ঢাকা, বাংলাদেশ   রোববার ১৮ মে ২০২৫, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

৩ মাসে একদিনও ঘর থেকে বের হননি মমতাজ, ঢাকায় ঢুকেন যেভাবে

প্রকাশিত: ১১:১৬, ১৮ মে ২০২৫

৩ মাসে একদিনও ঘর থেকে বের হননি মমতাজ, ঢাকায় ঢুকেন যেভাবে

ছবি : সংগৃহীত

চার দিনের রিমান্ড শেষে কারাগারে পাঠানো হয়েছে জনপ্রিয় লোকসংগীতশিল্পী ও মানিকগঞ্জ-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মমতাজ বেগমকে। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। জানা যায়, গত ৫ আগস্টের পর টানা তিন মাস মমতাজ মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলার চর দুর্গাপুরে নিজের বড় ভাই এবারত হোসেনের বাড়িতে অবস্থান করেন।

 

 

এই পুরো সময় তিনি ঘরের বাইরে বের হননি এবং বাইরের কারও সঙ্গে যোগাযোগও রাখেননি। এমনকি পাশের বাড়ির মানুষজনও জানত না তিনি সেখানে অবস্থান করছেন। ভাইয়ের মাধ্যমেই প্রয়োজনীয় যোগাযোগ চালিয়ে যেতেন মমতাজ।

স্থানীয় সূত্র জানায়, ওই বাড়িটি ছিল চারপাশ থেকে সিসি ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত এবং কোনো আগন্তুক এলেই বলা হতো, বাড়িতে কেউ নেই। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে প্রায় গোপনেই স্বাচ্ছন্দ্যে সময় কাটাতেন তিনি। এরপর পরিকল্পনা অনুযায়ী, ঘনিষ্ঠ বান্ধবী নিপার মাধ্যমে ঢাকার ধানমন্ডিতে একটি বাসা ভাড়া নেওয়া হয়। এক মধ্যরাতে বোরকা পরে কালো গ্লাসের একটি মাইক্রোবাসে করে তিনি ঢাকায় চলে যান। পুরো বিষয়টির তত্ত্বাবধান করেন নিপা, যিনি তার দেখভালের পাশাপাশি আর্থিক সহায়তাও করতেন। মমতাজের ব্যক্তিগত সহকারী জুয়েলও এ সময় তাকে সহায়তা করেছেন।

এছাড়া মমতাজ কিছুদিন মানিকগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মোহাম্মদ রমজান আলীর মেয়ে রুনুর মোহাম্মদপুরের বাসায় ছিলেন বলেও দাবি উঠেছে। তবে রমজানের ঘনিষ্ঠ সানোয়ার হোসেন এই তথ্য অস্বীকার করেছেন। শেষ পর্যন্ত, চলমান জুলাই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত একটি হত্যা মামলায় গ্রেফতার হন মমতাজ। এই মামলায় চার দিনের রিমান্ড শেষে গত শনিবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মিনহাজুর রহমান তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

 

 

মমতাজ বেগমের অবস্থান, আত্মগোপন এবং গ্রেফতার সংক্রান্ত তথ্য ইতোমধ্যে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে। রাজনৈতিক অঙ্গনেও তার এই দীর্ঘ আত্মগোপন ও হঠাৎ গ্রেফতার নিয়ে চলছে নানা আলোচনা।

আঁখি

×