
ছবি: সংগৃহীত
পারস্পরিক বিশ্বাস, সম্মান ও খোলামেলা যোগাযোগ—একটি সুস্থ দাম্পত্য জীবনের মূলভিত্তি। তবে বাস্তবতায় অনেক সময় এই সম্পর্কেই দেখা দেয় অবিশ্বাস ও সন্দেহের ছায়া। সাম্প্রতিক সময়ে মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, স্ত্রীর আচরণে হঠাৎ পরিবর্তন দেখা দিলে তা হতে পারে পরকীয়ার একটি সম্ভাব্য ইঙ্গিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ত্রীর আচরণে তিনটি লক্ষণ দেখা দিলে তা নিয়ে সতর্ক হওয়া প্রয়োজন:
১. আচরণে আকস্মিক পরিবর্তন
যদি স্ত্রী হঠাৎ করে আগের চেয়ে অনেক বেশি গোপনীয় হয়ে ওঠেন, বারবার ফোন লুকান, আপনার সামনে অস্বাভাবিক আচরণ করেন কিংবা কথা বলার ধরনে পরিবর্তন আসে—তবে তা হতে পারে মানসিকভাবে অন্য কারো প্রতি জড়িত থাকার ইঙ্গিত।
২. সময় না দেওয়া ও অতিরিক্ত ব্যস্ততা
ঘন ঘন অফিসের অতিরিক্ত কাজ, বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটানোর অজুহাত বা ঘরে থেকেও মানসিকভাবে অনুপস্থিত থাকা—এসব হতে পারে কারো প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহের লক্ষণ।
৩. সাজসজ্জায় হঠাৎ পরিবর্তন
আচরণগত পরিবর্তনের পাশাপাশি যদি হঠাৎ স্ত্রীর পোশাক-পরিচ্ছদ, সাজগোজ ও ব্যক্তিত্ব প্রকাশে আগের তুলনায় বেশি সচেতনতা দেখা যায়, তবে তা নতুন কারো প্রতি আকর্ষণের ইঙ্গিত হতে পারে।
এই লক্ষণগুলো দেখে কোনো একপেশে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত নয়। সম্পর্ক রক্ষা করতে হলে চাই খোলামেলা ও আন্তরিক আলাপ। প্রয়োজনে দাম্পত্য পরামর্শ গ্রহণ করা যেতে পারে। পরকীয়া সম্পর্ক কোনো হঠাৎ ঘটনা নয়। এটি ধীরে ধীরে গড়ে ওঠে—অনুভূতির সংকট, নির্ভরতার ঘাটতি ও মানসিক দূরত্ব থেকেই। তাই সম্পর্কের যত্ন নেওয়া, একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করাই পারে যেকোনো জটিলতা থেকে পরিত্রাণের পথ তৈরি করতে।
ফারুক