ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ১০ মে ২০২৫, ২৬ বৈশাখ ১৪৩২

শিশুরা স্কুলে যেতে ভালোবাসবে—জেনে নিন ১০টি ম্যাজিক মর্নিং হ্যাক!

প্রকাশিত: ২২:৫০, ২০ এপ্রিল ২০২৫

শিশুরা স্কুলে যেতে ভালোবাসবে—জেনে নিন ১০টি ম্যাজিক মর্নিং হ্যাক!

ছবি: সংগৃহীত।

সকাল মানেই ছোটদের জন্য যুদ্ধের শুরু—ঘুম থেকে উঠতে চায় না, ব্রাশ করতে চায় না, নাশতা নিয়ে কাকুতি-মিনতি, আর স্কুলে যেতে তো একপ্রকার লড়াই। কিন্তু অভিভাবকের সামান্য সচেতনতা আর কিছু ইতিবাচক অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে এই যুদ্ধটা অনেকটাই সহজ করে তোলা যায়। শিশুরা যদি সকালের শুরুটা আনন্দময়ভাবে করতে পারে, তাহলে স্কুলে যাওয়ার প্রতি তাদের আগ্রহও বাড়ে বহুগুণে।

চলুন জেনে নিই এমন ১০টি সকালের অভ্যাস যা শিশুদের স্কুলমুখী করতে সাহায্য করে।

১. রাতের আগেই প্রস্তুতি সম্পন্ন করা
সকালের হুড়োহুড়ি এড়াতে আগের রাতেই স্কুলব্যাগ গুছিয়ে রাখা, ইউনিফর্ম বের করে রাখা ও টিফিন প্রস্তুত রাখার অভ্যাস শিশুকে মানসিকভাবে তৈরি করে তোলে।

২. সময়মতো ঘুমাতে যাওয়া ও পর্যাপ্ত ঘুম
একজন শিশুর জন্য পর্যাপ্ত ঘুম অত্যন্ত জরুরি। রাত ৯টা থেকে ১০টার মধ্যে ঘুমাতে যাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুললে সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠাও সহজ হয়।

৩. স্নেহভরা ডাক আর মিষ্টি কথা
গর্জন নয়, সন্তানের কানে মা-বাবার ভালোবাসামাখা ডাকই তাদের ঘুম ভাঙানোর সবচেয়ে কার্যকর উপায় হতে পারে।

৪. মজাদার ও স্বাস্থ্যকর নাশতা
সকালে পছন্দের খাবার পেলে শিশুর মন ভালো হয়ে যায়। তাই নাশতা যেন হয় রুচিসম্মত এবং পুষ্টিকর, তা নিশ্চিত করা জরুরি।

৫. একটি ছোট্ট গল্প বা গান দিয়ে শুরু
সকালের রুটিনে একটি ছোট গল্প, ছড়া বা প্রিয় গান শিশুদের মনে আনন্দের সঞ্চার করে, যা তাদের দিনটাকে ইতিবাচকভাবে শুরু করতে সাহায্য করে।

৬. স্কুলের বিষয়ে আগ্রহ দেখানো
"আজ স্কুলে কী শিখবে?", "কাল যা শিখেছো সেটা মনে আছে?"—এমন প্রশ্ন শিশুকে স্কুলের প্রতি আগ্রহী করে তোলে।

৭. ভালোবাসার আদরে বিদায়
স্কুলে যাওয়ার আগে একটি আলিঙ্গন বা কপালে চুমু শিশুকে নিরাপত্তাবোধ দেয়, যা তাদের মানসিকভাবে প্রশান্ত করে।

৮. রুটিন মেনে চলা
নিয়মিত একই সময় ঘুম থেকে ওঠা, খাওয়া ও প্রস্তুতির মধ্যে একটি নির্দিষ্ট রুটিন শিশুকে অভ্যস্ত করে তোলে এবং সকালে কোনো কিছুই বিশৃঙ্খল মনে হয় না।

৯. নেতিবাচক কথা বলা থেকে বিরত থাকা
"তাড়াতাড়ি করো না হলে দেরি হয়ে যাবে!"—এর বদলে ইতিবাচক ও উৎসাহব্যঞ্জক কথা বলা উচিত। শিশুর ওপর চাপ নয়, বরং উৎসাহ দেওয়াই ফলদায়ক।

১০. একসাথে সময় কাটানো
সকালের কয়েকটা মুহূর্ত যদি পরিবার একসঙ্গে কাটায়, যেমন একসাথে নাশতা করা, তাহলে শিশুর মনে আনন্দ জন্ম নেয় এবং স্কুলে যাওয়ার আগে একটা সুন্দর অনুভূতি তৈরি হয়।

সকালের পরিবেশ যদি শান্ত, সুশৃঙ্খল ও ভালোবাসায় ভরা হয়, তবে স্কুলে যাওয়া শিশুর কাছে একঘেয়ে নয়, বরং আনন্দদায়ক অভিজ্ঞতা হয়ে উঠবে। অভিভাবকের ভালোবাসা, সচেতনতা আর কিছু ছোট্ট অভ্যাসই পারে প্রতিদিনের সকালকে সুন্দর করে তুলতে।

নুসরাত

×