স্টাফ রিপোর্টার ॥ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য এক গ্রন্থ ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’। সেই বইটি পাঠের মাধ্যমে এবার প্রতিযোগিতায় অংশ নেবে স্কুল শিক্ষার্থীরা। জাতির পিতার জীবনচর্চা এবং তার রচিত গ্রন্থপাঠের মাধ্যমে নতুন প্রজন্ম জানবে বাঙালী জাতির গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস। সেই সঙ্গে জানতে পারবে স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধুর ত্যাগ ও সংগ্রাম। এ উদ্দেশে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র ভিন্নধর্মী উদ্যোগ নিয়েছে। রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালায় আজ রবিবার থেকে শুরু হচ্ছে পাঁচ দিনব্যাপী বঙ্গবন্ধুবিষয়ক গ্রন্থের প্রদর্শনী ও বঙ্গবন্ধুর লেখা গ্রন্থ থেকে পাঠ ও প্রতিযোগিতা। রাজধানীর ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের পাঁচ স্কুলের ৫০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছে এ প্রতিযোগিতায়।
শনিবার রাজধানীর গুলিম্দানের গ্রন্থ ভবনে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক কবি মিনার মনসুর। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের উপ-পরিচালক সুহিতা সুলতানা, বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির সভাপতি ফরিদ আহমেদ এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতির সহ-সভাপতি শ্যামল পাল।
গ্রন্থকেন্দ্রের পরিচালক মিনার মনসুর বলেন, আমরা যাদের দেশের ভবিষ্যত বলি, সেই কিশোর-তরুণরা বিপজ্জনকভাবে বইবিমুখ হয়ে পড়েছে। উদাসীন হয়ে উঠছে সমাজ ও মানুষ সম্পর্কে। হয়ে উঠছে আত্মকেন্দ্রিক। এই পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে বইয়ের যেমন বিকল্প নেই। পাঠ্য বই ছাড়াও সৃজনশীল ও মননশীল বই না পড়লে একটা প্রজন্ম ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।
সভায় জানানো হয়, তরুণ-তরুণীদের বইপাঠে অনুপ্রেরণা ও মুক্তিযুদ্ধ এবং বঙ্গবন্ধুকে জানতে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র পাঁচ দিনের অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। ‘বঙ্গবন্ধু বিষয়ক পুস্তক প্রদর্শনী ও পাঠ’ কার্যক্রমে এ যাবত প্রকাশিত বঙ্গবন্ধু বিষয়ক বই প্রদর্শন করা হবে। পাশাপাশি টানা পাঁচ দিন ধরে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জের স্বনামখ্যাত পাঁচটি বিদ্যালয়ের ৫০ জন শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পাঠ ও প্রতিক্রিয়া তুলে ধরবেন তাদের শিক্ষক, অভিভাবক, সহপাঠী অতিথি ও বিচারকম-লীর সম্মুখে।
আজ রবিবার সকাল ১০টায় আয়োজনের উদ্বোধন করবেন সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. আবু হেনা মোস্তফা কামাল। এই কার্যক্রমে অংশগ্রহণকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো হলো-নারায়ণগঞ্জ হাই স্কুল এ্যান্ড কলেজ, রাজধানীর রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ, আজিমপুর গবর্নমেন্ট গার্লস স্কুল এ্যান্ড কলেজ, মোহাম্মদপুর প্রিপারেটরি স্কুল এ্যান্ড কলেজ এবং বিয়াম মডেল স্কুল এ্যান্ড কলেজ। আয়োাজনে প্রতিদিন একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৫০ শিক্ষার্থী তাদের পাঠ এবং প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করবেন।
জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের এই আয়োজনে সহযোগিতা করছে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়, জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এবং পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি।