
ছবি: সংগৃহীত
আপনি যত জানবেন, ততই বুঝতে পারবেন যে আপনি কত কম জানেন। তবে অনেকেই এই কথা মেনে চলেন না। তারা নিজেদের খুব স্মার্ট ভাবেন, কিন্তু তাদের আচরণ প্রায়ই উল্টো।
প্রথমেই বলা যায়, তারা সব বিষয়ে নিজেদের মতামতকে সঠিক মনে করেন। অন্যদের মতামত গুরুত্বহীন মনে হয় তাদের কাছে। প্রকৃত স্মার্ট মানুষ কিন্তু নতুন তথ্য পেলে নিজেদের মতামত বদলাতে দ্বিধা করেন না।
তারা কথোপকথনে বড় বড় শব্দ ব্যবহার করতে ভালোবাসেন। সহজে বোঝানোর পরিবর্তে, তাদের লক্ষ্য থাকে জটিলতা তৈরি করা। অথচ বুদ্ধিমান মানুষেরা সবসময় সহজভাবে নিজের কথা বোঝানোর চেষ্টা করেন।
নিজেকে সবসময় সঠিক প্রমাণ করার প্রবণতা এদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য। ভুল স্বীকার করা বা ভিন্ন মত গ্রহণ করা তাদের পক্ষে কঠিন। অন্যদিকে, সত্যিকারের বুদ্ধিমান ব্যক্তিরা ভুল থেকে শেখার সুযোগ কাজে লাগান।
তারা অন্যদের কথা মনোযোগ দিয়ে শোনেন না। বরং নিজেদের মতামত তুলে ধরতেই বেশি আগ্রহী থাকেন। প্রকৃত স্মার্ট মানুষ কিন্তু ভালো শ্রোতা হন এবং অন্যদের কথায় গুরুত্ব দেন।
সমালোচনা সহ্য করতে তারা অপারগ। তারা সমালোচনাকে আক্রমণ হিসেবে দেখেন এবং দ্রুত প্রতিরোধমূলক আচরণ করেন। অথচ গঠনমূলক সমালোচনার মাধ্যমে নিজেকে আরও উন্নত করার পথ খুঁজে পাওয়াই বুদ্ধিমানের পরিচায়ক।
সহানুভূতির অভাবও তাদের একটি সাধারণ বৈশিষ্ট্য। অন্যদের অনুভূতি বোঝার প্রতি এদের মনোযোগ কম। তবে প্রকৃত স্মার্ট ব্যক্তিরা সহানুভূতি দিয়ে সম্পর্ক তৈরি করেন।
এদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো সাহায্য চাইতে অপছন্দ করা। তারা মনে করেন, সাহায্য চাইলে তাদের অক্ষমতা প্রকাশ পাবে। কিন্তু সত্যিকারের বুদ্ধিমান ব্যক্তি জানেন, সাহায্য চাওয়া শক্তির লক্ষণ।
দলবদ্ধ কাজের ক্ষেত্রে এদের তেমন আগ্রহ থাকে না। তারা বিশ্বাস করেন, এককভাবে কাজ করাই তাদের দক্ষতা প্রকাশের সেরা উপায়। অথচ দলবদ্ধ প্রচেষ্টা অনেক সময় সেরা ফল নিয়ে আসে।
সবশেষে, পরিবর্তনের সাথে মানিয়ে নিতে তারা খুব কষ্ট পান। নতুন কিছু শেখা বা পুরনো পদ্ধতির পরিবর্তন তাদের পক্ষে কঠিন। প্রকৃত বুদ্ধিমান মানুষ সময়ের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার ক্ষমতা রাখেন।
স্মার্ট হওয়া মানে শুধু মতামত প্রকাশ করা নয়, বরং শেখার ইচ্ছা, নম্রতা এবং অন্যদের সম্মান দেওয়ার মধ্যেই এর প্রকৃত সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে।
মেহেদী কাউসার