ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১৪ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

অফিসের ডেস্কে বসার স্টাইল বলে দেয় আপনার দক্ষতা ও নেতৃত্বের সম্ভাবনা!

প্রকাশিত: ০৭:৪৯, ১৩ জুন ২০২৫

অফিসের ডেস্কে বসার স্টাইল বলে দেয় আপনার দক্ষতা ও নেতৃত্বের সম্ভাবনা!

ছ‌বি: সংগৃহীত

অফিসে বসার ধরন যে শুধু আরাম বা অভ্যাস নয়, বরং এটি আপনার আত্মবিশ্বাস, নেতৃত্বগুণ ও কাজের মানসিকতার প্রতিফলন— তা হয়তো অনেকেই ভাবেন না। তবে সাম্প্রতিক পর্যবেক্ষণ বলছে, আপনি কীভাবে বসেন, তা সহকর্মী থেকে শুরু করে বস পর্যন্ত অনেক কিছু বুঝে নেন।

যেমন কেউ যদি চেয়ারের কিনারায় বসেন, তাহলে বোঝা যায় তিনি খুবই সক্রিয় ও আগ্রহী। কাজ হাতে নেওয়ার জন্য সব সময় প্রস্তুত থাকেন। যদিও এটি বেশি হলে উদ্বেগ বা অস্থিরতার বার্তাও দিতে পারে।

চেয়ারে হেলান দিয়ে, হাতে হাত রেখে আরামে বসা ব্যক্তিকে দেখা যায় আত্মবিশ্বাসী হিসেবে। তবে বেশি হেলান দিলে তা উদাসীনতা মনে হতে পারে। তাই সামান্য চোখের যোগাযোগ ও মাথা নেড়ে অংশগ্রহণ বাড়ানো উচিত।

সব সময় কুঁজো হয়ে বা ঝুঁকে বসা মানে হতে পারে ক্লান্তি, হতাশা বা আত্মবিশ্বাসের অভাব। এতে সহকর্মীদের কাছেও নেতিবাচক বার্তা যায়। এই অভ্যাস বদলাতে সামান্য সোজা হয়ে বসা যথেষ্ট।

হাত বুকের ওপর বাঁধা রেখে সোজা হয়ে বসা ব্যক্তিকে অনেক সময় কঠোর বা বিচারক মনোভাবের বলে মনে হয়। যদিও এটি মনোযোগ ও সংযমের প্রকাশ হতে পারে, তবে মাঝে মাঝে খোলামেলা ভঙ্গিও দেখাতে হবে, বিশেষত দলগত আলোচনায়।

চেয়ার ঘোরানো, পা কাঁপানো বা অস্থিরভাবে বসা বুঝায় যে ওই ব্যক্তি দ্রুত চিন্তা করেন, তবে একই সঙ্গে তারা অন্যমনস্কও মনে হতে পারেন। যদি এই শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে কাজে লাগানো যায়, তাহলে নেতৃত্বে কার্যকর ভূমিকা রাখা সম্ভব।

ল্যাপটপের দিকে ঝুঁকে একদম কাছে বসা ব্যক্তি সাধারণত কাজে খুব মনোযোগী হন। তবে এতে দেখা যায় তিনি শুধু কাজ নিয়েই ব্যস্ত, মানুষ বা বড় ছবিটা হয়তো খেয়াল করছেন না। তাই মাঝে মাঝে চোখ তুলে কথাবার্তা বলাটাও গুরুত্বপূর্ণ।

সবশেষে, বসার ধরন যে একমাত্র যোগ্যতার মাপকাঠি নয়, তা ঠিক। তবে এটি আপনার শরীরী ভাষার অংশ হিসেবে নেতার মতো প্রভাব ফেলতে পারে। কিছু ছোট পরিবর্তন যেমন পা মাটিতে রাখা, বুক খোলা রাখা, সোজা হয়ে বসা এবং অপ্রয়োজনীয় নড়াচড়া এড়িয়ে চলা— এসব আপনাকে আরও আত্মবিশ্বাসী ও নেতৃত্বগুণসম্পন্ন করে তুলতে পারে।

অফিসের প্রতিদিনের চেয়ারে বসাটাই হতে পারে আপনার পরবর্তী পদোন্নতির প্রথম ধাপ।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

এম.কে.

×