পিরিয়ড অনিয়মিত? ওজন হঠাৎ বেড়ে যাচ্ছে? মুখে ব্রণ আর শরীরে অবাঞ্ছিত লোম? আপনি হয়তো জানেনই না এই সবকিছুই হতে পারে একটি সাধারণ কিন্তু জটিল সমস্যার নাম পিসিওএস (PCOS)!
বর্তমানে বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে প্রতি ১০ জন নারীর মধ্যে ১ জন এই সমস্যায় ভুগছেন। কিন্তু অধিকাংশই এটিকে গুরুত্ব দেন না বা বুঝতেই পারেন না।
🩺 কী এই পিসিওএস?
PCOS বা Polycystic Ovary Syndrome হলো নারীদের হরমোন-জনিত একটি সমস্যা। এতে ডিম্বাশয়ে ছোট ছোট সিস্ট তৈরি হয় এবং অতিরিক্ত পুরুষ হরমোন (অ্যান্ড্রোজেন) নিঃসরণ ঘটে, ফলে নারীর স্বাভাবিক হরমোন ব্যালেন্স নষ্ট হয়ে যায়।
❗ সাধারণ উপসর্গগুলো কী কী?
-
অনিয়মিত বা একেবারে বন্ধ পিরিয়ড
-
চুল পড়ে যাওয়া, মাথার চুল পাতলা হয়ে যাওয়া
-
মুখে বা শরীরে (বিশেষ করে ঠোঁটের ওপর, থুতনি ও পেটে) অবাঞ্ছিত লোম
-
ব্রণ ও ত্বকে র্যাশ
-
গর্ভধারণে সমস্যা (Infertility)
-
ওজন বেড়ে যাওয়া বা কমাতে না পারা
-
মানসিক উদ্বেগ, ডিপ্রেশন
পিসিওএস কী ভয়ংকর হতে পারে?
হ্যাঁ। চিকিৎসা না করলে এটি হতে পারে:
-
টাইপ-২ ডায়াবেটিস
-
হাই ব্লাড প্রেসার
-
হার্ট ডিজিজ
-
বন্ধ্যত্ব
-
ইউটেরাইন ক্যান্সার (দীর্ঘমেয়াদি ক্ষেত্রে)
পিসিওএস সম্পূর্ণভাবে ভালো না হলেও, জীবনধারা পরিবর্তনের মাধ্যমে এটি নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। যেমন:
-
প্রতিদিন ৩০ মিনিট ব্যায়াম
-
কম কার্ব ও কম সুগারযুক্ত স্বাস্থ্যকর খাবার
-
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা
-
মানসিক চাপ কমানো
-
ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ গ্রহণ
-
নিয়মিত হরমোন ও সোনোগ্রাফি পরীক্ষা
পিসিওএস কোনো অভিশাপ নয়, এটি একটি চিকিৎসাযোগ্য অবস্থা। সচেতনতা, সময়মতো চিকিৎসা এবং স্বাস্থ্যকর জীবনাচারই পারে নারীর গোপন এই যুদ্ধকে জয় করতে।
সায়মা
