতনাবোধের সৃষ্টি; সর্বোপরি জনসাধারণের মাঝে মানবিক মূল্যবোধের বিকাশ গ্রন্থাগারের মূল উদ্দেশ্য। প্রসঙ্গক্রমে প্রতিমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় ব্যাপক কার্যক্রম গ্রহণ করেছে। সোনার বাংলা গড়তে প্রয়োজন জ্ঞানভিত্তিক আলোকিত সমাজ। সেই ভূমিকাটি পালন করছে গ্রন্থাগারগুলো। কে এম খালিদ বলেন, সারাদেশে ৭১টি পাবলিক লাইব্রেরি আছে। সেগুলো ডিজিটালাইজেসনের কাজ চলছে। এর ফলে সকল লাইব্রেরির তথ্য একটি জায়গাতেই পাওয়া যাবে। ধীরে ধীরে দেশের বেসরকারী লাইব্রেরিগুলোকেও এই কার্যক্রমের আওতায় আনা হবে। বিদেশী গণমাধ্যম আলজাজিরায় প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটি একটি সাজানো নাটক। যখন পদ্মাসেতুর কাজ শুরু হয়, তখনও তারা নানান অপপ্রচার চালিয়েছে। পদ্মাসেতু এখন দৃশ্যমান হয়েছে, জনগণ দেখছে। মূলত এটি একটি সাজানো নাটক এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের বিরুদ্ধে অপপ্রচার। করোনার ভ্যাকসিন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সপ্তাহখানেক হলো আমি নিজে করোনার ভ্যাকসিন নিয়েছি। এখন পর্যন্ত কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া পাইনি এবং ভাল আছি। আশা করি সাধারণ মানুষ ও ক্রমান্বয়ে ভ্যাকসিন নিতে উৎসাহিত হবে। এদিকে জাতীয় পর্যায়ের বাইরে বেসরকারীভাবে গ্রন্থাগার দিবস উদ্্যাপনের উদ্যোগ নিয়েছে পুরনো ঢাকার গেন্ডারিয়ার ঐতিহ্যবাহী সীমান্ত গ্রন্থাগার। এ উপলক্ষে গ্রন্থাগারটির সীমান্ত-সাহারা মঞ্চে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। ‘গ্রন্থাগারের বই পড়ি, আলোকিত মানুষ গড়ি’ শীর্ষক আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করবেন সীমান্ত গ্রন্থাগারের সভাপতি মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী।
×