ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৩ জুলাই ২০২৫, ২৯ আষাঢ় ১৪৩২

ফ্রিজে রাখা পেঁয়াজ-রসুন ডেকে আনতে পারে বিপদ, সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞরা

প্রকাশিত: ০৭:১৮, ১৩ জুলাই ২০২৫

ফ্রিজে রাখা পেঁয়াজ-রসুন ডেকে আনতে পারে বিপদ, সতর্ক করলেন বিশেষজ্ঞরা

ছবি: সংগৃহীত

রোজকার রান্নায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত উপাদানগুলোর মধ্যে পেঁয়াজ এবং রসুন অন্যতম। কিন্তু ব্যস্ত জীবন কিংবা সময় বাঁচাতে অনেকেই এই মসলা বেটে বা কেটে ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রাখেন। এতে কাজের কিছুটা সুবিধা হলেও স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে—এমনই সতর্ক বার্তা দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, পেঁয়াজ বাটা ফ্রিজে সংরক্ষণ একেবারেই অনুচিত। কারণ পেঁয়াজে খুব দ্রুত পচন ধরে, যা খাবারে বিষক্রিয়ার কারণ হতে পারে। এমনকি খোসা ছাড়ানো বা কাটা পেঁয়াজও এক রাতের বেশি সংরক্ষণ করা উচিত নয়। এর পরিবর্তে রান্নার সময়েই পেঁয়াজ কেটে ব্যবহার করাই সবচেয়ে নিরাপদ।

রসুন ও আদার ক্ষেত্রে কিছুটা ছাড় থাকলেও, সেখানেও সতর্কতার প্রয়োজন আছে। আদা ও রসুন বাটা ফ্রিজে এক সপ্তাহ পর্যন্ত রাখা গেলেও তা দীর্ঘ সময় সংরক্ষণ করা ঠিক নয়। কারণ ঠান্ডা পরিবেশে এগুলোর মধ্যে রাসায়নিক পরিবর্তন ঘটে, যার ফলে স্বাদ এবং পুষ্টিগুণ দুটোই নষ্ট হয়ে যায়।

অনেকে মনে করেন, পেঁয়াজ কাটার পরও যদি তার গন্ধ বা রং ঠিক থাকে, তাহলে তা ব্যবহার করা নিরাপদ। কিন্তু বাস্তবে কাটা পেঁয়াজের আর্দ্রতা দ্রুত কমে যায়, এতে সালফারযুক্ত উপাদান বাতাসের সংস্পর্শে এসে ব্যাকটেরিয়ার বংশবৃদ্ধি ঘটায়। একইভাবে রসুন কেটে রাখলে তাতে ফাঙ্গাস জন্মানোর ঝুঁকি তৈরি হয়। ফলে রসুন ব্যবহার করার ঠিক আগেই তা কেটে নেওয়াই উত্তম।

এছাড়া বাজারে অনেক সময় কম দামে খোসা ছাড়ানো রসুন বিক্রি হতে দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা এ বিষয়ে সতর্ক করে বলেছেন, এ ধরনের রসুনও দীর্ঘ সময় সংরক্ষণের কারণে স্বাস্থ্যহানির কারণ হতে পারে।

এ প্রসঙ্গে সিপিবিসি পাইপ বাংলাদেশের স্বজন সিপিবিসি ব্র্যান্ডের একজন প্রতিনিধি জানান, “আমরা চেষ্টা করি খাদ্য ও স্বাস্থ্যসংক্রান্ত বিষয়ে জনসচেতনতা তৈরি করতে। রান্নার আগে টাটকা উপাদান ব্যবহার করাই সবচেয়ে ভালো পন্থা।”

সতর্কতা ও সচেতনতাই পারে প্রতিদিনের ছোট ছোট ভুল থেকে বড় বিপদকে দূরে রাখতে। রান্নাঘরে সময় বাঁচাতে গিয়ে স্বাস্থ্যঝুঁকি যেন ডেকে না আনি, সেই সচেতনতাই জরুরি।
 

শেখ ফরিদ 

×