
মুখ ও গলার ক্যান্সার প্রায়ই ধরা পড়ে দেরিতে
মুখ, গলা ও ঘাড়ের ক্যান্সার প্রায়ই তখনই ধরা পড়ে যখন রোগ অনেকটাই ছড়িয়ে পড়েছে। চিকিৎসকদের মতে, এর পেছনে রয়েছে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ যা এই রোগগুলোর প্রাথমিক পর্যায়ে শনাক্তকরণকে কঠিন করে তোলে।
কেন মুখ ও গলার ক্যান্সার প্রাথমিক পর্যায়ে ধরা পড়ে না?
🔹 প্রাথমিক উপসর্গ অস্পষ্ট বা হালকা:
প্রথম দিকে গলা ব্যথা, কণ্ঠস্বরে পরিবর্তন, মুখে ঘা বা গলার পাশে ছোট গাঁট—এসব উপসর্গ খুব সাধারণ এবং অনেক সময় ঠান্ডা, টনসিল বা সংক্রমণের সঙ্গে মিল থাকে। তাই রোগী এবং অনেক সময় চিকিৎসকরাও তা গুরুত্ব দেন না।
🔹 সচেতনতার অভাব:
অনেকেই জানেন না যে ধূমপান, মদ্যপান এবং HPV (হিউম্যান প্যাপিলোমাভাইরাস) মুখ ও গলার ক্যান্সারের বড় কারণ হতে পারে। ফলে ঝুঁকিপূর্ণ ব্যক্তিরা উপসর্গকে উপেক্ষা করেন।
🔹 HPV-সম্পর্কিত ক্যান্সারে প্রাথমিক উপসর্গই থাকে না:
বিশেষ করে টনসিল বা জিভের গোড়ার মতো স্থানে হওয়া ক্যান্সারে ব্যথা বা চোখে পড়ার মতো লক্ষণ প্রায়ই দেখা যায় না।
🔹 চিকিৎসা নিতে দেরি:
গলা খুসখুসে থাকা বা গলার আওয়াজ বদলে যাওয়া—এসব নিয়ে মানুষ প্রাথমিকভাবে চিকিৎসকের কাছে যেতে চায় না।
🔹 রুটিন স্ক্রিনিংয়ের অভাব:
স্তন, জরায়ুমুখ বা কোলনের ক্যান্সারের মতো মুখ ও গলার ক্যান্সারের জন্য সাধারণ স্ক্রিনিং পদ্ধতি নেই। ফলে অনেক সময় দেরিতে রোগ ধরা পড়ে।
🔹 টিউমার চোখে পড়ে না বা আড়ালে থাকে:
নাকের পেছনের অংশ, গলার গভীর জায়গা বা জিভের গোড়ার মতো জায়গায় হওয়া টিউমার সহজে ধরা পড়ে না এবং বিশেষ পরীক্ষা ছাড়া বোঝা যায় না।
সতর্ক থাকার পরামর্শ:
যদি ২-৩ সপ্তাহের বেশি সময় ধরে গলায় ব্যথা, গলার আওয়াজ পরিবর্তন, মুখে ঘা, বা গলায় গাঁট থাকে, তবে দেরি না করে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি—বিশেষত যারা ধূমপান করেন, মদ্যপান করেন বা HPV-এর ঝুঁকিতে রয়েছেন।
https://timesofindia.indiatimes.com
তাসমিম