ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৯ মে ২০২৫, ১৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

সৈয়দপুরের জমে উঠেনি কুরবানির পশুর হাট অপেক্ষায় খামারিরা

এম আর মহসিন, নিজস্ব সংবাদদাতা, সৈয়দপুর

প্রকাশিত: ১৫:০২, ২৮ মে ২০২৫

সৈয়দপুরের জমে উঠেনি কুরবানির পশুর হাট অপেক্ষায় খামারিরা

ছবি: জনকণ্ঠ

 আর ক’দিন পরেই পবিত্র ঈদ উল আজহা। এই ঈদের মূল উপজীব্য হচ্ছে সাধ্যানুসারে পশু কুরবানি দেওয়া। সৈয়দপুরের হাটগুলোতে পশু উঠলেও ক্রেতা না থাকায় জমে উঠেনি। এতে শেষ মুর্হুতের অপেক্ষায় রয়েছেন খামারিরা। 
এ উপজেলায় রয়েছে ঢেলাপীর নামে একমাত্র পশু কেনা বেচার হাট। যা সপ্তাহে শুক্রবার ও মঙ্গলবার বসে। এছাড়া এ উপজেলা ঘেঁষে রয়েছে বদরগঞ্জের শিবের হাট, তারাগঞ্জ হাট, পার্বতি পুরের বেনীরহাট ও চিরিরবন্দর উপজেলার রানীর বন্দর হাট। স্থানীয় কোরবানীকারী ক্রেতারা এই হাটে আসতে না পারলে ওই হাটগুলো থেকে পশু ক্রয় করেন। তাই সময় ও প্রাপ্তির জায়গা থাকায় অনেকেই নির্ভার।


সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার ঢেলাপীর হাটসহ সংলগ্ন বিভিন্ন এলাকার হাটগুলোতে ক্রেতাদের উপস্থিতি কম। কোরবানীর জন্য উপযুক্ত ষাড়, বলদ, গাভী, দুম্বা, ভেড়া ও ছাগল নিয়ে দাড়িয়ে আছেন খামারীরা। ক্রেতারা ঘুরে ফিরে দাম হাকালেও কিনছে না। উপস্থিতি থেকে মাত্র শতকরা ১০টি পশু বিক্রয় হচ্ছে। এ নিয়ে উপজেলার লক্ষনপুর এলাকার খামারী নজরুল ইসলাম বলেন, স্থানীয় ক্রেতারা না আসায় বিক্রি নেই। আশা করছি আগামী হাটে ক্রেতাদের ভিড় বাড়বে। আর হাটে বর্তমানে যে-সব পশু বিক্রি হচ্ছে, এর বেশির ভাগ ক্রেতাই এ উপজেলার বাইরের। তবে হাটে ভারতীয় গরু না থাকায় দেশী গরু বেশি ও বিভিন্ন প্রজাতির গরুর সংখ্যা বেশি। 
শহরের ১১ নং ওয়ার্ডের কুন্দল পুর্বপাড়ার আফজাল হোসেন বলেন, এবার  হাটে গরুর আমদানি বেশি। দামও কম। এমন দাম থাকলে বেশিরভাগ মানুষই কুরবানি দিতে পারবেন। আজিজুল হাকিম নামে এক ক্রেতা বলেন, এ হাটে হয়ত নেওয়া হবে না। দাম দেখছি। প্রয়োজনে বেনীরহাট বা তারগঞ্জের হাট থেকে কিনব। ক্রেতা-বিক্রেতারা স্বীকার করছেন গত বছরের তুলনায় এবারে কোরবানির পশুর দাম কিছুটা কম। হাটে বড় আকারের গরুর দাম হাঁকা হচ্ছে ১ লাখ ২০ হাজার থেকে  ২ লাখ  টাকা। মাঝারি ৮০ হাজার থেকে ১ লাখ ১০ হাজার ও ছোট আকারেরগুলো ৬০ হাজার থেকে ৮০ হাজার টাকা। ছাগলের ক্ষেত্রেও একই অবস্থা মাঝারি থেকে একটু বড় আকারের খাসি বিক্রি হচ্ছে ২০ হাজার থেকে ৩০ হাজারে। হাটগুলোতে খাজনা মূল্য বাড়ানো হয়েছে। হাটের ইজারাদাররা প্রতিটি গরুতে নিচ্ছেন ৪০০ টাকা। যা গতবারের তুলনায় বেশি। তবে প্রতিটি হাটে জাল টাকা নিরাপত্তার বিশেষ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। পুলিশের আইনি সেবা পেতে তাঁদের অবস্থানের কক্ষ করা হয়েছে। সেখান থেকে তারা হাটে টহল দিচ্ছেন। সাথে জাল টাকা চিহ্নিতে বসানো হয়েছে যন্ত্র।


সৈয়দপুর উপজেলা প্রাণী সম্পদ অফিস জানায়, এবার কোরবানির পশুর জন্য ছোট বড় মিলে ৪ হাজার ৪ শত ৭৯ টি খামারে পশু লালন পালন করা হয়েছে। এর মধ্যে ষাঁড় ৬হাজার ৯ শত পচাত্তরটি, বলদ ১১ শত ৮৮টি, গাভি ৩ হাজার ৯ শত ৭৭টি, ছাগল ২৭ হাজার ৪১০টি, ভেড়া ২ হাজার ৫৩টি মিলে ৪১ হাজার ৬০৩টি পশু কুরবানির জন্য প্রস্তত। তবে জনসংখ্যানুপাতে  চাহিদা রয়েছে ৩০ হাজার ৫৭৫টি। চাহিদার বিপরীতে এখনও দশ ভাগও না কেনায় শেষ মুহূর্তে হাটগুলোতে কেনা বেচা জমজমাট হবে বলে গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে মতামত ব্যক্ত করেন সৈয়দপুর উপজেলার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: হেমন্ত কুমার।

সাব্বির

×