স্টাফ রিপোর্টার ॥ বুড়িগঙ্গা নদী দূষণরোধে আদালতে নির্দেশনা বাস্তবায়ন না করা, অসত্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে আদালতের কাজে বিঘ্ন ঘটানোয় ওয়াসার এমডি (ব্যবস্থাপনা পরিচালক) মোঃ তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে রুল জারি করেছে হাইকোর্ট। আগামী দুই সপ্তাহের মধ্যে তাকে এ রুলের জবাব দিতে হবে। বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুর ও বিচারপতি মোহাম্মদ উল্লাহর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের দ্বৈত বেঞ্চ বৃহস্পতিবার এ আদেশ প্রদান করেছেন। আদালতে বাদী পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট মনজিল মোরশেদ, পরিবেশ অধিদফতরের পক্ষে ছিলেন এ্যাডভোকেট আমাতুল করিম। শিল্প প্রতিষ্ঠানের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সানজিদা খানম। ওয়াসার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী উম্মে সালমা।
রিটকারী আইনজীবী জানিয়েছেন, কেন আদালত অবমাননার অভিযোগে ওয়াসার এমডির শাস্তি দেয়া হবে না এ মর্মে দুই সপ্তাহের মধ্যে লিখিত বক্তব্য আদালতে জানাতে হবে। আমরা তার ব্যক্তিগত হাজিরা চেয়েছিলাম। তখন আদালত বলেছে, দুই সপ্তাহ পরে যখন জবাব আসবে তখন বিবেচনা করবেন। কোর্টের কাজ কাউকে সাজা দেয়া নয়। কোর্টের আদেশ প্রতিপালন হচ্ছে কিনা সেটাই বিবেচনার বিষয়। আদালত বলেছে, জবাব ও হলফনামা বিবেচনা করে তাকে ব্যক্তিগতভাবে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়া হবে কিনা সেটা তখন সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।
আদালতের আদেশের পর আইনজীবী মনজিল মোরশেদ সাংবাদিকদের আরও বলেন, বুড়িগঙ্গা দূষণরোধে আদালতের রায় ও আদেশ বাস্তবায়ন না করা, অসত্য তথ্য দিয়ে আদালতের স্বাভাবিক কাজে বিঘœ ঘটানোর কারণে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগে রুল জারি করা হয়েছে। ২০১০ সালে বুড়িগঙ্গার পানি দূষণ বন্ধের জন্য একটি রিট পিটিশন করেছিলাম। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১১ সালে আদালত ছয় মাসের মধ্যে বুড়িগঙ্গার ভেতরে যে ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডিসচাজ লাইনগুলো (শিল্প বর্জ্য নিঃসরণ লাইন) আছে সেগুলো বন্ধ করে দেয়ার জন্য ওয়াসার এমডির প্রতি নির্দেশ দেন।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: