
গাইবান্ধা জেলায় গত কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন কৃষকেরা। মাঠভরা ধান আর ঘরভরা খড় সবই এখন পানির নিচে। ধান সিদ্ধ হলেও রোদ না থাকায় শুকাতে না পারায় নষ্ট হওয়ার শঙ্কায় দিন গুনছেন তারা।
জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, গোবিন্দগঞ্জ, সাঘাটা, পলাশবাড়ীসহ বিভিন্ন উপজেলায় একই অবস্থা। মাঠে পড়ে থাকা ধান পানিতে ভিজে যাচ্ছে। কেউ কেউ সিদ্ধ ধান রোদে না শুকিয়ে বাধ্য হয়ে জমে থাকা পানিতে রেখে দিচ্ছেন, ফলে মান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে, বাজারে মিলছে না ন্যায্যমূল্য।
স্থানীয় কৃষক মফিজুল ইসলাম বলেন, “বৃষ্টির কারণে আমরা ধান শুকাতে পারছি না। খড়ও পঁচে যাচ্ছে। খামারের গরুর খাবার হিসেবে এই খড় খুব জরুরি। কিন্তু এখন সেটাও রক্ষা করা কষ্টকর হয়ে পড়েছে।”
জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আবহাওয়ার এমন পরিস্থিতিতে বিকল্প উপায়ে খড় ও ধান সংরক্ষণের পরামর্শ দেওয়া হলেও অধিকাংশ কৃষক দরিদ্র হওয়ায় প্রয়োজনীয় প্রযুক্তি ব্যবহার করতে পারছেন না।
একাধিক কৃষক জানান, তারা সরকারি সহায়তা ছাড়া এই দুর্যোগ সামাল দিতে পারছেন না। দ্রুত ধান শুকানোর ব্যবস্থা এবং খড় সংরক্ষণের সরঞ্জাম পেলে তারা অনেকটাই বাঁচতে পারতেন।
স্থানীয় প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করে কৃষকেরা বলছেন, জরুরি ভিত্তিতে সহায়তা না পেলে এবারের মৌসুমে বড় ধরনের লোকসানের মুখে পড়বেন তারা। বিশেষ করে যারা আগাম ধান কেটেছেন তাদের ক্ষতির আশঙ্কা অনেক বেশি।
উল্লেখ্য, গাইবান্ধা জেলার অর্থনীতির বড় অংশজুড়ে ধান চাষ নির্ভর। আর এই বৈরি আবহাওয়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জেলার হাজারো কৃষক পরিবার।
মিমিয়া