
ছবি: জনকন্ঠ
চারিদিকে উচু উচু পাহাড় মাঝখানে গাছপালায় ঘেরা সবুজের সমারোহের পাশাপাশি পাখিদের কিচিরমিচির ডাক যেন অদ্ভুত এক সৌন্দর্য্য এনে দিয়েছে চট্টগ্রাম নগরীর ফুসফুস খ্যাত ঐতিহ্যবাহী সিআরবি স্থানটিকে৷ অন্যদিকে পাহাড়ের আঁকাবাঁকা পথ বেয়ে একটু সামনে পা বাড়ালেই দেখা যাবে যেন আস্ত এক হাতি দাঁড়িয়ে আছে। তাও আবার সুড় তুলে। কিন্তু কাছে আসতেই চক্ষু চড়কগাছ। এ কোন হাতি নয় বরং হাতির মত দেখতে এক ডুপ্লেক্স বাড়ি। মূলত এই বাংলোটি একটি গেস্ট হাউস।
উনিশ দশকের মাঝামাঝিতে তৎকালীন রেলওয়েতে কর্মরত ব্রিটিশরা নির্মাণ করেছিল এটি। একবিংশ শতাব্দীতে এসেও যেন এর নির্মাণশৈলীর কাছে হার মানবে অন্য যেকোন স্থাপনা। ধারণা করা হয় এটির আয়ুষ্কাল প্রায় ১৪০ বছর। এখানে গোলাকৃতির মোট ১২টি জানালা রয়েছে। এই বাংলোর ভিতরে মোট পাচটি কক্ষ আছে। তার মধ্যে নীচ তলায় চারটি এবং দোতলায় একটি শয়ন কক্ষ আছে।
ধারনা করা হয় ব্রিটিশদের নির্মিত চট্টগ্রামের সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন স্থাপনা এটি।
স্থাপনাটি ইট পাথরের আধুনিক ডিজাইন দ্বারা তৈরী। ধারনা করা হয় ব্রিটিশ পতনের কিছু সময় আগে এটি নিমাণ করা হয়েছিল। যদিও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এখন নাজুক অবস্থায় পড়ে আছে। জরাজীর্ণ ভবনের গায়ে দেখা গিয়েছে শেওলা, খসে পড়ছে পলেস্তারা। এছাড়াও এর প্রতিটি দরজা ও জানালা ভেঙ্গে গেছে। কোনরকম টিন দিয়ে ঢাকা হয়েছে এইসব জানালা। স্থাপনাটি দেখতে ও সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে প্রতিদিন ভীড় জমান অসংখ্য মানুষ। একাধিক দর্শনার্থী জানান কর্তৃপক্ষ দ্রুত পরিচর্যা ও যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার মাধ্যমে চট্টগ্রামের দৃষ্টিকাড়া সৌন্দর্যের এ নিদর্শন রক্ষা করা অতীব জরুরী।
মুমু