
ছবি: সংগৃহীত
বর্তমান ব্যস্ত ও চাপপূর্ণ জীবনে ডিপ্রেশন বা বিষণ্নতা দিন দিন বাড়ছে। তবে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পেতে ও ডিপ্রেশন কমাতে কিছু সহজ ও প্রাকৃতিক উপায় আছে, যা দৈনন্দিন জীবনে অনুসরণ করলে মনের ভার অনেকটাই হালকা করা সম্ভব। নিচে এমন ৪টি কার্যকর অভ্যাস তুলে ধরা হলো, যা ডিপ্রেশন প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে।
১. খাদ্যাভ্যাস ঠিক রাখা
সুস্থ মনের জন্য প্রয়োজন স্বাস্থ্যকর খাবার। প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় সুষম ও পুষ্টিকর খাবার রাখলে শরীর যেমন সুস্থ থাকে, তেমনি মস্তিষ্কও সচল ও চাঙা থাকে। ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি, ফলমূল ও শাকসবজি ডিপ্রেশন কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি অতিরিক্ত চিনি, তৈলাক্ত খাবার ও কোল্ড ড্রিংকস এড়িয়ে চলা উচিত।
২. নিয়মিত ব্যায়াম করা
ব্যায়াম শরীরের পাশাপাশি মনেরও চিকিৎসা। প্রতিদিন অন্তত ২০-৩০ মিনিট হালকা ব্যায়াম, হাঁটা বা যোগব্যায়াম করলে মস্তিষ্কে “ফিল গুড” হরমোন নিঃসৃত হয়, যা মন ভালো রাখে। এটি স্ট্রেস কমায়, আত্মবিশ্বাস বাড়ায় এবং ঘুমেও সহায়তা করে।
৩. পর্যাপ্ত ঘুমানো
ঘুমের ঘাটতি মেজাজ খারাপ করা থেকে শুরু করে হতাশা পর্যন্ত ডেকে আনতে পারে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের দিনে অন্তত ৭-৮ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। ঘুম মানসিক প্রশান্তি এনে দেয় এবং মস্তিষ্ককে রিচার্জ করে। তাই পর্যাপ্ত ও নিরবচ্ছিন্ন ঘুম ডিপ্রেশন কমানোর অন্যতম চাবিকাঠি।
৪. খুব ভোরে ঘুম থেকে ওঠা
ভোরে ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস জীবনে শৃঙ্খলা আনে। সকালের নির্মল বাতাস, সূর্যের আলো ও শান্ত পরিবেশ মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। গবেষণায় দেখা গেছে, যারা সকাল সকাল উঠে দিন শুরু করেন, তারা অন্যদের তুলনায় বেশি আত্মবিশ্বাসী ও ইতিবাচক মনোভাবের হন।
শেষকথা
ডিপ্রেশন মোকাবেলায় ওষুধের পাশাপাশি জীবনযাপনের অভ্যাস পরিবর্তন করাও গুরুত্বপূর্ণ। উপরের এই চারটি সহজ অভ্যাসকে নিয়মিত চর্চা করলে মানসিক চাপ কমে, মন ভালো থাকে এবং জীবন ফিরে পায় নতুন গতি ও প্রশান্তি।
আলীম