
শীত ঋতুর আগমনী বার্তা নিয়ে শীত কড়া নাড়ছে আমাদের দরজায়। চলছে শীতের প্রস্তুতি। প্রকৃতিতে বইছে নাতিশীতোষ্ণ আবহাওয়া। প্রকৃতির এ রূপ অনেকেরই প্রিয়। হালকা পোশাকেই শীত নিবারণের চেষ্টা। এর মধ্যে জায়গা করে নিয়েছে নানা ধরণের উষ্ণ পোশাক। ফুলস্লিপ শার্ট, জিন্স প্যান্ট, মেয়েদের রঙিন পোশাক এবং টিনএজার তরুণীদের বৈচিত্র্যময় কটি। সব বয়সীর জন্য নানা রকমের কটি থাকলেও টিনএজদের মধ্যে কটির ব্যবহার বেশি। ফ্যাশন সচেতন তরুণীরা শীত তো বটেই, গ্রীষ্ম, বর্ষাসহ সব ঋতুতেই বিভিন্ন কাট ও ডিজাইনের কটি পড়ছেন। টিনএজাররা কামিজের পাশাপাশি অন্যান্য পোশাকেও স্বাচ্ছন্দ্যে কটি ব্যবহার করেন। তবে তরুণীরা পাশ্চত্য পোশাকের সঙ্গে কটির ব্যবহার বেশি পছন্দ করেন। শর্ট, লং, সেমি লং এই তিন ধরনের কটির চল এখন ফ্যাশনে। কামিজ কাটের লং কটিগুলো হয় ফুল স্লিভ, হাফ স্লিভ। অনেক কটির সামনে আবার শেরোয়ানি ধাঁচের কাট। কোন কটিতে ব্যান কলার দিয়ে সামনে পুরোটা খোলা। ফ্রক স্টাইলের কটিগুলোর কাটছাঁটেও রয়েছে বৈচিত্র্যের ছোঁয়া। পেছনে লম্বা হয়ে এসে সামনে খাটো, কোনটায় অনেক বেশি ঘের আবার কোনটা ছিম-ছাম ফিশ কাটের। গলার ডিজাইনে বেশির ভাগ কটিতেই আছে বোতামের ব্যবহার।
যারা জিন্সের সঙ্গে কটি পরতে চান, তারা বেছে নিতে পারেন নতুন ডিজাইনের শর্ট ও সেমি লং ডিজাইনের কটি। এগুলো জিন্সের সঙ্গে সবচেয়ে ভাল মানাবে। যেহেতু শীত পড়ছে তাই উষ্ণতা পেতে লং কটির সঙ্গে লং হাতাওয়ালা কটি পড়তে পারেন। হাতার প্যাটার্নেও রয়েছে বৈচিত্র্যময় কাজ। দেশি ফ্যাশন হাউসগুলোতে এ ধরনের কটি পাওয়া যাবে। কটিতে সিল্ক, বাটারফ্লাই, নেট, জর্জেট, শিফন, শাল কাপড় বেশি ব্যবহার করা হয়। আগে কটির প্রধান বৈচিত্র্য ছিল মূলত বোতামে। এখনকার কটিতে বোতামের ব্যবহার নেই বললেই চলে। পরিবর্তে কটির দুই পাশে বেল্টে এবং নিচের দিকটার কাটে বৈচিত্র্য এসেছে। এতে কটির লুকেও অনেক পরিবর্তন এসেছে। লং কটির সঙ্গে সব ধরনের পোশাকই মানিয়ে যায়। স্লিভলেস কামিজ, আনারকলি, ফ্লোর টাচ ফ্রক, গাউন টপস, টি-শার্টের সঙ্গে পরা যায় কটি। আবার শর্ট কটি জিন্স, গ্যাবাডিন, লেগিংস, পালাজোর সঙ্গে মানাবে ভাল। কটি যদি প্রিন্টের হয় তাহলে কামিজ, টি-শার্ট যেটাই পরুন না কেন সেটা এক রঙের হওয়া ভাল। টি-শার্ট, কামিজ ও ফতুয়ার সঙ্গে পরতে পারেন স্টাইলিশ কটি। টি-শার্ট অথবা ফতুয়ার সঙ্গে ফিতা দেয়া খোলা কটি ভাল দেখাবে। ফুলহাতা কটি পরতে পারেন একটু ফর্মাল পোশাকের সঙ্গে। অনলাইন বিভিন্ন শপ ছাড়াও নিউমার্কেট, গাউছিয়া, মৌচাক, যমুনা ফিউচার পার্ক, বসুন্ধরা, আজিজ সুপার মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেটে পেয়ে যাবেন বৈচিত্র্যময় এসব কটি।
কটি পরার আগে কোন ধরনের কটিতে আপনাকে ভাল মানাবে, সেটা জেনে নেয়া উচিত। যারা লম্বা, তারা ইচ্ছামতো কটি পরতে পারেন। যাদের উচ্চতা কম, তারা স্লিম কাট কিংবা ফিশ কাটের কটি পরতে পারেন। যাদের ওজন বেশি, তাদের ঢিলেঢালা কটিতে ভাল মানাবে। কটি কেনার সময় উজ্জ্বল রং বেছে নিন। এতে কামিজটি হাইলাইট হবে কিংবা কামিজের রং থেকে একেবারেই ভিন্ন একটি রঙের কটি বেছে নিন। ফ্যাশন হাউসগুলোতে বিভিন্ন ডিজাইনের কটি পাওয়া যায়। ইয়েলো, আড়ং, লা রিভ, টুয়েলভ, কে ক্রাফট, এক্সট্যাসি, ইনফিনিটি, বিশ্বরঙ, রঙ বাংলাদেশসহ নামী-দামী ফ্যাশন হাউসগুলোতে রয়েছে বর্ণিল কটির সম্ভার। দাম ডিজাইনভেদে যেমন-শর্ট নরমাল কটি পাওয়া যায় ২০০ থেকে ১০০০ টাকা এবং ভাল মানেরগুলো ১৫০০ থেকে ৩০০০ টাকার মধ্যে।