নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ, ২৯ আগস্ট ॥ ধামইরহাটে কাবিন যাচাইয়ের নামে দম্পতিকে ঘরে আটকে বেধড়ক মারপিট করে রক্তাক্ত জখম করেছে উপজেলার খেলনা ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালাম। এতেই তিনি ক্ষান্ত হননি, নিজে ক্ষমতার অপব্যবহার করে উল্টো ওই দম্পতিকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় গ্রামপুলিশের মাধ্যমে থানায় পাঠিয়ে দেন। তবে পুলিশ তাদের চিকিৎসার কথা বলে দম্পতিকে বাড়িতে পাঠিয়ে দিয়েছে। ঘটনাটি উপজেলাজুড়ে তোলপাড় সৃষ্টি করেছে। ওই ইউনিয়নের শিশু গ্রামের মৃত দারেশ উদ্দিনের ছেলে মোঃ জামাল হোসেন (৩৫) জানান, গত প্রায় পাঁচ মাস পূর্বে আদালতের মাধ্যমে একই ইউনিয়নের হাফিজুল ইসলামের মেয়ে হাসনাহেনা লতার (২৫) সঙ্গে তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। গৃহবধূ হাসনাহেনা লতা তার পূর্বের স্বামীকে আইনসম্মতভাবে তালাক দিয়ে নতুনভাবে সংসার শুরু করেন। বিয়ের পাঁচ মাস পর কাবিননামা দেখার নাম করে চেয়ারম্যান সালাম সোমবার বিকেলে গ্রামপুলিশ সাইদুল, বিরেন, হেলালকে দিয়ে জামাল-লতা দম্পতিকে ইউনিয়ন পরিষদে ধরে আনেন। ঘরে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে গ্রামপুলিশের পাশাপাশি ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালাম জামালকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট শুরু করে। এতে তার হাত, পা ও ঊরুতে রক্তাক্ত জখম হয়। ইউপি চেয়ারম্যানের মারপিটে জামালের মাংস ফেটে রক্ত ঝরতে থাকে। গৃহবধু হাসনাহেনা লতা জানান, মৌখিকভাবে নিয়োগকৃত কথিত মহিলা গ্রামপুলিশ দিয়ে এবং ইউপি চেয়ারম্যান নিজে তাকে ঘরে ঢুকে মারপিট করেন।
মারপিট করার কথা কথিত মহিলা গ্রামপুলিশ শাহানাজ স্বীকার করে বলেন, ‘চেয়ারম্যানের নির্দেশে মারপিট করেছি।’ মঙ্গলবার বিকেলে এ বিষয়ে অভিযুক্ত ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস ছালামের মুঠোফোনে একাধিকবার রিং দিলেও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে যে কথা বলবে তাকেই গাছে বেঁধে পেটানো হবে- চেয়ারম্যানের এমন হুমকিতে সবাই আতঙ্কে আছেন। ভয়ে কেউ মুখ খুলতে চান না।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: