ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

রাজশাহীতে ৩০০ বছরের পুরোনো ’অচিন বৃক্ষ’

তানভীরুল আলম তোহা, রাজশাহী

প্রকাশিত: ১১:২২, ১৮ মে ২০২৫

রাজশাহীতে ৩০০ বছরের পুরোনো ’অচিন বৃক্ষ’

ছবি: জনকন্ঠ

রাজশাহী জেলার বাগমারা উপজেলার তাহেরপুর পৌরসভা যেন ইতিহাসের এক ভান্ডার। তাহেরপুর নাম শুনলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে একাধিক ইতিহাস।  তার মাঝে অন্যতম রাজা কংস নারায়ণ এবং অচিন গাছ। রাজশাহী জেলার তাহেরপুর পৌরসভায় ঐতিহ্যবাহী রাজবাড়ি (বর্তমানে তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজ) চত্বরে প্রায় ৩০০ বছরের অধিক পুরনো একটি গাছের নাম আজও জানে না কেউ।

নাম না জানার কারণে গাছটি ‘অচিন বৃক্ষ নামেই পরিচিত এলাকার জনবলের মাঝে। শত বছরের গাছটি ঘিরে স্থানীয়দের মাঝেও রয়েছে নানা কৌতূহল।

ইতিহাস থেকে জানা গেছে, বারো ভূঁইয়ার অন্যতম রাজা কংশ নারায়ণ রায়ের রাজবাড়ির ভেতরে কলেজ মসজিদ সংলগ্ন বিশালাকৃতির এই গাছটির নাম এখনো কেউ শনাক্ত করতে পারেননি। ফলে এলাকাবাসী এটিকে ‘অচিন বৃক্ষ বলে নামকরণ করেছেন। স্থানীয় প্রবীণরা জানান, গাছটির সঠিক নাম এখনো বের করা যায়নি।

এর ফল ও ফুল দেখতে বট গাছের মতো, যা পাখিদের খুব প্রিয় খাবার। কলেজ ক্যাম্পাসে এটি ‘অচিন তলা নামে পরিচিতি লাভ করেছে। তারা আরো জানান, ১৯৬৭ সালে রাজা কংশ নারায়ণের রাজাবাড়ির ধ্বংসস্তূপে তাহেরপুর কলেজ প্রতিষ্ঠিত হবার পর থেকেই আজ পর্যন্ত গাছটির পরিচর্যা করে আসছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।

নানা সময়ে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে গবেষকরা এলেও আজও গাছটির সঠিক নাম বের করা সম্ভব হয়নি।স্থানীয়রা জানান, ১৯৯১ সালে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদ বিভাগের এক অধ্যাপক সরেজমিন পরিদর্শন ও পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বিরল প্রজাতির এই গাছটির সঠিক নাম বের করতে পারেননি।

এদিকে কালের সাক্ষী হয়ে শাখা-প্রশাখা বিস্তার করে আজও দাঁড়িয়ে আছে এ গাছটি। দীর্ঘদিনের স্মৃতি ধরে রাখতে ৩০০ বছরের অধিক পুরনো এই গাছটির রক্ষণাবেক্ষণ জরুরি হয়ে পড়েছে বলে মনে করছেন স্থানীয়রা। কলেজ চলাকালীন সময় অচিন বৃক্ষের নিচে মনোরম পরিবেশে শীতল আবহাওয়ায় বসে সময় কাটাই অনেক শিক্ষার্থীরা যা সুন্দর পরিবেশ সৃষ্টি করে।

ইতিহাস ঐতিহাসিক সৃংস্কৃতি তাহেরপুর যেমন সুপ্রাচীন কাল থেকে মানুষের মাঝে সুপরিচিত তেমনি তাহেরপুর কলেজ অচিন বৃক্ষ মানুষের সুপরিচিত। তাহেরপুর ডিগ্রি কলেজ ছাত্রদের সাথে কথা বললে তারা জানান, কলেজের মেইন গেট থেকে গাছের অস্তিত্ব খুঁজে পাই গাছের গোড়া পাকা করনের ফলে প্রচন্ড গরমে শীতল বাতাস পেয়ে থাকি, ফাঁকা সময় গুলোতে গাছের নিচে বসে কাটাতে বেশ ভালো লাগে। যা আমাদের কলেজের সৌন্দর্য বৃদ্ধি ও ইতিহাস ঐতিহাসিক সংস্কৃতি বড় মাইফলক কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে এই অপরিচিত নাম না জানা অচিন বৃক্ষ।

তাহেরপুর কলেজ অধ্যাপক তোফাজ্জল হোসেন বলেন, ইতিহাস সংস্কৃতি আমাদের কলেজের সৌন্দর্য নাম না জানা “অচিন বৃক্ষ দেখলে বুঝা যাই। আমি কলেজে যোগদানের ফলে ও মেয়র আবুল কালাম আজাদ এর সহযোগিতায় বর্তমানে উন্নয়ন উন্নতি সাধিত করতে পেরেছি সকলের সকল দিকে। আশা করছি আমাদের ঐতিহাসিক তাহেরপুর কলেজ আগামীতে আরও অনেক সফলতা পাবে ইনশাআল্লাহ।

মুমু

×