
শর্ট স্লিপ সিনড্রোম হলো একধরনের শারীরবৃত্তীয় অবস্থা, যেখানে একজন ব্যক্তি দিনে মাত্র ৪-৫ ঘণ্টা ঘুমিয়েও নিজেকে সতেজ ও সচল অনুভব করেন।
তবে এটি বিরল এবং অধিকাংশ মানুষের জন্য এত কম ঘুম স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। ঘুমের ঘাটতি মানসিক চাপ, রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস, ওজন বৃদ্ধি ও হৃদ্রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। ঘুমের গুণগত মান এবং দৈর্ঘ্য—উভয়ই ভালো স্বাস্থ্য ও মানসিক স্থিতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এর কারণ:
এর পেছনে মূলত জিনগত বৈশিষ্ট্য কাজ করে। গবেষণায় দেখা গেছে, যাদের DEC2, ADRB1, SIK3 জিনগত বৈশিষ্ট্য থাকে, তার শরীর স্বল্প সময়ের ঘুমে প্রয়োজনীয় পুষ্টি পুনরুদ্ধার করতে পারে ।
তারা প্রতিদিন ৪–৬ ঘণ্টা ঘুমানো, কিন্তু কাজে ফুরিয়ে ওঠার কোনো লক্ষণ থাকে না।আলার্ম ছাড়াই ঘুম থেকে উঠতে পারে এবং দিনভর সতর্ক ও উদ্যমী থাকে। কম ঘুমের জন্য ক্লান্তি, চঞ্চলতা, মেজাজ খারাপ বা মনোযোগে ঘাটতি দেখা যায় না ।
ঘুম না হলে স্বাভাবিক মানুষের ক্ষেত্রে হৃদযন্ত্র, ডায়াবেটিস, অবসেশন, মানসিক সমস্যা ইত্যাদি উদ্বেগজনক হলেও, SSS আক্রান্তরা সাধারণত এই ঝুঁকিতে থাকে না । তবে স্বাভাবিক মানুষ ৫ ঘণ্টার নিচে ঘুমালেও শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব দেখা দিতে পারে।
জিনগত মিউটেশন শনাক্ত করে বিজ্ঞানীরা আশা করছেন, এ থেকে ভবিষ্যতে ইনসোমনিয়া ও ঘুমজনিত অসুখের চিকিৎসার নতুন পথ খুলতে পারে । তবে এটি খুব বিরল—জনসংখ্যার মাত্র ১–৩% মানুষের জীবনচক্রে SSS থাকতে পারে ।
শর্ট শ্লিপ সিন্ড্রোম একজন মানুষের স্বাভাবিক ঘুমের কম প্রয়োজন হলেও তার কর্মক্ষমতা, মনোযোগ ও স্বাস্থ্যে কোনো নেতিবাচক প্রভাব ফেলে না—এটি এক ধরণের জিনগত বৈশিষ্ট্য। তবে ঘুম কমিয়ে নীচে নামলে সাধারণ মানুষের জন্য তা বিপজ্জনক হতে পারে, যার ফলে ভুগতে হতে পারে দীর্ঘমেয়াদি স্বাস্থ্যঝুঁকি।
সানজানা