ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রথম দিনেই জমে উঠেছিলো রাজধানীর ইফতার বাজার

প্রকাশিত: ২০:১৫, ২৪ মার্চ ২০২৩

প্রথম দিনেই জমে উঠেছিলো রাজধানীর ইফতার বাজার

ইফতার বাজার। ছবি: সংগৃহীত।

প্রথম দিনেই জমে উঠেছিলো রাজধানীর ইফতার বাজার। তবে সব পণ্যের দামবৃদ্ধির উত্তাপ ছড়িয়েছে এখানেও। প্রতিটি ইফতার আইটেমের দামই ছিলো চড়া। মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষেরা অলিগলি ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে ভিড় করেছিলেন কিছুটা কম দামে ইফতার কিনতে।

শুক্রবার (২৪ মার্চ) প্রথম রোজার বিকেলে সরেজমিনে বিভিন্ন ইফতারির দোকান ঘুরে দেখা যায়, নানা স্বাদের ইফতারসামগ্রীতে দোকানগুলো ভরে গেছে। ক্রেতারাও বিভিন্ন দোকান ঘুরে নিজেদের পছন্দমতো ইফতারি কিনেছেন।

অলিগলি ও ফুটপাতের দোকানগুলোতে ইফতার আয়োজনে ছলো- মুড়ি, ছোলা, আলুর চপ, ডিম চপ, বেগুনি, আখনি, ছানা, পেঁয়াজু, খিচুড়ি, হালিম, কাবাব, বাখরখানি, ফিরনি, দই, বিভিন্ন ধরনের ভাজি-বড়া, বিরিয়ানিরসহ বিভিন্ন আইটেম। 

ব্যবসায়ীরা জানান, রমজানে বিকিকিনি বাড়ে। প্রথম রমজানে দুপুর থেকেই ইফতারসামগ্রী বিক্রি শুরু হয়। তবে তিনটার দিকে একটু ঝড়-বৃষ্টির কারণে কিছুটা ছন্দপতন হয়। 

এদিকে জমে উঠেছিলো চকবাজারের ইফতার বাজার।  চকবাজারের ইফতারির মধ্যে উল্লেখযোগ্য- শাহী পরোটা, আস্ত মুরগির কাবাব, গরুর সুতি কাবাব, বটিকাবাব, টিকাকাবাব, চিকেন কাঠি, শামিকাবাব, শিকের ভারী কাবাব, সুতিকাবাব, জিলাপি, শাহী জিলাপি, হালিম, দইবড়া, কাশ্মীরি সরবত, খাসির পায়া এবং সব থেকে আকর্ষণীয় ও মজাদার খাবার 'বড়বাপের পোলায় খায়'।

ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শাহী পরোটার দাম ৬০ থেকে ১২০ টাকা, গরুর সুতি কাবাব কেজি প্রতি ১৪০০ টাকা, খাসির সুতি কাবাব ১৬০০ টাকা, ছোলা-ঘুঘনি ৩০০ টাকা কেজি, ফালুদা এক লিটার ২০০ টাকা, দইবড়া পিস ২০ টাকা, সাধারণ জিলাপি ২০০-২২০ টাকা কেজি ও শাহী জিলাপি ৩০০ টাকা কেজি এবং বড় বাপের পোলায় খায় ৮০০ টাকা কেজি।

পুরান ঢাকার বাসিন্দা পাভেল সরদার বলেন, বাসায় আমাদের ইফতারি বানানো হয়। তারপরও আমরা বাইরে থেকে ইফতার নেই কারণ এটা আমাদের একটি রেওয়াজ। এ বছর ইফতারের দাম অনেকটা বাড়তি।

এক ব্যবসায়ী বলেন, এবছর সকল নিত্যপণ্যের দাম বেড়েছে বিগত যেকোনো সময়ের থেকে কয়েকগুণ। তাই আমাদেরও দাম বাড়াতে হয়েছে।

আরেকজন ব্যবসায়ী জানান, গরু ও খাসির মাংসের তৈরি ইফতারি পণ্য ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে গত বছরের তুলনায়। মুরগি ও অন্যান্য ইফতারি ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে।

ইফতার কিনতে আসা একজন বলেন, বাসায় ইফতার বানানো হলেও বাইরে থেকে ইফতার না নিলে, মনে হয় কিছু একটা অসম্পূর্ণ থেকে যায়। তবে এ বছর ইফতারের দাম বেশি থাকায় একটু কম কম কিনছি।

এমএম

×